ব্রিসেবেনে সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয় কিন্তু ইংল্যান্ডের। ১৯২৮ সালে এখানে ৬৭৫ রানের পর্বতসমান ব্যবধানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। এছাড়া গত তিনটি অ্যাসেজ জিতে আকাশে উড়েছিল ক্রিকেটের জনকেরা। সর্বশেষ অ্যাসেজে ঘরের মাটিতে প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়াকে দাঁড়াতেই দেয়নি ইংলিশরা। এবার অস্ট্রেলিয়া উড়ে এসেছিল ফেবারিট হয়ে।
কিন্তু ব্রিসেবেনের হার্ড ও বাউন্সি উইকেটে দাঁড়াতেই পারেনি অ্যালিয়েস্টার ক্লার্কের ইংল্যান্ড। চারদিনে হেরে গেছে। আসলে ইংলিশদের বলতে গেলে একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন বাঁ হাতি অলরাউন্ডার মিসেল জনসন। জনসনের গতি, বাউন্স ও সুইংয়ে অসহায় হয়ে পড়েন কেভিন পিটারসেন, জোনাথন ট্রটরা। লড়াই করতে না পেরে ৩৮১ রানের পাহাড়সম ব্যবধানে হেরে গেছে ইংল্যান্ড।
২০০২ সালে এই মাঠেই ৩৮৪ রানে হেরেছিল ইংল্যান্ড।
ব্রিসেবেনের হার্ড ও বাউন্সি উইকেটের সঙ্গে তাল মেলাতে পারেনি প্রথম ইনিংসে কোনো দলই। এর মধ্যেই জনসন এবং ক্যারিয়ারের ৫০ নম্বর টেস্ট খেলতে নামা ব্রাড হ্যাডিন লড়াই করেন। দুজনেই তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। ইংলিশরা প্রথম ইংনিসে ১৩৬ রানে গুটিয়ে যায় জনসনের গতির কাছে।
১৫৯ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক ও ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ৪০১ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। এগিয়ে যায় ৫৬০ রানে। ৫৬১ রানের আকাশছোঁয়া টার্গেটে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে ইংলিশরা। সফরকারীদের কোমড় ভেঙ্গে দেন জনসন। তুলে নেন ৫২ টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৪তম পাঁচ বা ততোধিক উইকেট।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ১০৩ রানের পাশাপাশি ৯ উইকেট নিয়ে জনসন হয়েছেন ম্যাচ সেরা। জনসনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় মাত্র ১৭৯ রানে। সফরকারীদের পক্ষে একমাত্র লড়াই করেছেন অধিনায়ক অ্যালিয়েস্টার কুক। তিনি ৬৫ রান করেন ১৯৫ বলে। এছাড়া পিটারসেন ২৬, ইয়ার্ন বেল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন।
ইংলিশরা শেষ ৬ উইকেট হারায় মাত্র ৪৯ রানে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।