একজন সুখী মানুষ
পুরুষতন্ত্র শাস্ত্রের দোহাই দিয়ে মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার অবসান ঘটায়, কেড়ে নেয় নারীর সম্পদ, নারীকে করে ফেলে তার অধীন সেবাদাসী। শাস্ত্র যেমন নারীকে হেয়, নিচ ও নিকৃষ্ট বলে গণ্য করেছে, তেমনি পুরুষতন্ত্রের মনীষীরাও নারীকে তাঁদের বাণীর দ্বারা নিকৃষ্ট, নিচ, দ্বিতীয় লিঙ্গ, অর্ধাঙ্গী ... ... ... করেছে ।
১। পুরুষ নারীর বাধ্য হলে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। – আল হাদিস
২।
আমি পুরুষদের জন্য অধিক ক্ষতিকর বিপদের জিনিস রেখে গেলাম সেটি হচ্ছে নারী । – আল হাদিস
৩। তোমাদের স্ত্রী তোমাদের শস্যক্ষেত্র, তাই তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছে প্রবেশ করতে পারো । -সুরা বাকারা : ২২৩
৪। ইহুদি পুরুষেরা প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করে; হাজার শুকরিয়া, তুমি যে আমাদের নারী করে সৃষ্টি করোনি।
৫। মহাভারতে আছে; নারী সর্প, নারী অগ্নি, নারী পাপি ।
৬। নারীকে কুমারীকালে পিতা, যৌবনে স্বামী ও বার্ধক্যে পুত্র রক্ষা করবে, নারী কখনোই স্বাধীন থাকার যোগ্য নয় । মনুসংহিতা (৯ : ৩)
৭।
নারী শয়তানের রূপে আসে আর শয়তানের রূপে যায় । -আল হাদিস
৮। নারীকে পুরুষের বুকের বাম পাঁজর থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে । -আল হাদিস
৯। (ক) স্বামীকে কখনো নিজের উপর অসন্তুষ্ট হইতে দিবেন না ।
তিনি যে ইশারায় চালাইতে চান সেই ইশারাতেই চলিতে থাকুন । আপনার স্বামী যদি আপনাকে বলে তুমি দুই হাত বাঁধিয়া সমস্ত রাত্রি আমার কাছে দাঁড়াইয়া থাক তথাপি তাহাতে বাধ্য হোন । তাহা হইলে খোদাও রসুল তাহার উপর সন্তুষ্ট হইবেন ।
(খ) স্বামী যদি কোন সময় কোন ত্রুটি পাইয়া আপনাদিগকে মারান বা গালাগালি করেন তজ্জন্য চুপচাপ গাল ফুলাইয়া মনের রাগে দূরে সরিয়া থাকিবেন না । বরং হাতে পায়ে ধরিয়া অনুনয়-বিনয় করিয়াও নিজের দোষ স্বীকার করিয়া যাহাতে তাহাকে সন্তুষ্ট করিতে পারেন, তাহার ব্যবস্থা করুন ।
(গ) আপনাদের স্বামীগণ আপনাদিগকে যেইরুপ চালাইতে চাহেন, সেইরুপ চলিতে থাকেন, আপনারা তাহাতেই সন্তুষ্ট থাকুন । কোন কাজে ও কোন কথাই তাদের মতের বিরুদ্ধাচরণ করিবেন না ।
(ঘ) খোদার নিবন্ধনে যাহার যেরুপ অদৃষ্ট ফলিয়াছে তাহার উপরই শোকর করা একান্ত কর্তব্য । যাহার স্বামী পাগল, বুদ্ধিহীন বা মুর্খ তাহার পক্ষে সে-ই আকাশের চাঁদ মনে করিতে হইবে । তাহার পদতলে মাথা নীচু করিয়া দিয়া জিন্দেগী কাটাইয়া লইলেই পরকালে বেহেশতের সুখ-শান্তি ভোগ করিতে পারিবেন ।
-মকছুদুল মোমেনীন (ক থেকে ঘ)
১০। বাইবেলে বলা হয়েছে-নারীর আত্মা নাই ।
১১। পুরুষতন্ত্র বিশেষত পাশ্চাত্যপুরুষ দুনিয়ার মানুষের শত-সহস্র সমস্যা এবং দুঃখ-দুর্দশার জন্য হাওয়া(আঃ) কে দায়ী করে থাকে । পৃথিবীর সবদেশে পুরুষ আদমের স্বর্গচ্যুতির ব্যাপারে হাওয়া (নারী) কে দায়ী করেন ।
যেহেতু পাশ্চাত্য ধর্মমতে মানব সন্তানের সব দুঃখ-কষ্টের মূলে নারী । তাই পাশ্চাত্যবাসী নারীর প্রতি বিরুপ । নারী পাপের উৎস বলে যিশু বিয়ে করেননি । তাঁর অনুসারী পাদ্রীগণ চিরকুমার থাকেন ।
অনেকে তাদের নিজ নিজ ধর্মের উল্লেখ করে বলবে যে একমাত্র কোরআন এবং ঋগ্বেদ এর মুল গ্রন্থ, বাকি যা আছে তা বিকৃত।
কথাগুলো সত্য হলেও এই কথাটাও মিথ্যা নয় যে তারা বিকৃত বইগুলো লিখেছে ওই ধর্মের দোহাই দিয়ে। আরও বলা যায় যে এই বিকৃত গ্রন্থগুলোও কিন্তু চলমান এবং প্রায় প্রত্যেক ধর্মভিরু মানুষের হাতে হাতে এবং তারা তা বিকৃত বলে ফেলে না দিয়ে বরং নারীদের বসে আনার জন্য কাজেও লাগায়। যখন কাজেই লাগায় তখন বিকৃতের দোহাই দেওয়াটা কতটা যুক্তিযুক্ত আপনারাই ভাল বলতে পারেন????
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।