আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বফকির আমেরিকা বাংলাদেশকে নয়, বাংলাদেশই ফকির আমেরিকাকে অর্থের জোগান দিচ্ছে প্রতিবছর!

আকাশের ঐ মিটিমিটি তারার সাথে কইব কথা

প্রতিষ্ঠিত ধারণা হলো, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে অর্থ দেয়, খাদ্য দেয়, নানা রকম সুবিধা দেয়। নইলে বাংলাদেশ ডুবে মরত। তাই তার কথা অমান্য করা যাবে না। কিন্তু সত্য বরং বিপরীত। যুক্তরাষ্ট্রে গড় আমদানি শুল্কহার যেখানে শতকরা ১ ভাগের মতো, সেখানে বাংলাদেশের গার্মেন্টসের ওপর শুল্কহার শতকরা গড়ে ১৫ ভাগ, কোনো কোনো পণ্যে আরও বেশি।

গত এক বছরে বাংলাদেশের গার্মেন্টস রপ্তানির শতকরা প্রায় ২৩ ভাগ যুক্তরাষ্ট্রে গেছে। এ হিসাবে গত বছরও বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রকে শুল্ক বাবদ প্রদান করেছে কমপক্ষে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা। যুক্তরাষ্ট্র থেকে কয়েক বছর আগে পর্যন্ত যে ঋণ অনুদান বাংলাদেশে আসত, এটি তার ছয় গুণেরও বেশি, এখন তা আরও অনেক গুণ বেশি। অর্থাত্ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে নয়, বাংলাদেশই যুক্তরাষ্ট্রকে অর্থের জোগান দিচ্ছে প্রতিবছর! যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের জন্য জিএসপি বা শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিয়ে একটা কৃত্রিম হাহাকার ছড়িয়ে রাখা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প কোনো জিএসপি সুবিধা কখনো পায়নি।

বরং বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে অনেক রকম বৈষম্যের শিকার। তারাই ‘মুক্তবাজার নীতিমালা’ ভঙ্গ করে বাংলাদেশের গার্মেন্টসের ওপর বৈষম্যমূলক শুল্ক আরোপ করে রেখেছে! সে জন্য বিশেষ সুবিধা বা অনুগ্রহের দরকার নেই। যুক্তরাষ্ট্র যদি বাংলাদেশের পণ্যের ওপর অন্যান্যদেশের অনুপাতেই শুল্ক আরোপ করে; তাহলেই বাংলাদেশের প্রতিবছর পাঁচ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ কমে এবং সেটা গার্মেন্টস খাতে। বাণিজ্য সম্প্রসারণই লক্ষ্য হলে শুল্কহার গড় মানে নামিয়ে আনলেই চলে!

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।