আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হুইলচেয়ার নিয়ন্ত্রণে টাং পিয়ার্সিং

বার্তা সংস্থা বিবিসি জানিয়েছে, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রকাশিত সায়েন্স ট্রান্সলেশনাল ম্যাগাজিনে নিজেদের গবেষণা প্রতিবেদন নিয়ে বিস্তারিত প্রকাশ করেছে জিওনঘি কিম এবং মায়সাম গোভানলোর নেতৃত্বাধীন জিআইটির বিজ্ঞানীদল।
গবেষকরা বলেছেন, ভয়েস কমান্ড বা ব্রেইন সিগনালের মাধ্যমে হুইলচেয়ার নিয়ন্ত্রণের অনেক সীমাবদ্ধতাকে এড়িয়ে পক্ষাঘাতগস্তদের জন্য চলাফেরা অনেক সহজ করে দিতে পারে এই প্রযুক্তি।
কানের দুল বা নাকের ফুল যেমন বাঙালি মেয়েদের ঐতিহ্যের একটা অংশ, ঠিক তেমনি পশ্চিমা সংস্কৃতিতেও আছে দেহের বিভিন্ন অংশ ফুটো করে অলংকার পরার চল, যার নাম বডি পিয়ার্সিং। পশ্চিমা সংস্কৃতিতেও নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যেই জিভ এবং চোখের ভ্রুয়ের মতো দেহের বিভিন্ন অংশ ফুটো করে অলংকার পরার এই চল রয়েছে। হাল আমলে পিয়ার্সিং জনপ্রিয় হলেও, আফ্রিকা ও আমেরিকান আদিবাসীদের মধ্যে হাজার বছর আগেও এর চল ছিল।


পক্ষাঘাতগ্রস্তদের মধ্যে ট্যাটরাপ্লেইজা-এর শিকার রোগীদের কথা মাথায় রেখে এই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করেছেন জিআইটির বিজ্ঞানীরা। ট্যাটরাপ্লেইজার ফলে সব হাত-পা পক্ষাঘাতের শিকার হয়।
বিজ্ঞানীরা জিভ ফুটো করে পরা অলংকারের মাধ্যমে হুইলচেয়ার নিয়ন্ত্রণের এই প্রযুক্তির নাম দিয়েছেন ‘টাং ড্রাইভ সিস্টেম’, সংক্ষেপে টিডিএস।
দুটি অংশে বিভক্ত টিডিএস ডিভাইসটি। প্রথম অংশটি হল জিভ ফুটো করে পরার জন্য গোলাকার একটি অলংকার আর দ্বিতীয় অংশটি হল হেডসেট।

গোলাকার অলংকারটি আদতে চুম্বক। জিভের নড়াচড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখের ভেতরের চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তন চিহ্নিত করে হেডসেটের সেন্সর। হেডসেট থেকে ডেটাগুলো চলে যায় ব্যবহারকারীর আইপডে, আর আইপডটি কন্ট্রোল কমান্ড পাওয়ার পর তা পাঠিয়ে দেয় বিদ্যুৎচালিত হুইলচেয়ারে।
বিজ্ঞানীরা ২৩ জন পুরোপুরি সুস্থ এবং ১১ জন পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তির উপর এই প্রযুক্তির পরীক্ষা চালান। ৩০ মিনিটের প্রশিক্ষণের পর সফলভাবে টিডিএস ব্যবহারে সক্ষম হন অংশগ্রহণকারীদের সবাই।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।