গতকাল ছিল বিপিএল ট্রাইব্যুনাল কমিটি প্রথম শুনানি। শুনানিতে অভিযুক্ত ৯ জনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন না ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বোলিং কোচ মো. রফিকের আইনজীবী। এছাড়া অভিযুক্তদের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রথমদিনের শুনানিতে দুই পক্ষই দুই পক্ষের কথা শুনেছেন। ট্রাইব্যুনাল কমিটি প্রথমদিনের প্রাথমিক শুনানি শেষে দ্বিতীয় শুনানির দিন ধার্য্য করেছেন।
আগামী ১৯ জানুয়ারি পুনরায় শুনানি হবে।
প্রথম দিনের শুনানি নিয়ে ছিল গোপনীয়তায় ঘেরা। শুনানিতে কি আলোচনা হয়েছে, এ বিষয়ে কোনো কিছুই বলতে চাননি দুই পক্ষ। শুনানি হওয়ার কথা ছিল নাভানা টাওয়ারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আগের অফিসে। কিন্তু গতকাল ট্রাইব্যুনাল কমিটি প্রথম দিনের কার্যক্রম পরিচালনা করে রেডিয়াস সেন্টারে।
সেখানে সকাল থেকেই উপস্থিত ছিলেন মিডিয়া কর্মীরা। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল কমিটি বা আইনজীবীদের কাছ থেকে কোনো কিছুই জানা যায়নি। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয় শুনানির প্রথম দিনের কার্যক্রম। লাঞ্চ পর্যন্ত চলে এক ঘণ্টা বিরতিতে যায়। এরপর শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
দিনের কার্যক্রম শেষে ট্রাইব্যুনাল প্রধান বলেন, 'আমরা সারা দিন সবার কথা শুনেছি। কিন্তু গোপনীয়তার জন্য কোনো কিছুই প্রকাশ করা যাবে না। পরবর্তী শুনানি ১৯ জানুয়ারি। ' ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন বাকি দুই সদস্য সাবেক ক্রিকেটার শাকিল কাশেম ও আজমালুল হোসেন কিউসি। আইসিসির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইসিসির লিগ্যাল বিভাগের প্রধান ইয়ান হিগিন্স, আইসিসির লিগ্যাল অফিসার শিলি ক্লার্ক ও আইসিসির প্রসিকিউটর জোনাথন টেলর।
ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার কথা শুরুতেই স্বীকার করেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে স্বীকার করেছেন শ্রীলঙ্কার কৌশল্য লুকারোচ্চি। দুজনেই লঘু শাস্তির আবেদন করেছেন আইনজীবী দিয়ে। আশরাফুলের আইনজীবী ইংল্যান্ডের ইয়াসিন প্যাটেল এবং লোকুরাচ্চির আইনজীবী তারই স্বদেশী দিলান। অবশ্য প্যাটেল ইংলিশ ক্রিকেটার স্টিভেনসনেরও আইনজীবী।
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিহাব চৌধুরী ও সিইও গৌরব রাওয়াতের পক্ষে আপিল করেছেন ব্যারিস্টার নওরোজ এম আর চৌধুরী ও এম এ আমিনউদ্দীন। দুই ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেল ও মাহাবুবুল আলম রবিনের পক্ষে আপিল করেছেন ব্যারিস্টার নুর-উস-সাদিক। শুনানির মাঝামাঝি সময়ে গ্ল্যাডিয়েটর্সের আইনজীবী আমিন উদ্দীন বলেন, 'ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের পক্ষে আমি এবং ব্যারিস্টার নওরোজ এম আর চৌধুরী শুনানিতে অংশ নিয়েছি। আমরা আমাদের বক্তব্যে বলেছি, বিসিবি ঘরোয়া দুর্নীতি দমন আইনের ৫.১.৪.১ ধারা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারেনি। সে কারণে আমরা স্থানীয় কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছি।
তারা যখন অভিযোগ জানিয়েছিল তখন উত্তর দিয়েছিল নির্দিষ্ট সময়ে কাজটি শুরুর। তারা তা না করতে পারার কারণে আমরা স্থানীয় কোর্টে মামলা করেছি এবং মামলাটি বিচারাধীন থাকার কারণে আমরা বলেছি, এখন এসব বন্ধ রাখার জন্য। যতদিন কোর্ট থেকে মামলার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না আসে। '
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।