ব্রিসবেনের পর অ্যাডিলেডেও অস্ট্রেলিয়ার একাধিপত্য। অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে কাল ২১৮ রানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ম্যাচে ব্রিসবেনে ৩৮১ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছিল ক্লার্করা।
অ্যাডিলেডে কাল সকালের সেশনে মাত্র ১১.৪ ওভারেই পতন ঘটে ইংল্যান্ডের শেষ চার উইকেটের।
আগের দিনের ২৪৭ রানের সঙ্গে আরও ৬৫ রান যোগ করতে পেয়েছে সফরকারীরা।
শেষ দিনে অস্ট্রেলিয়ার জয় ছিল অনেকটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। কেননা সারা দিনে দরকার ছিল মাত্র চার উইকেট। তাছাড়া ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারের ছয় ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর পঞ্চম দিনটা ছিল জয়ের আগে শুধু আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। কিন্তু স্বস্তিতে ছিলেন না স্বাগতিক দলের সমর্থকরা।
কেননা উইকেটে অপরাজিত ছিলেন ইংলিশ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ম্যাট প্রায়র। তাছাড়া সকালের বৃষ্টিও অসিদের আত্দবিশ্বাসকে নাড়িয়ে দিয়েছিল (১০ মিনিট দেরিতে খেলা শুরু হয়)।
চলতি বছরের মার্চ মাসে নিউজিল্যান্ডের ঘরের মাঠ অকল্যান্ডের ইডেন পার্কেও স্বাগিতকদের বিরুদ্ধে একই পরিস্থিতিতে পড়েছিল ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের জয়টা ছিল শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু ম্যাট প্রায়র একাই সারা দিন খেলে নিউজিল্যান্ডকে নিশ্চিত জয় থেকে বঞ্চিত করেছিলেন।
কাল অ্যাডিলেডেও প্রতিরোধ গড়েছিলেন প্রায়র। কিন্তু সঙ্গীর অভাবে লড়াইটা আর চালিয়ে যেতে পারেননি। অপরপ্রান্তে যাওয়ার আসার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেলে এক সময় ৩২ বছর বয়সী এই ইংলিশ তারকাও মনোসংযোগ হারিয়ে ফেলেন। পিটার সিডলের বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগে রায়ান হ্যারিসের তালুবন্দি হন। ৬৯ রানে থেমে যায় ম্যাট প্রায়রের ইনিংস।
ইংল্যান্ডের পরাজয়টাও নিশ্চিত হয় তখনই। শেষ দিনের চার উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন দুই পেসার রায়ান হ্যারিস ও পিটার সিডল। দ্বিতীয় ইনিংসের নায়কও তারাই। হ্যারিস ৫৪ রানে তিন উইকেট আর সিডল চার উইকেট নিয়েছেন ৫৭ রানে। তারপরেও দুই বোলারের কেউ-ই ম্যাচ সেরা হতে পারেননি।
পুরস্কারটা উঠেছে সেই মিচেল জনসনের হাতেই। প্রথম ইনিংসে তো ইংল্যান্ডকে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন এই অসি তারকা বোলার। নিয়েছেন সাত উইকেট। সব মিলে অ্যাডিলেডে ৮ উইকেট।
টানা তৃতীয় অ্যাশেজ হারের পর অবশেষে জয়ের পথে হাঁটছে অস্ট্রেলিয়া।
দলের সঙ্গে দারুণ প্রত্যাবর্তন মিচেল জনসনেরও। অস্ট্রেলিয়ার টানা দ্বিতীয় জয়, আর জনসন টানা দ্বিতীয় ম্যাচে 'ম্যান অব দ্য ম্যাচ'। কুইন্সল্যান্ডে জন্ম নেওয়া অস্ট্রেলিয়ার এই তারকা বোলার ব্রিসবেনে নিয়েছিলেন নয় উইকেট। দুই ম্যাচ মিলে ১৫ উইকেট নিয়ে যেন অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে উড়ছেন জনসন। 'কী আর বলব! এই মুহূর্তে আমি যে ঠিক কতটা উৎফুল্ল তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।
শুধু এইটুকু বলতে চাই, আমার অসম্ভব ভালো লাগছে। ব্রিসবেনের পর অ্যাডিলেডেও ম্যাচ সেরা হতে পারব এটা আমি কখনোই ভাবিনি। তবে আমি পারফরম্যান্সের এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই। এখন লক্ষ্য আগে সিরিজ জয় করা' -এভাবেই বলেন জনসন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।