দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম এবং সুন্দরতম বাগান হলো থাইল্যান্ডের নংনচ ট্রপিক্যাল গার্ডেন। পাম বা তালজাতীয় গাছের সংগ্রহের দিক থেকে নংনচের অবস্থান পৃথিবীর শীর্ষে। আর অর্কিড সংগ্রহের ক্ষেত্রেও এগিয়ে আছে নংনচ। থাই নাগরিক পিসিট এবং তার স্ত্রী নংনচ ১৯৫৪ সালে পাহাড় এবং পাহাড়ের উপত্যকায় প্রায় ৬০০ একর জমি কিনেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল একটি ফলের বাগান গড়ে তুলবেন।
একটি সুন্দর বাগান গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তারা ঘুরে বেড়াতে থাকেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বাগান। এরই মাঝে স্ত্রী নংনচ বেশ কিছু ভুবন ভুলানো ফুলের বাগান দেখে এতটাই মুগ্ধ হন যে, তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন ফল নয়, নানা প্রজাতির ফুল আর দৃষ্টিনন্দন গাছ, লতা ও গুল্ম দিয়ে সাজাবেন তার স্বপ্নের বাগান। এরপর নেমে পড়লেন বাগান গড়ার কাজে। ১৯৫৪ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৬ বছরে তিলে তিলে গড়ে তোলা এই বাগান অবশেষে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। বর্তমানে তাদের ছেলে ক্যামপন টানসাচা এই বাগানের দেখভাল করছেন।
একাধিক আকর্ষণ বাগানটিতে বারবার ফিরিয়ে আনে। এই আকর্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে ঝুলন্ত সেতুর পাশে বাগান, অর্কিড বাগান ইত্যাদি। প্রাচ্যে বসে ইউরোপ কিংবা ফ্রান্সের বাগান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে নংনচের ইউরোপিয়ান কিংবা ফ্র্যাঞ্চ গার্ডেন দেখে। যারা পানি আর ঝরনা ভালোবাসেন তাদের জন্য রয়েছে ফাউন্টেন গার্ডেন। পাথর দিয়ে সাজানো বাগানের নাম স্টেনহেঞ্চ গার্ডেন।
নানা রঙের বড় বড় ছাতার নিচে গড়ে তোলা হয়েছে আমব্রেলা গার্ডেন। প্রজাপতির অভয়ারণ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাটারফ্লাই গার্ডেনে। অন্যদিকে প্রেমিক-প্রেমিকাদের উৎসর্গ করা হয়েছে একাধিক হার্ট আকৃতির ফুলের বাগান কিংহার্ট গার্ডেন। আনারসের আদলে সাজানো হয়েছে পাইন আপেল গার্ডেন। বাগান দেখার পাশাপাশি পর্যটক আকর্ষণের জন্য নংনচ বাগানে আরও রয়েছে থাইল্যান্ডের ধর্মীয় রীতিনীতি, মার্শাল আর্ট এবং ঐতিহ্যবাহী হাতির কসরত দেখার ব্যবস্থা।
শিক্ষামূলক বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য বিখ্যাত এই বাগান। রাতে থাকারও ব্যবস্থা আছে বাগানের রিসোর্টে। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটকের পদভারে মুখর থাকে নংনচ ট্রপিক্যাল গার্ডেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।