আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুভি রিভিউঃ স্পিলবার্গের " War horse "

মানুষের সাহচর্যে এসে একটি ঘোড়াও কখনও কখনও তার অসাধারণ শৌর্যবীর্য দেখাতে পারে তা "ওয়্যার হর্স" না দেখলে বুঝা যায় না । ঘোড়াটির নাম জয়ী , প্রথমে সবার চোখে একটি সাধারণ ঘোড়া হিসেবে দেখা গেলেও পরবর্তীতে আস্তে আস্তে অসাধারণ একটি ঘোড়া হয়ে উঠে । গৃহপালিত ঘোড়া হতে শুরু করে যুদ্ধের ঘোড়া হিসেবেও তার আবির্ভাব ঘটে এক সময় । আর কিভাবে মানুষের কথা বুঝার ক্ষমতা , আরেকটি পশুকে বুঝার ক্ষমতা সব যেন অসাধারণভাবে রুপালী ফ্রেমের পর্দায় ধরা পরেছে এ "ওয়্যার হর্স" ছবিতে । নিলামে তোলা হয় একটি ঘোড়া, যার প্রতি কারো দৃষ্টি নেই তেমনভাবে কিন্তু সেই ঘোড়াই আলবার্টের বাবা ৩০ গিনিতে কিনে নেয় ।

ঘোড়াটি নিয়ে যখন বাসায় আসা হয় তখন আলবার্টের মা এই অর্থ ব্যয়ের জন্যে প্রতিবাদ জানায় কিন্তু আলবার্টের ঘোড়াটির প্রতি এক অন্যরকম ভালো লাগা ছিল । তাদের লেনলর্ড থেকে নেয়া অর্থ দিতে হবে ঠিক সময়ে এ শর্তে ঘোড়াটি তারা পালন করতে শুরু করে না হলে ঘোড়াটি বিক্রি করে দিতে হবে । অবশেষে ঘোড়াটি পালনের দায়িত্ব এসে পরে আলবার্টের ওপর । আলবার্ট ঘোড়াটির নাম দেয় জয়ী । লেনলর্ডের অর্থ ঠিক সময়ে ফেরত দেয়ার জন্যে আলবার্টের ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বে ও ঘোড়াটি দিয়ে চাষাবাদ করা শুরু হয় কিন্তু অসময়ে বৃষ্টির জন্যে তাদের ফসল নষ্ট নয় আর তার জন্যে জয়ীকে তার বাবা বিক্রি করতে বাধ্য হয় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা জেমির কাছে ৩০ গিনিতে ।

শুরু হয় জয়ীর অন্যরকম জীবন । গৃহপালিত একটি ঘোড়া থেকে জয়ী হয়ে উঠতে থাকে যুদ্ধের ঘোড়া । কিন্তু এক যুদ্ধে সেই কর্মকর্তা জেমি মারা যান আর জয়ীর অবস্থান হতে থাকে বিভিন্ন জনের হাতে । একেকবার জয়ী একেকজনের হয়ে কাজ করতে থাকে । যুদ্ধের এক অসীম শক্তিশালী যোদ্ধা হিসেবে আবির্ভূত হয় জয়ী ।

এভাবে বিভিন্ন যুদ্ধে ঘুরতে ঘুরতে জয়ী এক সময় আহত হয় , আর এভাবেই "ওয়্যার হর্স" ছবির গল্প এগিয়ে চলতে থাকে । ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত স্পিলবার্গের "War horse" মুভিটির আইএমডিবি রেটিং-৭.২ । মুভিটির ব্যাপ্তিকাল১৪৬ মিনিট । মুভিটিতে অভিনয় করেছেন - জেরেমি এরভেনি , এমেলি ওয়াটসন, ডেভিড দেউলিস সহ আরও অনেকে । মুভির লাইট , ক্যামেরা , অ্যাকশন সবই চোখে পড়ার মত।

একজন মানুষের কাছে তার প্রিয় ঘোড়াটি যে কতটা প্রিয় হতে পারে তার উপস্থিতি ছবির প্রতিটি দৃশ্যজুড়ে পাওয়া যায় । ছবির গল্প , ডায়ালগ এক একটা সময় দর্শক হিসেবে অনেকটাই আবেগাতাড়িত করে তুলবে । অসাধারণ এক মিলন দেখা যাবে ছবির শেষ দৃশ্যে আলবার্ট এবং জয়ীর । "War horse" ছবিতে অসাধারণ কাজ দেখিয়েছেন গুণী নির্মাতা স্টিভেন স্পিলবাগ , এক কথায় ছবিতে কাহিনীর উপস্থাপনা , ছবির লোকেশন আর বিশেষ করে একটি ঘোড়া যে কিভাবে তার দারুণ সব নৈপুণ্য দেখিয়ে একটি ছবির কেন্দ্রবিন্দুতে থেকে দর্শকদের মাঝে কিভাবে দারুণভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে তার এক সার্থক রুপ দেখিয়েছেন রুপালী পর্দার ফ্রেমে পরিচালক স্টিভেন স্পিলবাগ ।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.