হাতে চাঁদ
আমাদের পাড়ায় থাকত একটা ছোট ছেলে । না আছে চাল না আছে চুলো। ছেলে টি নিজেও জানে না তার বাব মা কে..পাড়ার মা কাকিমা দের ফুট ফরমাস খাটত। .তার বদলে পেত খেতে । খোলা আকাশ ছিল তার বাড়ি .. ছেলে টির হারাবার কিছু ছিল না।
এরকম ভাবেই দিন চলছিল..একদিন পাড়ায় চুরি হলো ..সমাদ্দার কাকিমা এর নেকলেস !!সবার সন্দেহ গিয়ে পড়ল ওই ছোট ছেলে টির উপর ..এদিকে ছেলে টি কেও পওয়া যাছে না। অনেক খোজার পর তাকে একটা বকুল তলা থেকে পাওয়া গেল...কিছু তেই সে নিজের হাতের মুঠু খুলছে না। পাড়ার ভাদ্র লোকেরা বলল "সালা চোর..আর একেই নাকি আমরা আশ্রয় দিয়েছিলাম"..তারপর জোর করে তার হাতের মুঠু টা খুলে দেখি..একটা বকুল ফল..ছেলে টির ওই ছোট্ট হাতে যেন চাঁদের মতই দেখাচ্ছিল!! ...(গল্প টি ছোট বেলায় শোনা. )
শুভ দৃষ্টি
শুভ দৃষ্টি ঘটেছিল আমার এক পিসি র জীবনে । ট্রেন এ তাকে বসতে দিয়ে জায়গা ছেড়ে দিয়েছিল একটা কালো লম্বা ছেলে । যাবার সময় তার দিকে তাকিয়ে ছিল এক ঝলক ...সেই দৃষ্টি তার মনে গেথে যায় এমন যে প্রায় ১০ বছর পরে ধর্মতলার বাস গুমটির কাছে তিনি ছেলেটিকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে আনন্দে কাদতে শুরু করেন ।
কাদতে কাদতেই বাড়ি ফেরেন তিনি..স্নান সেরে সাদা কাপড় পরেন ..মাছ মাংস ছেড়ে দেন ..আসলে ১০ বছরের ব্যবধানে ওই ছেলেটির গৃহী থেকে গেরুয়া ধারী তে রূপান্তর হয়ে গেছে.। আমি যখন টালার বাড়ি ছেড়ে আসছি,তখন মায়ের ওই পিসি র চোখে দেখেছি এক অন্তর ভেদী দৃষ্টি যার দিকে বেশিক্ষণ তাকানো যায় না। (সত্য ঘটনা অবলম্বনে )
....এটাকে কি বলব?প্লেটনিক ভালবাসা ?আমি জানি না..তবে মনে হয় চওয়া পাওয়া র বাইরেও ভালবাসা থাকতে পারে .। . ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।