আমি পথহারা পথিক...পথে পথে ঘুরে বেড়াই, পথের নেশায়....লোকের কথা শুনি, কখনো কখনো বলার চেষ্টাও করি। আমার কথা সবার ভাল লাগবে এমনটা আশা করি না। আমি বিশ্বাস করি, যে পথের নেশায় পথে পথে ঘুরে বেড়াই, সেই পথের দেখা আমি পাবই........
যারা সারা বিশ্বে সভ্যতার ফেরি করে বেড়ায়...অনেকটা চেতনার ফেরিওয়ালাদের মত আবার সুযোগ পেরেই নাক সিটকিয়ে আমাদের বাঙ্গাল বলে গালি দেয়। সেই বিশ্ব চোরদের লজ্জাস্কর মুখোশ উন্মচন হল গত রবিবার আর একবার। সুজাতারা আমাদের সভ্যতা শেখানোর জন্য উপদেশ/ আদেশের বস্থা নেয়ে হাজির হয় অতছ... তারা নিজেরাই এখনও সভ্য হতে পারেনি...
ছবির মত দেশ সিঙ্গাপুরে অঘটন ঘটিয়ে দিলো ভারতের মানুষ, লিটল ইন্ডিয়ায় তাদের জ্বালাও-পোড়াও আর ভাংচুর দেখে অবাক এবং স্তব্ধ হয়ে গেছে ১০০ ভাগ শিক্ষিত মানুষের দেশ সিঙ্গাপুর।
বাস চাপায় এক ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনায় সিঙ্গাপুরে নজীরবিহীন তাণ্ডব চালায় সে দেশে থাকা কয়েকশ' ভারতীয়। বিবিসি। সিঙ্গাপুর ভীষণভাবে বিদেশী কর্মীদের ওপর নির্ভরশীল একটি দেশ। প্রবাসী কর্মীদের বেশীর ভাগ দক্ষিণ এশিয়ার, যাদের মধ্যে ভারতীয়দের সংখ্যা অনেক। আর দক্ষিণ এশীয় মানুষের আবাস এবং বিচরণের ক্ষেত্রটুকু পরিচিত লিটল ইন্ডিয়া নামে।
সিঙ্গাপুর গেছেন অথচ মোস্তফা সেন্টার যাননি, এমন বাংলাদেশী বা ভারতীয় খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ছুটির দিন রোববারে লিটল ইন্ডিয়া আক্ষরিক অর্থেই ভারতীয় উপমহাদেশের মিনিয়েচার হয়ে দাঁড়ায়। আড্ডা খানাপিনা আর পান পর্ব জমে ওঠে পুরো এলাকায়। এমনই ছুটির দিন রোববারে এক ভারতীয় প্রাণ হারান গাড়ির নিচে পড়ে। কঠোর ট্রাফিক আইন মেনে চলা শহর-রাষ্ট্র সিঙ্গাপুরে সড়ক দুর্ঘটনা খুব একটা ঘটে না।
আর কোন ধরনের মিছিল বা বিক্ষোভ হয় না দেশটিতে, আইনেই তার নিষেধ রয়েছে। তাই দুর্ঘটনা ও একজনের মৃত্যু'র খবর হজম করতেই যখন পুলিশ বেশ বিব্রত, তখন চারশ'র মত ভারতীয় রাস্তায় নেমে এলে আক্ষরিক অর্থেই হতভম্ব হয়ে যায় প্রশাসন। বিক্ষুব্ধরা সামনে যে গাড়ি পেয়েছে, তাতেই আগুন দিয়েছে। ভাংচুর করেছে পুলিশের গাড়িও। পুলিশ দাঙ্গা ঠেকাতে সক্রিয় হলে হামলার মুখে পড়ে।
সংঘর্ষে আহত হয়েছে ১৬ জন, যাদের বেশীর ভাগই পুলিশ সদস্য। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৭ জনকে। '৩০ বছরেরও বেশী সময় এ দেশে এমন দাঙ্গা হয়নি। ' এ কথা উল্লেখ করে পুলিশ কমিশনার ন' জু হী বলেন, 'এটা সহ্য করার মত নয়। সিঙ্গাপুরের রীতি এটা নয়।
'
এই ঘটনা এতটাই নাড়া দিয়েছে সমৃদ্ধ হাই-টেক দেশটিকে, উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী লি শিয়েন লুং। তিনি বলেন, "এই রকম সহিংস ও ধবংসাত্বক অপরাধের কোন ছাড় নেই। আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। "
সিঙ্গাপুর বিশ্বের সেসব দেশের মধ্যে অন্যতম, যেখানে আইন কানুন মেনে চলা হয় খুব কঠোরভাবে। এত সুশৃঙ্খল দেশটিতে এই দাঙ্গা ভারত শুধু নয়, বাংলাদেশ ও অন্যান্য দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর ইমেজ ক্ষুণ্ণ করবে প্রচণ্ড ভাবে।
তাণ্ডবের পর এই আশংকাই জেগেছে প্রবাসীদের মনে।
তথ্য সুত্র: Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।