সুরের ইন্দ্রজালের অনিন্দ্য শৈল্পিকতায় বিশ্বে শাস্ত্রীয় সংগীতের সবচেয়ে বড় আসরটিতে ছিল দর্শক শ্রোতাদের উৎফুল্লতা ও উল্লাসের বাঁধভাঙা জোয়ার।
চিরচেনা আর্মি স্টেডিয়াম পরিণত হয়েছিল সুরের সাগরে। বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ও কলকাতার আইসিটি এসআরএ'র যৌথ আয়োজনের চার দিনব্যাপী শাস্ত্রীয় সংগীতের আসরের তৃতীয় দিনে গতকাল এমনটিই লক্ষ্য করা গেছে।
শাস্ত্রীয় সংগীতের সবচেয়ে বড় এই আয়োজনে গতকাল আসরের তৃতীয় দিনের সরোদে সুর তোলেন রাজরূপা চৌধুরী, কণ্ঠে সুর তোলেন কুমার মারদুর, পণ্ডিত উদয় ভাওয়ালকার ও বিদুষী পদ্মা তালওয়ালকার, সন্তুরে জাদুকরী মূর্ছনার সৃষ্টি করেন পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা, তবলায় অপূর্ব ব্যঞ্জনার ঝড় তোলেন পণ্ডিত স্বপন চৌধুরী, বাঁশিতে নানা ধরনের সুর তোলে দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ ও বিমোহিত করেন পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া। বিদেশি শিল্পীদের পাশাপাশি সেতারের সুরের বন্যা সৃষ্টি করেন বাংলাদেশের শিল্পী রীনাত ফৌজিয়া।
বিকাল সাড়ে ৫টায় শুরু হওয়া এই সুরের আসর চলবে ভোর পর্যন্ত। ২ ডিসেম্বর ভোরে শেষ হবে শাস্ত্রীয় সংগীতের চার রাতের এই বৃহত্তর আসর।
গতকাল বিকালে আসরের তৃতীয় দিনের আয়োজনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী। গতকালের আয়োজন উৎসর্গ করা হয়েছে পথিকৃত নৃত্যশিল্পী বুলবুল চৌধুরীকে। আজ শেষ দিনের আয়োজনে অংশ নেবেন বাংলাদেশের শিল্পী তামান্না রহমান (মণিপুরি নৃত্য), সুচিশ্রী রায় (কণ্ঠ সংগীত), রাহুল শর্মা (সন্তুর), পণ্ডিত উলহাস কাশালকার (কণ্ঠ সংগীত), ওস্তাদ বাহাউদ্দিন ডাগর (রুদ্র বীণা), ওস্তাদ রশিদ খান (কণ্ঠ সংগীত), বেগম পারভীন সুলতানা (কণ্ঠ সংগীত)।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।