রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ‘চিকিৎসাধীন’ এরশাদের এক সময়ের প্রধানমন্ত্রী শনিবার দেয়া বিবৃতিতে বলেন, “জাতীয় পার্টির অধিকাংশ নেতৃবৃন্দকে অবহিত না করে দলের সর্বোচ্চ ফোরাম প্রেসিডিয়ামকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পার্টির গৃহীত পূর্বাপর অবস্থানের বিপরীতে এমন একটি সিদ্ধান্ত এরশাদ নিয়েছেন যা জাতির প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার শামিল।”
জাপা চেয়ারম্যানের এই সিদ্ধান্তের জন্য পার্টির মধ্যে থাকা ‘সরকারের অনুগত নেতৃবৃন্দকে’ দায়ী করে এদের বিরুদ্ধে পার্টির তৃনমূল পর্যায়ের সব নেতা-কর্মীকে প্রতিবাদী অবস্থান গ্রহণ করার আহ্বানও জানান সাবেক এই বামপন্থী শ্রমিকনেতা।
এরশাদের পূর্ববর্তী ‘সরকারবিরোধী’ অবস্থান দেশের রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা ও জনগণের মনে আশা-আকাঙ্ক্ষার সৃষ্টি করেছিল মন্তব্য করে বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম এই সদস্য বলেন, “তার বক্তব্যে জনগণ আশান্বিত হয়েছিল এই ভেবে যে, শেখ হাসিনা সরকার বিরোধী দলকে বাদ দিয়ে একতরফা ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ষড়যন্ত্র থেকে সরে আসবে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি মেনে নেবে।”
জাতীয় পার্টির নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত পার্টিকে দেশবাসীর কাছে ‘গণধিকৃত পার্টি’ হিসেবে উপস্থাপন করেছে মন্তব্য তিনি বলেন, “জাতীয় পার্টির লক্ষ লক্ষ নেতা কর্মী আজ এ ঘটনায় চরমভাবে অপমানিত ও আশাহত। নিদারুন মনোকষ্টে তারা দিশাহারা হয়ে পড়েছ্নে।”
বিএনপি উত্থাপিত নির্দলীয় সরকারের দাবির একনিষ্ঠ সমর্থক কাজী জাফর বলেন, “আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই আমি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমি মনে করি দেশের বর্তমান সংঘাত ও সংকটের একমাত্র সমাধান হল প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ।”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।