বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অগ্নিদগ্ধ চালক এনামুল হক (২২) কালিয়াকৈর উপজেলার আন্দারমানিক এলাকার আব্দুল কদ্দুসের ছেলে।
অগ্নিদগ্ধ চালক এনামুল বলেন, “সফিপুর বাজারে পৌঁছা মাত্রই ৩/৪জন লোক এসে গাড়ির গতিরোধ করে।
“গাড়ির গেইট বন্ধ করে বলে ‘ওরেসহ পুইড়া মার। ’
“এ কথা বলতে বলতেই আমার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এরপর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। ”
এ ব্যাপারে সফিপুর আনসার একাডেমি হাসপাতালের চিকিৎসক মো. খালিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আগুনে এনামুলের শরীরের বিভিন্ন স্থানের ১৫ অংশ পুড়ে গেছে।
“যদি তার অবস্থার অবনতি হয় তাহলে এখান থেকে তাকে রেফার্ড করা হবে। ”
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানিয়েছে, ১৮ দলের ডাকা অবরোধের শেষ দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
চন্দ্রা থেকে চন্দনা-চৌরাস্তা যাওয়ার পথে সফিপুর বাজার এলাকায় পৌছলে ৩/৪ জন অবরোধকারী লেগুনার গতিরোধ করে।
এ সময় লেগুনার গেইট বন্ধ করে এনামুলের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় তারা।
এনামুলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে সফিপুর আনসার একাডেমি হাসপাতালে ভর্তি করে।
লেগুনা থেকে তাড়াহুড়ো করে নামার সময় অজ্ঞাত চার যাত্রীও আহত হন।
আগুনে লেগুনাটি সম্পূর্ন পুড়ে গেছে।
কালিয়াকৈর থানার ওসি ওমর ফারুক জানান, এ ঘটনায় লেগুনার মালিক খাজা মইনুদ্দিন ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জনের নামে একটি মামলা করেছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।