জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেছেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নেই। সর্বত্র দলীয়করণ। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ এসব কথা বলেন।
এর আগে ১৮ নভেম্বর মহাজোট ছেড়ে এরশাদ নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ দেন ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন।
ওই দিন বিরোধী দলকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে তাঁরাও বেরিয়ে আসবেন। তবে আজ এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। দু-একটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েই তিনি তড়িঘড়ি করে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।
এরশাদ বলেন, ‘নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। তোমরা আমাকে জিজ্ঞেস করো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে কি না? লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কীভাবে হবে? ডিসি-এসপি-জাজ-ডাক্তার সবাই দুই দিকে।
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কখনোই ছিল না। আমার তো কোনো লোক নেই। ’ তিনি আরও বলেন, বিরাজমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে গণতন্ত্র ব্যাহত হবে।
বিরোধী দলের উদ্দেশে এরশাদ বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছি।
কতটুকু সুষ্ঠু নির্বাচন হবে জানি না। আপনাদের এত আহ্বান জানালাম, শুনলেন না। নির্বাচনে অংশ না নিলে পার্টি থাকে না। আওয়ামী লীগ সরকার আমাকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়নি। তবু আমার দল নির্বাচন করেছে।
নির্বাচন না করলে পার্টি থাকে না। এই যে ৩০০ আসনে আমার ৮০০-১০০০ ক্যান্ডিডেট চলে এসেছে। ’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি কারও পক্ষ হয়ে কথা বলছি না। সংবিধানে যেভাবে আছে, সেভাবেই নির্বাচন হবে। কেন নির্বাচনে আসলেন না?’
এরশাদ নির্বাচন কমিশনেরও সমালোচনা করেছেন আজ।
তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত তারিখ পেছানোর অনুরোধ করেছেন। শুধু আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সঙ্গে নির্বাচন কমিশন আলোচনা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর ভাষায়, জাতীয় পার্টি একটি বড় দল। নির্বাচনে তাঁর দল প্রধান বিরোধী দলের চেয়ে মাত্র দুটি আসন কম পেয়েছিল। তাঁর কিছু প্রস্তাব ছিল।
এরশাদ মনে করেন, ওই প্রস্তাব অনুসরণ করলে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম হতো।
নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এরশাদ। তিনি সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার দাবি জানান। অবরোধে রেললাইন উপড়ে ফেলা, গাড়ি ঘোড়া চলতে না দেওয়া ও পরীক্ষা প্রক্রিয়া ব্যাহত করায় ১৮-দলীয় জোটের কড়া সমালোচনা করেন তিনি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।