নাটোর সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কালামকে গুলি করেছে সন্ত্রাসীরা। এক সংখ্যালঘু ছাত্রীকে নির্যাতন করার প্রতিবাদ করায় বখাটেরা কালামকে গুলি করেছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আক্রমণকারীদের গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে গ্রামবাসী। ঘটনার পর একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা গেলেও অস্ত্র এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
এলাকাবাসী জানায়, শনিবার রাত আটটার দিকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ও সদর উপজেলার কসবা গ্রামের মরহুম সুবহানের ছেলে আবুল কালাম সদর উপজেলার পীরগঞ্জ বাজারে একটি দোকানে চা খাচ্ছিল।
এ সময় শহরের তেবারিয়া এলাকার কয়েক জন যুবক তার ওপর আক্রমণ করে। এক যুবক তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে এবং অপর একজন কাছে থাকা অস্ত্র দিয়ে ফাঁকা গুলি করে।
এ সময় অস্ত্রধারী ওই যুবক কালামের মাথায় গুলি করলে গুলিটি কপালের একটি অংশ ছিড়ে চলে যায়। স্থানীয়রা সন্ত্রাসীদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে গণধোলাই দেয়। পরে আহত ওই ৩ যুবককে পুলিশে দেয়।
পুলিশ তাদের মধ্যে শহরের তেবারিয়া এলাকার রহিমের ছেলে আহত রাসেল ও একই এলাকার মুকুলের ছেলে বিপ্লবকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এছাড়া আটক তেবারিয়া এলাকার শুভকে থানায় আটক রেখেছে।
জানা যায়, এই তিন যুবক কলেজ পড়ুয়া এক সংখ্যালঘু ছাত্রীকে নিয়মিত উত্যক্ত করতো। কালাম ও এলাকাবাসী এ ব্যাপারে তাদের নিষেধ করলেও তারা নিয়মিত মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করায় তার বাবা তাকে দূরে তার মামার বাড়ি রেখে আসে। কালামের হস্তক্ষেপে এমনটা হয়েছে এর প্রতিশোধ নিতেই বখাটেরা তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল বলে জানা গেছে।
নাটোর সদর থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই মহিদুল বলেন, “আটককৃতদের কাছ থেকে ম্যাগজিন পাওয়া গেছে। এছাড়া আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।