কিছু দেশ দেখার সুযোগ হয়েছে এই জীবনে। ভ্রমণ আমার ভাল লাগে্ তাই সবার মাঝে তা জানাতে চাই। সবার উপরে ভালোবাসি বাংলাদেশ । ধন্যবাদ
সকাল বেলা বেনতিউ থেকে বিমানে করে মালাকালের পথে রওয়ানা হলাম। আজকে ফ্লাইট টাইম প্রায় পঞ্চাশ মিনিট।
আজকে মালাকাল পোর্টে কাজ ছিল। এর আগে মালাকালে এসেছিলাম তবে পোর্টে আসা হয়নি। এর পাশ দিয়ে চলে গিয়েছিলাম। আজ সরাসরি এখানে চলে এলাম। অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে বসে অপেক্ষা করছে, কুলিরা মাল পত্র নামানো উঠানোর কাজে মেতে আছে, সেই চির পরিচিত দৃশ্য, শুধু আলাদা দেশ অচেনা মানুষ আর নতুন জনপদ।
নদীর পার ধরে দোকান পাট অফিস আদালত, থানা পুলিশের ফাঁড়ি সব গড়ে উঠেছে।
মালাকাল পোর্ট
জেটি গুলো বেশ পুরাতন ও মেরামতের অভাবে জীর্ণ। এর মাঝেই সব কাজ কর্ম চলছে। বারজে করে মালপত্র এসেছে, সবই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষ। একটা ফেরিতে উঠলাম।
এর সারেং বা চালক সুদানি। আরবিতে কথা বলছে। বেশ অভিজ্ঞতা আছে এই বন্দরে জাহাজ নোঙর করানোর। আরবিতেই কথা বলছে, চিৎকার চেঁচামেচি চলছে ফেরি জেটিতে লাগছে। বেশ কর্মব্যস্ত পরিবেশ।
মালাকাল পোর্ট
জেটি থেকে জাল দিয়ে মাছ ধরছে কেউ কেউ। বড়শিও ফেলেছে কয়েকজন। নদীর পাড়ের মানুষেরা আর নৌকা জাহাজের খালাসি সারেংরা নদীতেই তাদের খাবার দাবারের ব্যবস্থা করে। এই বন্দরে মালামাল পরিবহন বেশ ব্যয় বহুল। বর্ষার কারনে রাস্তা ডুবে যাওয়াতে বেশীরভাগ মালপত্র আসে নদীপথে।
জুবা থেকে চারটা প্রদেশের উপর দিয়ে এই নদীপথে মালামাল আসে। পথে নৌ বন্দর আছে চারটা, নামেই বন্দর, অবস্থা এই মালাকালের মতই। যুদ্ধ এবং অভাব এতদিন উন্নয়নে বাধা হিসেবে ছিল। দেখা যাক সামনে কি হয়।
নদী পারাপার
নদী এখানে বেশ প্রসস্থ স্রোত ও আছে বেশ।
মানুষজন ছোট নৌকা, ইঞ্জিন চালিত নৌকাতে নদী পাড়ি দিচ্ছে। ওপারে নদীর পাড় থেকে একটু ভিতরে খালের মত একটা অংশ আছে সেখানে গিয়ে নৌকা গুলো থামে। এপার থেকে জিনিষ পত্র নিয়ে ছোট নৌকা দিয়ে মানুষজন ওপারে যায়। কয়েকটা ডিঙি নৌকাও ভেসে আছে এই হোয়াইট নাইলের বুকে। জেলেরা এইসব নৌকাতে বসে মাছ ধরছে, দিন শেষে ফিরে আসে এগুলো মালাকাল বাজারে বিক্রি করে দেবে।
বার্জ থেকে বন্দরের দৃশ্য
মালাকাল বন্দরে ঘণ্টা খানেক থেকে ফিরে চললাম শহরের দিকে। একদিন এর পাশ দিয়ে গিয়েছিলাম। সময় ছিল না দেখতে পারিনি। আজ প্রান ভরে নদী পাড়ের দৃশ্য দেখা হল। পরদিন মালাকাল থেকে বিমানে জুবাতে ফিরে এলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।