আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফেসবুকে অনিয়ন্ত্রিত ট্যাগাচরণ ও আমার কিছু বক্তব্য



কয়দিন ধরে ফেসবুকে কিছু কিছু মেয়ের স্ট্যাটাসে দেখলাম ছেলেদের জন্য এক বিশেষ সতর্কবানী লিখা হয়েছে যাতে কেউ সজ্ঞানে এবং অজ্ঞানে ভুলেও নেক দিল নিয়ে নিজেদের ছবি তাদেরকে ট্যাগ না করে। প্রথমে এই ধরনের স্ট্যাটাস দেখে অত্যন্ত আনন্দিত হলাম যাক মেয়েরা তাদের টাইপড স্ট্যাটাস থেকে বের হয়ে নতুন ধারার স্ট্যাটাসের যাত্রা শুরু করলো যদিওবা ঠেকায় পড়ে। আগ্রহী হয়ে উনাদের প্রোফাইলে গিয়ে দেখি বিভিন্ন ছেলেদের ছবিতে ভরা এক ইনসাইক্লোপিডিয়া হয়ে গিয়েছে ট্যাগের কারনে। তাদের এই অবস্থা দেখে আমি নিজেও নস্টালজিক হয়ে গেলাম নিকট অতীতে ট্যাগ খাওয়ার বিড়ম্বনা নিয়ে। আমার এক বন্ধু আছে তার দুনিয়ার যতো স্ট্যাটাস আর পিকচার আছে সবটাতে আমি ট্যাগ খাবো।

যদি সে দিপু মনির বাসায় গিয়ে একদিনের জন্য দারোয়াগিরি করে ১০০ টাকা সেলামী পায় ঐটাও স্ট্যাটাস এবং ছবিসহ আমি ট্যাগ খাবো। আরেক বান্ধবী আছে তার যতো ছবি আছে সবগুলাতে ট্যাগ দিবে এমনকি সে মাঝে মাঝে আগের ট্যাগ রিমুভ করে ট্যাগ রিনিউ করে মানে আবার আমারে ট্যাগ দেয় যেটা হয়তো ১ বছর আগে দিছিলো-বেশরম মাইয়্যা। পরবর্তিতে বিরক্ত হয়ে ভাবছিলাম মার্ক জুকারবার্গরে একটা ফোন দেই কিন্তু মোবাইলে মাত্র ০.৫০ পয়সা ছিল। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পরে ফেবুতে একটা অপশন পেলাম যেটা হল কেউ ট্যাগ দিলে মডারেশনের ব্যবস্থা থাকে মানে আপনি চাইলে ঐ ট্যাগের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়কে আপনার ফেবু ওয়ালে প্রদর্শনের জন্য অ্যাপ্রুভ করতে পারেন নাও করতে পারেন। প্রথম যখন এই অপশন দেখি তখন আনন্দিত হয়ে বলেছিলাম “ঊলালা” কিন্তু পরে বুঝলাম ঊলালা না “ও আল্লাহ” কারন এই অপশনও আমাকে এই জঘন্য বিড়ম্বনা থেকে রক্ষা করতে পারছে না।

কারন কেউ যদি একবার আমারে ট্যাগ দেওয়ার নিয়ত করে তবে বিড়ম্বনা তখন থেকেই শুরু হয়ে যায়। যারা ট্যাগ করছে তাদের ট্যাগ অ্যাপ্রুভ না করলে কি হইছে তাদের ভক্তদের কমেন্টে আমার ফেবু একাউন্টের নোটিফিকেশনে লাল বাত্তি জ্বলে। আমি মনে করি ফেসবুকের মতো একটা জনপ্রিয় সোশ্যাল প্লাটফর্মে আমাদের আচরন অনেকটা সংযত হওয়া দরকার। ঘরোয়া আচরন যদি আমরা ফেসবুকে অন্যান্য লোকদের সাথে করি তবে আমরা যেমন বিরক্তির কারন হই তেমনি আমাদের ব্যক্তিত্বহীনতা অন্যদেরকে জানান দেই। হ্যা আপনি কাউকে ট্যাগ করতে পারেন তবে সে যদি সংশ্লিষ্ট ঐ বিষয়ের সাথে যুক্ত থাকে নতুবা নয়।

অসংযত আচরণ বিষয়টা এমন যেটা স্থানভেদে নিজেকে সংযত রাখতে পারে না। কারন এটা একটা অভ্যাসে এসে দাড়ায়। আপনি হয়তো ভার্চুয়াল জগতের আপনার এ খারাপ অভ্যাসকে কোনই গুরুত্ব দিলেন না কিন্তু বাস্তব জীবনে এই খারাপ অভ্যাস অন্য এক পরিবর্তিত রূপ হয়ে মানুষের বিরক্তির কারন হয়ে দাড়ায়। পরিশেষে সবার সুস্থতা কামনা করে এখানেই শেষ করছি, আল্লাহ হাফিজ। ফেসবুকে আমি........


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.