ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনি কিছুতেই ব্যাপারটা ধরতে পারছেন না। ঘরের মাঠে এমন দুর্দান্ত খেলছে ম্যানচেস্টার সিটি, অথচ প্রতিপক্ষের মাঠে গেলেই কেন হোঁচট? পরশুর ম্যাচে যে সিটিকে দেখা গেল, তেমন খেলতে পারলে বাকিদের পাত্তাই পাওয়ার কথা নয়। যে টটেনহাম আগের ১০ ম্যাচে খেয়েছিল মাত্র ৬ গোল, সিটির সঙ্গে ম্যাচের পর সেই সংখ্যাটা হয়ে গেল দ্বিগুণ! কিন্তু দারুণ খেলার পরের ম্যাচেই হোঁচট খাওয়ার ‘কীর্তি’ যে সিটি বারবারই করে দেখিয়েছে এই মৌসুমে!
ম্যানচেস্টার ডার্বির কথাই ধরুন। ইউনাইটেডকে ৪-১ গোলে হারিয়ে সিটি উড়ছিল আকাশে। কিন্তু পরের ম্যাচেই একেবারে পপাত ধরণিতল, অ্যাস্টন ভিলার মাঠে গিয়ে বসল হেরে।
চার ম্যাচ পরই আবার নরউইচকে উড়িয়ে দিল ৭-০ গোলে। পরের ম্যাচে হেরে বসল তলানির দল সান্ডারল্যান্ডের কাছে। সব মিলিয়ে প্রতিপক্ষের মাঠে এই মৌসুমে জয় মাত্র একটি, ড্র একটি। বাকি চার ম্যাচেই হার। আর নিজেদের মাঠে ছয় ম্যাচে করেছে রেকর্ড ২৬ গোল! অন্য কোনো ক্লাব ঘরে-বাইরে মিলিয়েও এত গোল দেয়নি!
কারণটা বোঝার চেষ্টা করছেন সিটি কোচ পেলেগ্রিনি, ‘আমি মনে করি না আমরা প্রতিপক্ষের মাঠে গিয়ে একদম অন্য রকম খেলি।
স্বাগতিকদের চেয়ে আমরাই বেশি সুযোগ পাই। বল দখলেও খুব পিছিয়ে থাকি না। কিন্তু নানা কারণে যে ফলটা আমরা চেয়েছিলাম সেটা পাইনি। আমি পুরোপুরি নিশ্চিত, যদি আমরা এ রকম খেলতে থাকি, তাহলে প্রতিপক্ষের মাঠে ভালো ফল পাব। ’ টটেনহামের সঙ্গে দল কতটা ভালো খেলেছে সেটা বোঝাতে গিয়ে বললেন, ‘আজ যেমন খেললাম তার চেয়ে ভালো খেলা অসম্ভব।
’
সিটি জিতলেও পরশু কার্ডিফের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে ফল-টল বাদ দিয়ে ম্যাচ শেষে দুই কোচকেই বেশি কথা বলতে হয়েছে অন্য প্রসঙ্গে। খেলার ৭ মিনিটে কার্ডিফ মিডফিল্ডার জর্ডন মাচকে পেছন থেকে লাথি মেরেছেন ওয়েইন রুনি। কিন্তু রেফারি রুনিকে হলুদ কার্ড দেখান। খানিক পর রুনিই করেন ইউনাইটেডের প্রথম গোলটা।
স্কাই স্পোর্টসের ধারাভাষ্যকার মার্টিন টাইলার ও বিশ্লেষক গ্রায়েম সাউনেস পরে বলেন, লাল কার্ডটাই প্রাপ্য ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড স্ট্রাইকারের।
ইউনাইটেড কোচ ডেভিড ময়েস আবার তা মানেন না, ‘আমার মনে হয় না এটা হলুদ কার্ডের চেয়ে বেশি কিছু। ’ ময়েস না হয় রুনির পক্ষে দাঁড়াতেই পারেন, কার্ডিফ কোচও রেফারিকেই ঠিক মনে করছেন, ‘অনেকেই হয়তো লাল কার্ড দেখাতেন। কিন্তু আমার মনে হয় রেফারি পুরো ম্যাচটা ভালোই সামলেছে। ’
পরে রুনি টুইটারে ধুয়ে দিয়েছেন স্কাই স্পোর্টসের দুই বিশেষজ্ঞকে।
এতটাই খেপেছেন, সাউনেস বানানটা ইচ্ছে করে লিখেছেন ‘সোরনেস’! এএফপি ও ওয়েবসাইট।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।