সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “কোনো বিষয়কেই অশুভ ও কুলক্ষণে মনে করা শিরকের অন্তর্ভুক্ত। তিনি এ বাক্যটি তিনবার উল্লেখ করেন। ” (মুসনাদ আহমদ বিন হাম্বল শরীফ ১ম খ- ৪৩৮ পৃষ্ঠা ও শরহুত ত্বীবী আলা শরহিল মিশকাত শরীফ ৮ম খ- ৩২ পৃষ্ঠা)
উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সম্মানিত শরীয়ত উনার মধ্যে অশুভ, কুলক্ষণ, ছোঁয়াচে বলতে কিছু নেই। তাই এ রকম কিছু পবিত্র ঈমান ধ্বংসকারী কুসংস্কার নিয়ে নিম্নোক্ত আলোচনা করা হলো:
১. রাস্তা চলার সময় কোনো প্রাণী যদি ডান দিক থেকে রাস্তা অতিক্রম করে বাম দিকে যায় তাহলে গমন শুভ, কল্যাণকর হবে। আর যদি বিপরীত দিকে যায় তাহলে কুলক্ষণে হবে, এরূপ বিশ্বাস করা।
২. শান্তির প্রতীক বা শান্তি লাভের আশায় পাখি উড়িয়ে দেয়া।
৩. ঘুম থেকে উঠে বন্ধ্যা ব্যক্তিকে দেখলে অশুভ মনে করা।
৪. ছফরে বের হওয়ার সময় খালি কলস দেখলে ছফর অশুভ হবে বলে বিশ্বাস করা।
৫. বাম চোখ কম্পিত হলে অশুভ আগমনের লক্ষণ মনে করা।
৬. বিড়াল কোনো দিকে মুখ করে পা চাটলে সেদিকের আত্মীয় বাড়িতে আসবে বলে বিশ্বাস করা।
৭. শনিবার ও মঙ্গলবার ইন্তিকাল করাকে কুলক্ষণে এবং জাহান্নামী হওয়ার আলামত মনে করা যা কাট্টা কুফরী আক্বীদার অন্তর্ভুক্ত। কেননা, হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি মঙ্গলবার এবং হযরত উমর ফারূক্ব আলাইহিস সালাম তিনি ও হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি শনিবার বিছাল শরীফ গ্রহণ করেছেন।
৮. পরীক্ষার পূর্বক্ষণে ডিম বা কলা খাওয়াকে পরীক্ষা পাসের প্রতিবন্ধক মনে করা।
৯. সময়কে গালি দেয়া।
১০. জোরে বাতাস প্রবাহিত হতে দেখলে বাতাসকে গালি দেয়া।
১১. আকাশে দীর্ঘ সময় মেঘ থাকতে দেখলে মেঘকে গালি দেয়া ইত্যাদি।
মূলত, এগুলো সবই কুসংস্কার ও কুফরী আক্বীদার অন্তর্ভুক্ত। এর থেকে বেঁচে থাকা সকলের জন্যই ফরয।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।