নির্বাচন থেকে জাতীয় পার্টির সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা ইতিবাচকভাবে দেখছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। এতে একতরফা নির্বাচনের প্রক্রিয়া আরও গ্রহণযোগ্যতা হারাল বলে মনে করছে দলটি। তবে এখনো এরশাদের ওপর পুরোপুরি আস্থা রাখতে পারছে না বিএনপি।
নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েও আজ মঙ্গলবার নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। তাঁর এ ঘোষণা নিয়ে তাত্ক্ষণিকভাবে বিএনপিতে দলীয়ভাবে কোনো আলোচনা হয়নি।
আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়াও জানায়নি বিএনপি। তবে দলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এরশাদের সরে দাঁড়ানোর ঘোষণায় বিএনপি কিছুটা উজ্জীবিত।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, সরকার একতরফাভাবে নির্বাচন করতে যাচ্ছে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই সব দলের অংশগ্রহণ নেই। জাতীয় পার্টির নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণায় নির্বাচনী প্রক্রিয়া আরও বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের স্থায়ী কমিটির আরেকজন সদস্য প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, এরশাদের স্থিতিশীলতা নিয়ে সন্দেহ আছে। তিনি বারবার নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেন। এটিই যে তাঁর শেষ অবস্থান, তা বলা যাবে না। তবে এরশাদের এই ঘোষণা বিএনপির জন্য ইতিবাচক। কারণ তাঁর এই ঘোষণায় নির্বাচনের প্রক্রিয়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে আরও বিশ্বাসযোগ্যতা হারারে এবং প্রশ্নের মুখে পড়বে।
ওই নেতা বলেন, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট এত দিন যে দাবি জানিয়ে আসছে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এরশাদের সরে দাঁড়ানোর মধ্য দিয়ে বিএনপির এই দাবি আরও জোরালো হলো।
বিএনপির চেয়ারপারসনের একজন উপদেষ্টা বলেন, তাঁরা এরশাদের এই সিদ্ধান্ত ইতিবাচকভাবে দেখছেন। তবে এরশাদ যদি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পাশাপাশি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে নামেন, তাহলে বিএনপি আস্থা ফিরে পাবে।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট।
নির্বাচনের যে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, বিএনপি এতে সাড়া দেয়নি। এরশাদ ‘সর্বদলীয়’ সরকারে যোগ দিয়ে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিলে তাঁর দলে ভাঙন ধরে। একপর্যায়ে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরকে বহিষ্কার করা হয়। জাফর পাল্টা এরশাদকে বহিষ্কার করেন। এরপর কাজী জাফরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টিতে থাকা বিএনপিঘেঁষা একটি অংশ বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করে আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।