চার রাজ্যে ভরাডুবি হওয়ার পর আজ ভারতের রাজনৈতিক শিবিরে একটি কথা স্পষ্ট হয়ে গেল। সেটি হলো গত দশ বছরের ইউপিও সরকারের ব্যর্থতার পরিণাম এবার ভোটের অঙ্কে স্পষ্ট হতে শুরু হয়েছে। রাজ্যগুলোর ভোটের ফলাফলে একটি কথা স্পষ্ট শুধু রাজ্যের শাসকবিরোধী অবস্থানই নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ অথবা দিল্লির মানুষ।
একদিকে মূল্যবৃদ্ধি। অন্যদিকে প্রবল দুর্নীতির অভিযোগ।
এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে নাভিঃশ্বাস উঠছে সোনিয়া গান্ধীর দলের। চূড়ান্ত অনাস্থা তৈরি হয়েছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যা রাহুল গান্ধীকে সামনে রেখেও সমালোচনা সম্ভব হলো না। অথচ ২০০৪ সালে সোনিয়া গান্ধী দেশজোড়া প্রচার করেছিলেন গরিব মানুষের দল। হিসেবে কংগ্রেসকে সামনে রেখে। কিন্তু ইউপিএ দ্বিতীয় দফায় এসে এই ধারণাটি কার্যত ভেঙে পড়ে।
শুধু যে আম জনতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তার দল এমনটাই নয়, একের পর এক আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়গুলো সামনে আসতে থাকে। ঘটে কমনওয়েলথ টু জি, কয়লা কেলেঙ্কারি। দিল্লিতে নারী ধর্ষণের ঘটনাও প্রবল জনরোষ তৈরি করে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
আম আদমি পার্টির সাফল্য এ কথা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, খোদ কংগ্রেসের ঘর শাহী দিল্লিতেও একটি বিরাট কংগ্রেসবিরোধী পরিসর তৈরি হয়েছিল। নতুন প্রজন্ম ত্যক্তবিরক্ত হয়ে উঠেছিল কংগ্রেস নেতৃত্বের ওপর।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেও এই কংগ্রেসের বিরোধিতার চিত্রটি যে কমবে না বরং বাড়বে, সে কথাও মনে করছেন রাজধানীর রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।