আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধন্যবাদ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ


সরকার পরিচালিত রাষ্ট্রায়াত হাসপাতাল সম্পর্কে আমাদের অনেক অভিযোগ। কিন্তু কখনো চিন্তা করি না, একজন নিঃস্ব মানুষ বিনামুল্যে এখনো নূন্যতম চিকিৎসা করাতে পারে। দূঘর্টনার পর একজন মানুষকে নিয়ে গেলে, জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা পায়। সেবার জন্য যে পরিমান লোকবল আছে, তার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ চিকিৎসা নিতে যায়। তারপরও নিরলসভাবে তারা মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

কোন ভুলের জন্য তাদের অভিযোগ দিই, কখনো গালি দিই। কিন্তু যারা ভাল কাজ করে তাদের ধন্যবাদ দিই না। আজ আমরা কিছু মানুষ গিয়েছিলাম ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে পরিচ্ছন্ন কর্মী হতে চিকিৎসক পর্যন্ত প্রত্যেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে। তাদের নিরলস পরিশ্রম ও মানুষের প্রতি ভালবাসার জন্য। আশা করি আবার যাব।

আপনিও যখন সেবা নিবেন অনুরোধ তাদের একটু বিনীতভাবে ধন্যবাদ জানান। তাতে মনোবল বাড়বে। আমরা একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। --------------- মাঝ রাতে আপনি অথবা আপনার পরিজন কেউ দূর্ঘটনায় আহত। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রাস্তা থেকে অপরিচিত কয়েকজন লোক কিংবা পুলিশ চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

জরুরী বিভাগে ভর্তি, দালালকে টাকা দেওয়া, দূর্নীতি, নোংরা পরিবেশ, ডাক্তার ডাক্তার চিৎকার, নার্স...নার্স, ঔষধ নাই এই সবই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গল্প। এই গল্প সবাই জানে। যে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে কোনদিন যায়নি, তারও জানা এই গল্প। এই গল্পগুলো কতটুকু সত্য কিংবা মিথ্যা তার হিসেব জানাতে চাই না। কিন্তু একবার চিন্তা করুন যখন আপনি দূর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন, আপনার পরিচয় ছাড়াই কে আপনাকে চিকিৎসা ( মেঝেতে হলেও আশ্রয় দিয়ে) দিয়েছিল? অনেক তো নামিদামি হাসপাতাল ছিল শহরে।

কিন্তু কেন ঐ হাসপাতালে আপনাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল? কি বিশ্বাস পাবলিকের ঐ হাসপাতাল সম্পর্কে? হ্যাঁ বিশ্বাস একটাই। যতই সীমাবদ্ধতা থাকুক। এই শহরে একটা মাত্র হাসপাতাল ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতাল, যে কিনা কোন পরিচয় ছাড়াই আপনাকে চিকিৎসা দিবে। গত ৬৭বছরে এই হাসপাতাল কত কোটি পরিচয়হীন আর ভারী পরিচয়যুক্ত মানুষের সুখ,দু:খের সাথী হয়ে তার হিসেব কোথাও নেই। এখনও বছরে এই হাসপাতালে মাত্র দুই হাজার+ কর্মকর্তা কর্মচারী ১০লক্ষের বেশি মানুষকে সরাসরি সেবা দেয়।

এই হাসপাতাল আমার আপনার অর্থে পরিচালিত হয়। তাই এই হাসপাতাল সর্ম্পকে প্রতিদিনেই আমাদের ক্ষোভ, অভিমান, অভিযোগের শেষ নেই। কিন্তু যারা প্রায় বিনামূল্যে বছরে ১০লক্ষ+ লোকের সরাসরি সেবা দেয়। কোনদিন কি জানতে চেয়েছি তাদের অভাব, অভিযোগের কথা ? তাদের কি আমরা একবার বলেছি ধন্যবাদ। এই ধন্যবাদ পাওয়া কিংবা দেওয়া তাদের প্রতি করুনা নয়।

এটা তাদের প্রাপ্য। যদি বিশ্বাস করেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল আপনার। তবে শুধু অভিযোগ, অভিমান,রাগ, ক্ষোভ, গালাগালির দিয়ে এর পরিবর্তন সম্ভব নয়। পরিবর্তনের দোহাই দিয়ে অনেক গালাগালি হয়েছে। যদি সত্যিকারের পরিবর্তন চান আসুন নিজেরাও একটু দায়িত্বশীল হই।

হাসপাতালটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, সুশৃংঙ্খল ভাবে পরিচালনার স্বার্থে আমরাও তাদের সহযোগিতা করি। ব্যস্ততার আপনার শেষ নেই। তারপর একদিন আপনার অবসর সময়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্যস্ত ঝাড়ুদার, ওয়ার্ড বয়, নার্স, ডাক্তার, কর্মকর্তা/কর্মচারী যেকোন একজনকে একটু সময় করে বলে যান। “ধন্যবাদ আপনাদের আমাদের সেবা দেওয়ার জন্য “ আমাদের বিশ্বাস সাধারণ জনগণের দায়িত্বশীল আচরণ আর ভালবাসায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম আরো গতিশীল হয়ে ওঠবে। আজ আমরা গিয়েছিলাম ঢামেক কে “ধন্যবাদ“ জানাতে।

আপনি কখন যাবেন?আপনার সাথে আমরা আবারও যেতে চাই। বলতে চাই “ধন্যবাদ আপনাদের, আমাদের সেবা দেওয়ার জন্য সুত্র: https://www.facebook.com/shovan1209
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.