আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মোবাইল পিসির পর এবার হ্যাক হবে আপনার সিম কার্ড :


সাইবার হামলার মুখে দিন দিন উন্মুক্ত হয়ে যাচ্ছে বর্তমান সময়ে ব্যবহূত বিভিন্ন যন্ত্র। এরই ধারাবাহিকতায় এবার যুক্ত হলো মোবাইল সিম কার্ড। সম্প্রতি জাতিসংঘের এক সতর্কবার্তায় জানানো হয়, বিশ্বের ১২ দশমিক ৫ শতাংশ সিম কার্ড হ্যাকিং ঝুঁকির মুখে রয়েছে। খবর রয়টার্সের। ইন্টারনেটের মাধ্যমে কম্পিউটারের বিভিন্ন তথ্য চুরির পর এবার হ্যাকাররা গ্রাহকদের সেলফোনের সিম কার্ডের দিকে দৃষ্টি দিয়েছে।

এর মাধ্যমে গ্রাহকদের বিভিন্ন স্পর্শকাতর তথ্য হাতিয়ে নেয়ার পাশাপাশি এসব সিম কার্ডের ক্লোনও তৈরি করছে তারা। এর ফলে গ্রাহকের অজান্তেই তার সিম কার্ডটি ব্যবহার হতে পারে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে। জার্মান কম্পিউটার নিরাপত্তা কোম্পানি জেমালটো এনভি জানায়, সিম কার্ডের ক্লোন করছে সন্ত্রাসীরা। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। সম্প্রতি ল্যাস ভেগাসের ব্লাক হ্যাট হ্যাকিং সম্মেলনে এ দাবি করে তারা।

বার্লিনভিত্তিক কোম্পানিটির এ দাবির পর বিষয়টি নিয়ে আরো অনেক গবেষণা করে জাতিসংঘ। গবেষণার পর জাতিসংঘের জেনেভাভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) বিষয়টিকে একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করে। আইটিইউয়ের মহাসচিব হামাদান তোউরে জানান, তারা এ হুমকির উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পেয়েছেন। আইটিইউয়ের এ গবেষণা বেশ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি টেলিযোগাযোগ কোম্পানিগুলোর ওপরও পরিচালিত হয়। প্রায় ২০০টিরও অধিক দেশে এ গবেষণা পরিচালিত হয়।

গবেষণার ফল থেকে দেখা যায়, মোবাইল অপারেটরগুলোর অধিকাংশই এ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সিম কার্ডে এখন যে প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে, তা অনেক পুরনো। ডিইএস প্রযুক্তির এ সিম কার্ডগুলো তাই হ্যাকারদের কাছে সহজেই ভঙ্গুর হয়ে পড়বে। মোবাইল সিম কার্ড হ্যাকিং হওয়ার গবেষণার সঙ্গে যুক্ত গবেষক দলের প্রধান কার্স্টেন নল সম্প্রতি এ তথ্য জানান। নল আরো জানান, বিশ্বে প্রায় ১২ দশমিক ৫ শতাংশ সিম কার্ড এর ফলে ঝুঁকির মুখে রয়েছে।

তবে এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। কেননা সিম কার্ড হ্যাকিংয়ের মাত্র একটি পদ্ধতি সম্পর্কেই তারা জানতে পেরেছেন। বিভিন্ন কোম্পানি এ সম্পর্কে গবেষণা চালালে আরো অনেক নতুন নতুন পদ্ধতি জানতে পাওয়া যাবে; যার থেকে এ ঝুঁকির পরিমাণও বাড়বে বলে মনে করেন নল। এ হামলার চরম দিক হলো হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সিম কার্ড ক্লোন করা। একজন হ্যাকার এ কাজ করতে সক্ষম হলে তা হবে খুবই ভয়াবহ একটি ব্যাপার।

কেননা এর মাধ্যমে একজন প্রকৃত মোবাইল ব্যবহারকারীর মতো করেই হ্যাকার এ সিমকে ব্যবহার করতে পারবে। নল হুঁশিয়ারি করে দিয়ে বলেন, হ্যাকাররা এর ফলে ওই সিম থেকে ফোন করা, মেসেজ পাঠানোর মতো কাজগুলোও করতে পারবে। একই সঙ্গে সিমে রাখা যেকোনো তথ্য সম্পর্কেও জেনে যেতে পারবে তারা। অধিকাংশ গ্রাহকই তাদের মাস্টার কার্ড ও পেপাল অ্যাকাউন্টের গোপন নম্বর সিম কার্ডে তুলে রাখেন। এ হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে হ্যাকাররা এ তথ্য জেনে নিতে পারবেন।

এ তথ্য ব্যবহার করে গ্রাহকের অজান্তেই তার অর্থ হাতিয়ে নিতে পারবে তারা। বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৬০০ কোটি সেলফোন চালু রয়েছে বলে জানায় আইটিইউ। এর মধ্যে প্রায় ৫০ কোটি মোবাইলই হ্যাকিং ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন সংস্থাটির প্রধান তোউরে। তবে এ হামলা এড়ানো ও এর থেকে বাঁচার উপায় উদ্ভাবনের জন্য তার সংস্থা এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে বলেও নিশ্চিত করেন তোরে। এছাড়া সবসময় মোবাইল ও ইন্টারনেটের খুটিনাটি জানতে এ পেজ ক্লিক করুন।

হয়ত পেয়ে যাবেন আপনার প্রত্যাশিত অজানা তথ্যটি এবং আপনার জানা বিষয়টিও এ পেজ এ শেয়ার করলে আমরা অনেকেই উপকৃত হতে পারি।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.