বিজ্ঞানী শিমুল
সিলেটিরা অতিমাত্রায় অতিথি পরায়ন, এটা নিয়ে তাদের কোন জুরি নেই। আমি তাদের সম্মানও করি। তবে সিলেটিদের সবচেয়ে বড় বদঅভ্যাস সিলেটের বাইরের যেকোন অঞ্চলের মানুষকে “আবাদির বাচ্চা” বলে গালি দেওয়া। অন্য অঞ্চলের মানুষের সাথে রুঢ় আচরণ করা। যে কোন বিবাদের বিষয়ে সকল পালের গোদারা এক হয়ে অন্য অঞ্চলের মানুষের সাথে লেগে যাওয়া, যদিও কার আসল দোষ সেটা খুঁজে দেখেনা।
অবশ্য এই স্বভাবটা সকল সিলেটিদের মাঝে নেই। তবে প্রায় ৭০% সিলেটিদের মাথায় এই চেতনা কাজ করে। আবাল, বৃদ্ধ, জুয়ান, বুইরা থেকে শুরু করে ইউনিভার্সিটির টিচারগুলাও এগুলা থেকে মুক্ত নয়। ইউনিভার্সিটির যেসব ডিপার্টমেন্টে সিলেটি টিচার বেশি, সেসব ডিপার্টমেন্টের সিলেটের বাইরের টিচারদের সারভাইভ করাটাই কঠিন হয়ে যায়। ছাত্রদের ক্ষেত্রে এটা একটু কম হয়।
আমার মনে হয়, টিচারগুলার চেয়ে এরা বেশি মেচিউরড। তারপরেও আমরা স্টুডেন্টরা মাঝে মাঝে ব্যাপারগুলা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফেইস করি।
যেসব লোকের মাঝে এইসব অঞ্চলভিত্তিক নোংরা মন-মানসিকতা আছে, বিশেষ করে সেইসব লোকেদের আমি চরমভাবে ঘৃণা করি। যদিও জন্ম আমার সিলেটে, কিন্তু সিলেটিদের এই অঞ্চলভিত্তিক নোংরা মন মানসিকতার জন্য নিজেকে সিলেটের অধিবাসী পরিচয় দিতে চরম ঘৃণা হয়। তাই এদেরকে মাঝে মাঝে মনে মনে গালি দেই, “গবাদির বাচ্চা, গবাদি”।
এইসব মন-মানসিকতাধারী গবাদির বাচ্চাদের প্রতি আমার অঞ্চলভিত্তিক ক্রুসেড শুরু করলাম। তবে ক্রুসেডটা অস্ত্রের নয়, কলমের ক্রুসেড। যারা এসব অঞ্চলভিত্তিক নোংরা মন-মানসিকতাকে ঘৃণা করেন শুধুমাত্র তাদেরকেই ক্রুসেডে পাশে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি......। ।
বিদ্রঃ পোস্টটা প্রথমে বিজ্ঞানী শিমুল http://www.facebook.com/mhshimulsss নিকে ফেসবুকে দেই।
তারপর অনেক আবুল এসে আমার প্রত্যেকটা কথা প্রমাণ করে দিয়ে যায় তাদের গালাগালির মাধ্যমে। গালাগালিটা আজ অনেকেরই সম্পত্তি হয়ে গেছে। সম্প্রতি শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা নিয়েও এক ধরনের আঞ্চলিক বিভেদ তৈরি করা হচ্ছে, যেটা কখনোই কাম্য নয়। তবে এটা সম্ভব হচ্ছে তাদের অঞ্চলভিত্তিক নোংরা মানসিকতার কারণে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।