আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সামনে যখন এগিয়েছি আর পিছু হাটার সময় নেই :: কয়েকটি লেখা একসাথে আপনাদের হাতে দিলাম

সসকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

বাংলাদেশী জাতি আজ মহা দূর্যোগে।

এক মহাজাগরণের ধামামা চারিদিকে বাজছে। কান খাড়া করে শুনুন। আজ আমার ভাই বোনের রক্ত দিয়ে রাজনীতিবিদরা খেলছে। তবুও তাদের রক্তস্নান শেষ হচ্ছে না। এ কোন খেলা? এ কোন রাজতীতি? বাংলাদেশের ইতিহাস অনেক বড় গৌরবের।

এই জাতির মহান স্বধিনতা যুদ্ধের মতো এতো অল্প সময়ে এতো রক্ত আর কে দিয়েছিলো! বিশ্বের বুকে আমরা কেনো মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারি নি? আজকের এই রাজনীতি বিদরা কারা? তারা যদি গণতন্ত্রের মধ্য দিয়েই এসে থাকে তাহলে এতো রক্ত কেনো? এতো এতো রক্ত, মৃত্যু, অঙ্গহানী, প্রাণ যাচ্ছে কোন দাবির জন্য। কি এমন জিনিস আমাদের অর্জনের বাকি আছে যার জন্য আজ আমাদের মতো নিরিহ মানুষদের জীবন দিতে হচ্ছে। আজ স্পষ্ট করে বলার সময় এসেছে স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশে কি কখনও গণতন্ত্র এসেছিলো? নাকি কিছু কিছু পরিবার, দূর্ণীতিবাজ, ঘুষ খোর, চাঁদাবাজদ, দালাল, ধর্মের নানে ভন্ডামি, শিক্ষিত চোর ও স্বার্থলোভি ব্যাবসায়ীর বলয়ের মধ্যে গণতন্ত্র বন্দি হয়ে আছে। আজ অনেক প্রতিভাধরদের আবেগের সাথে বলতে শুনি ছাত্র রাজণীতি বন্ধ করা দরকার। এই ছাত্র রাজনীতি দেশকে খেয়েছে! আসলে ছাত্র রাজনীতি কি আদৌ আছে।

সেই কবে এই ভন্ড প্রতারকরা আস্তে ধীরে ঠান্ডা মাথায় ছাত্র রাজণীতিকে বন্ধ করে দিয়েছেন তা কি তোমরা খেয়াল করো নি? আজ ছাত্র রাজণীতিতে শুধু রাজণীতি আছে, ছাত্র নেই। আজ আর কেউ তার সন্তান কে রাজনীতিবিদ বানাতে চায় না। তারা চায় তাদের সন্তান ডাক্তার হোক, ব্যারিষ্টার হোক, ইঞ্জিনিয়ার হোক, পাইলট হোক তাহলে ছাত্র রাজনীতির নামে এই মা বাবার অবাদ্ধ সন্তান কারা? কে তাদের অভিভাবক? তাদের অভিভাবক এই রাজনীতিক নামের পশুটি। তারা তাদের ব্যবসার জন্য, তাদের ব্যাংক ব্যালেন্স পাওয়ার-ক্ষমতা ভারি করতে কিছু মায়ের বুক থেকে সন্তান কেড়ে নিয়ে চাঁদাবাজ, গুন্ডা, জোচ্চোর, ব্লাকমেইলার বানিয়েছে। তাতে এই অবুঝ বাচ্চাদের দোষ কোথায়? আর এই বাচ্চাদের যারা সেল্টার দিচ্ছে তাদের সেল্টার দেয়ার নামে কিছু খারাপ মানুষ আজ রাজনীতির নাম করে পুরো দেশকে রক্তের হলি খেলায় মাতিয়েছে।

আজ মানুষের দেয়া আগুনে মানুষ পুরছে। পুরো জাতি হা হা করে দেখছে। আরে বন্ধু দেশই যদি না বঁচে আপনার সন্তান ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ডক্টরেট, ব্যারিস্টার হয়ে কি করবে? এখনকার ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সরকারী চাকুরীজিবিরা কি ধোয়া তুলশী পাতা? পুরো জাতি আজ নিরব হয়ে বসে আছে। বন্ধু তোমার ভিতরের মানুষটিকে জাগিয়ে তোলো। নয়ন তুলে স্পষ্ট করে দেখো একটি পরিবর্তন আসছে।

এই মূহুর্তে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ও সেনাবাহিনী দারুন সংকটে। তারা আজ বিশ্বমায়ের কাছে লজ্জিত। বিশ্বময় যে দেশের সেনাবাহিনী দাপোট দেখায়। যে দেশের সেনাবাহীনি অন্য রাষ্ট্রের নিরাপত্তা দেয় সে বাহিনী আজ কেনো চুপচাপ? তারা কেনো এই কসাইদের মেরে তছনছ করছে না? তারা কি বোঝে না এই মুষ্টিমেয় কিছু কুলংঙ্গারদের মেরে ফেললে দেশ থেকে ময়লা আবর্জনা সরে যাবে। আমাদের তরুন সমাজ অনেক বেশী সম্ভাবনাময়।

আজ দেশে ভালোমানের ইন্টারনেট সেবা ও আউটসোর্সিং এর বিশ্ব মার্কেট ধরতে পারলে আমরা একটি ধনী রাষ্ট্রে পরিনত হতে পারতাম। আমরা আদর্শের নামে কোন আদর্শের পথে হাটছি? কোন মৃত্যুক্ষুধা আমাদের এই নিরিহ সুন্দর জাতটিকে টেনে হিছরে কামড়াচ্ছে। আজ রাজনীতি এক অভিশাপের নাম। রাজনীতিবিদদের নামে কাদের আমরা মঞ্চে উঠতে দেখছি? আজ কে কামাল আতাতুর্কের মতো কিংবা ডাঃ মাহতির মোহাম্মদের মতো দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই যুগ অসীম সম্বাবনার যুগ।

আমরা যা দেখেছি কোনো কালের মানুষ এতো অল্প সময়ে এতো পরিবর্তন দেখেনি। তাহলে কিসের এই পরিবর্তনের জন্য দৌরানো। একই মোরোকে দুটি ভিন্ন দল দেশকে তছনছ করছে। কে বলেছে বাংলায় নেতা নেই? কে বলেছে বাংলায় মানুষ নেই? কে বলছে বাঙালী জাগতে জানে না? আজ দেশাত্ববোধের তলে সবাই আসন গ্রহন করলে দেশ ঠিকই সামনে এগিয়ে চলতে বাধ্য। আজ একটা পরিবর্তন আসছে।

অনেক দিনের অনিয়মের পরে নিয়ম আসতে বাধ্য। অনেক ভুলের পরে শুদ্ধ হবেই। মানুষের এই ছোট্ট জীবনের কোনো ত্যাগই বৃথা যায় না। আজ কিসের গণতন্ত্রের নামে আন্দোলন হচ্ছে? গণতন্ত্র কি আমার ভাই বোনের রক্ত? এই নষ্ট রাজনীতিবিদদের অনেক দিনের পাপের ফল আজ পুরো জাতির উপর পড়ছে। আমরা না জাগলে কে আমাদের জাগাবে? গনতন্ত্র কি? একবার ভেবে দেখো বন্ধু গণতন্ত্র আজ কাদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে।

তুমি দেশ নিয়ে ভাবছো? তাহলে তোমার পাশের অত্যাচারি মানুষটির অত্যাচার বন্ধ করা নিয়ে ভাবো দেশ জাগবেই। সাধারণ মানুষের অসাধারণ হয়ে ওঠার নামই গণতন্ত্র। এই অসৎ লোকদের ক্ষমতার দন্দ আর যাই হোক গণতন্ত্র নয়। এখন আর সেই বক্তব্যের যুগ নেই। এখন আর সেই পুরোনো সিস্টেম নেই।

নতুন এসেছে। এই আগমনকে প্রাণভরে মেনে নিতে না পারলে আসোল গণতন্ত্র আসবে না। এখন আর কাগজের বইয়ের যুগ নেই। তাই আমার এই কথাটিকে তোমরা যে যেভাবে পারো শেয়ার করে দিয়ো। মৃত্যুর ভয় আমি করি না।

যুগস্রষ্টারা কখনও মৃত্যু ভয়ে আতঙ্কিত নয়। আমরা যুগে আসি। এই আগুন নিয়ে খেলা আমাদের বন্ধ করতে হবে। আসো আমরা সব সাধারণ মানুষ জেগে উঠি। কে হিন্দু? কে মুসলমান? কে উপজাতি? আমরা সবাই গর্বিত বাঙালী।

এই মুষ্টিমেয় কিছু দূর্ণীতিগ্রস্ত মানুষের জন্য বাংলাদেশ উল্টো পথে হাটবে। অনেক সাধারণ মিলে অসাধারণ হয়। আর সেই অসাধণকে বরণ করে নেবার সময় এসেছে। বাংলাদেশের কয় জন মানুষ মন প্রাণ দিয়ে পলিটিক্যাল পার্টি করে। এই যুগ তথ্য প্রযুক্তির।

অন্য সময় হলে হয়তো দ্রুত খবর ছরাতো না। এই যুগ ইন্টারনেটের অবাধ তথ্য প্রবাহের। জীবনের সময় বড্ড কম। অনেক কাজ বাকি পড়ে আছে। একজন একজন করে সবাই জেগে উঠলে পুরো জাতি আজ উন্নত হতে বাধ্য।

চেয়ে দেখো গ্রাম গঞ্জের মানুষও আজ কতো সচেতন। যে টাকা দিয়ে আমরা রাজনীতির নামে দূর্ণীতিতে দেশ ভারি হচ্ছে। সেই দেশে ঐ টাকা দিয়ে অনেক গুলো পদ্মা সেতু ও ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়া সম্ভব। এই দায়িত্ব আজ আমাদের কাধে তুলে নিতে হবে। জন্ম যখন হয়েছে মৃত্যু হবেই।

মৃত্যু নামের পরম বন্ধুটি কোনোদিন বেঈমাণী করে না। আমরা স্বাভাবিক মৃত্যু চাই। আমার মা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তিনি প্রতিদিন বরিশাল থেকে ঝালকাঠী ১৬ কিলোমিটার পথ বাসে করে যাতায়াত করেন। আমি সকালে আমার মায়ের নামে গড়া মেরী কম্পিউটার্স নামের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে চলে আসি।

গত পরশু মা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝালকাঠী স্কুলে গিয়েছেন। মায়ের মোবাইল বন্ধ দেখে আমি কান্নায় ভেঙে পড়েছি। কিসের জন্য এই কান্না? কে সরকার প্রধান হবেন তা আমার জানার দরকার নেই। রাষ্ট আমার মা কে কি ভাবে নিরাপত্তা দিবে তা জানার অধিকার আমার আছে। আমি টাকা পয়সা হারালে পাবো।

গরিব থাকলে ধনি হতে পারবো। খারাপ থাকলে ভালো হতে পারবো কিন্তু ঐ ভন্ডদের কারণে আমার মায়ের কিছু হলে তাকে কি আর কোনোদিন পাবো। দেশের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে পড়েছে। জন প্রসাশন ভেঙ্গে পড়েছে। তবুও এই ভন্ডদের রক্তের নদীতে সাঁতার দেবার বাসনা কমেনি।

জাতির পিতা কে আমি জানতে চাই না। আমার পিতাকে আমি ভালো অবস্থায় দেখতে চাই। আমার বাবার চিকিৎসার ব্যায়ভার আমার বাংলা মায়ের নিতে হবে। কিভাবে নিবে এতো যুক্তি তর্ক আমি মানতে রাজি না। আসুন বন্ধু সকলে ঐ দলের নামে ধান্ধাবাজির বেড়াজাল থেকে বেড় হয়ে আসি।

আমার লেখায় কোনো ভুল হলে আমাকে আপনারা ক্ষমা করে দিবেন। বিশ্বাস করুন কোনো নীতি নির্ধারক হতে আমি এই বসুন্ধরায় আসি নি। আমি এসেছি শুধু একটি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে। আসুন আমরা সবাই মিলে দেশকে সামনে তুলে নিয়ে যাই। আমার দেশের রিকশাওয়ালা লুঙ্গীওয়ালা হকার দূর্ণীতি করে না।

বরং ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যারিষ্টার- ডক্টরেটগণ চুরি করেন। আজ দ্রব্য মূল্যের এতো দাম কেনো? মুন্সিগঞ্জে আলু পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নীরিহ চাষি মাথায় হাত দিয়ে কাঁদছে। আর শহরের মানুষ জীবন আতঙ্ক নিয়ে ১০০ টাকা দরে আলু কিনে খাচ্ছে। গোটা সমাজের একটি পরিবর্তন হয়েছে।

এই পুরাতন পঁচা রাষ্ট্রিয় ব্যবস্থা আইন দিয়ে এই তরুনদের নষ্ট হতে দেয়া যাবে না। আমরা এমন একটি জেনারেশন উপহার দিতে চাই যারা গর্ব ভরে বিশ্বের বুকে রাজটিকা এঁকে দিতে পারে। আসুন আমরা এই নষ্ট প্রতারক পলিটিশিয়ানদের সরিয়ে দেই। আপনার আমার মধ্যে যে পরম সত্য লুকিয়ে আছে তাকে জাগিয়ে তুলুন দেখবেন আমরা সবাই শৃঙ্কল মুক্ত হচ্ছি। আসুন আমরা সবাই ওদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করি।

কিসের এতো অভাব। বাংলার মানুষের কি আজ পেটে খাবার নাই? পরনে কাপর নাই? তাহলে কেনো এই জ্বালাও পোরাও? সবাই যেনো ঘুমিয়ে আছে। যে দেশে বিবেকানন্দ, নজরুল, সুবাস চন্দ্র এসেছিলেন সেই দেশের মানুষ কেনো এতো অসহায় থাকবে? অন্ধকারের পর আলো আসবেই। অনেক দুঃখের পরে সুখ আসবেই। অনেক দূর্ণীতির পর সুনীতি আসবেই।

বাংলাদেশ এগিয়ে যাবেই। বাংলাদেশের মানুষের মেধা আছে। আর মেধা দিয়ে বাংলাদেশ একসময় ধনী রাস্ট্রে পরিনত হতে বাধ্য। 2 দেখো সাধারণ মানুষ আজ অসাধারণ ভাবে জেগে উঠেছে!!! আমারা যারা সাধারণ মানুষ। আপনারা কেনো বুঝছেন না আমাদের নিয়ে ঐ ভন্ড রাজনৈতিকগণ খেলছেন।

তাদের ঐ রক্তের হলি খেলা আজ আমাদের শহর বন্দর গ্রাম রাঙিয়েছে। ঐ নষ্ট রাজনীতি ও দূর্নিতীর কারনে অনেক দিনে জমে যাওয়া ক্ষোভের কালোমেঘ আজ বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ছে। জন প্রশাসন ভেঙে পড়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সরাসরি ক্ষমতা গ্রহণ করতে পারছেন না। কারণ বিশ্বে আমাদের অকুতভয় অনেক সেনা সদস্য কর্মরত আছে।

সেনাবাহিনী সরাসরী ক্ষমতা গ্রহন করলে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী নাগরিকদের অসুবিধা হতে পারে। তাই সেনাবাহিনীকে প্রতিটি পদক্ষেপ চিন্তা ভাবনা করে নিতে হচ্ছে। পর পর কয়েকটি ধাপে খারাপ মানুষদের শেষ করে দেয়া হচ্ছে। প্রথম এলো অপারেশন ক্লিন হার্ট, তারপর ক্রোস ফায়ার, তারপর মঈন ইউ. সমর্থিত ফকরুদ্দীন স্যার। ফররুদ্দীন স্যারের মধ্যমে জনগণকে বোঝানো হয়েছে কেউ আইনের ঊর্ধে নয়।

বিদেশে বাংলাদেশী সোনার মানুষরা কষ্ট করে টাকা ইনকাম করে দেশের অর্থণীতিকে সমৃদ্ধ করে চলছে। সাধারণ মানুষ ট্যাক্স, ভ্যাট দিচ্ছে তার সাথে প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত যুক্ত হচ্ছে ঘুষ। সাধারণ পণ্য সিন্ডিকেট করে বিক্রি হচ্ছে। সমাজে আজ স্পষ্ট দুটি শ্রেণী তৈরি হয়েছে। এক শ্রেনীতে আছে সাধারণ মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত্ব মানুষ অন্য দিকে আছে মুষ্টিমেয় কিছু রাজনৈতিক দূর্নিতীগ্রস্থ ব্যাসায়ী আমলা।

কিন্তু এই মুষ্টিমেয় এই সয়তানরা তাদের ভাগ ভাটারা নিয়ে আজ গন্ডগোল পাকাচ্ছে তার খেসারত দিতে হচ্ছে এই সাধারণ মানুষকে। আমরা যারা সাধারণ মানুষ আজ তারা কাকে নেহা হিসেবে মেনে নিচ্ছি? এই রক্ত চোষা জোকদের? যারা গরিব মজুরের রক্তকে মদ বানিয়ে পান করে বিভিন্ন দেশী বেশ্যাদের নিয়ে খেলায় মেতে থাকে। এই মানুষ নামের সয়তানদের হাতের পুতুল হতে কি আমারা এই পৃথিবীতে এসেছি। তাদের ভয় পেলে চলবে না। মৃত্যু হবার আগেই নিজের মনের আকুল চেতনার মৃত্যু হলে তাকে কে বাঁচাবে? বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে অনেক ত্যাগী বীর আছেন।

যারা অন্যদেশে তাদের অবদানকে চীর অম্লান করে রেখেছেন। আমাদের সেনাবাহিনীর অবদানের কথা ঐ সব আফ্রিকার সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের কে জিজ্ঞাস করলে তারা তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশে একটুও কার্পন্য করে না। আর সেই সেনা সৈনিকদের পরিবার পরিজন বাবা দাদা যে বাংলাদেশে বাস করে তাদের কেনো এই করুন দশা হবে। তাদের নিরাপত্তা আজ চরম হুমকিতে। আজ সেনাবাহিনী কিছু না করতে পারলে তারা বিমান বন্দর দখল করে তাদের সৈন্য সামন্ত নিয়ে চলে যাক আফ্রিকার দেশে।

সেখানে গিয়ে কৃষি বিজ্ঞানীর কাজ করুন। পারবেন না। কারন তারা আমাদের মতো রক্ত মাংসের মানুষ। তারাও ট্যাক্স ভ্যাট দেন। তাদেরও পরিবার পরিজন আছেন।

আমাদের মাঝে কি ঐ নোংড়া মানুষগুলো ছাড়া আর কোনো নেতা নেত্রী নেই? নাকি সেই দ্বার অনেকদিন ধরে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ বন্ধ করে রেখেছে। আসুন আমরা সবাই মিলে এক হই। বাংলাদেশের পতাকার দিকে একবার তাকান। কাদের দখলে ঐ রক্তে অর্জন করা পতাকা? আমরা সাধারণ যখন অসাধারণ একটি স্বাধীনতার ইতিহাস রচনা করতে পেরেছি সেই আমরাই আমাদের নিজের মনের ভিতরের লুকায়িত নেতাটিকে বেড় করে বিশ্বে মাথা উচু করে উন্নত জাতিতে পরিনত হতে পারবো। বিশ্বের সেরা জাতি আমরা আমাদের পূর্ব পুরুষদের অনেক ভুলের মাশুল আমরা দিয়েছি।

তাদের অনেক ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে। সেই শোধ করা যদি আমার রক্তের মাধ্যমে হয় তাতেও ভয় নেই। সেই চেতনা নিয়ে সবাইকে নিজ নিজ জায়গায় থেকে কাজ করতে হবে। আর আমাদের পাশে থাকবে আমাদের গর্বিত সামরীক আধা সামরীক বাহিনী। কারন তাঁরা আমাদেরই মতো ঐ মুষ্টিমেয়দের হাতের খেলনা পুতলে পরিনত হয়ে ছে।

এ যেনো অনেকদিনের মরিচা পরা কোনো শক্ত ইস্পাত। আসুন আমরা আমাদের মনের ইস্পাতকে জাগিয়ে তাকে শক্তিতে পরিনত করে সামনের দিন গুলো রাঙিয়ে তুলে সুখ সমৃদ্ধিতে। আমরা জেগে উঠবোই। আমাদের কেই আটকে রাখতে পারবে না। কারণ জীবন একটাই।

একবার ব্যবহার করা যায় এই জীবন। সেই জীবনটা যদি সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য দান করে দিতে হয় সেটাই হবে সুখের মরন। যারা নিজেরা ভালোভাবে বাঁচতে জানে না তারা কিভাবে একটি জাতিকে বাঁচাবে? অনেক দিন ধরে তৃতীয় শক্তি নামে একটি শক্তির জাগরনের কথা মিডিয়ায় বেশ জোড়েশোড়েই উচ্চারিত হয়ে আসছে। সেই তৃতীয় শক্তি আসলে কে? সেনাবাহিনী? সেনাবাহিনী জনগনের টাকায় বেতন নিচ্ছে। সকল সেনাবাহিনীর মালিক দেশের সকল জনগন।

আজ আমরা যাকে তাকে তৃতীয় শক্তি ভেবে ভুল করছি। ধরুন আপনি কোনো দল করেন না। এবং এটি বেশ জোড়েশোড়েই উচ্চারণ করেন। কিন্তু কথাটি যদি এভাবে হয়, “আমি কোন দলকেই পছন্দ করি না”। হ্যাঁ সত্যি সত্যি পছন্দ করেন কয়জন? মনের সত্যিকে মুখে বলতে কি দোষ? আমরা যে একটি বৃহত শিক্ষিত সমাজ সৃষ্টি হয়েছি কিসের জন্য।

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান অবশ্যই ইতিহাসের স্বাক্ষি। তিনিই প্রথম বাংলার নিরিহ মানুষকে জানিয়েছিলেন তৎকালীন পাকিস্তান আর্মিতে কাজ করা বাংলাদেশী সামরিক বাহিনীর সেনা যারা এই বাংলায় আছেন তারা জন সাধারণের পক্ষে কাজ করবেন। আর এই যে জনগণকে মেজর জিয়া রেডিও সেন্টার দখল করে ঘোষনা দিয়েছিলেন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কথা সেই জনগনকে তৈরী করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সহ শের এ বাংলা এ কে ফজলুল হক, মাওলানা ভাষানী, সরওয়ার্দী প্রমুখ নেতারা। তাহলে আজকের যে খালেদা জিয়া বা শেখ হাসিনা তারা কে? কোথা থেকে এলেন? একজন হলেন এক প্রভাবশালী প্রতিভাধর ত্যাগী বীর জিয়াউর রহমানের স্ত্রী আর অন্যজন হলেন এক বিশাল বড় নেতা শেখ মুজিবর রহমানের মেয়ে। যিনি তার আপন ২ ভাইয়ের বিয়ের সময়ে বিদেশে ছিলেন।

এখন আমার প্রশ্ন নেতার স্ত্রী কি নেতা হয়? নেতার মেয়ে কি নেতা হয়? তাহলে এরা কারা? এরা হলেন বিশ্ববাজার দখলকারী ব্যাক্তির বাংলাদেশী বাজার থেকে মুনাফা তুলে নেয়ার জন্য কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ীর সরাসরি দালাল। সরকারী আর বিরোধী দল নয় তারা সবাই রাজনীতির নাম করে, গণতন্ত্রের নাম করে ব্যাবসা করে যাচ্ছে। তাদের সোর্স অব ইনকাম কি? কি এমন কাজ করেন তারা যে এমন বিলাস বহুল জীবন যাপন করছেন? জিয়াউর রহমান কিংবা শেখ মুজিবের আদর্শ বলতে কোনো কথা নেই। আসল কথা মানবতা। সবার আগে মানবতা।

সকল ধর্মেই তওহিদ অর্থাৎ একাত্ববাদে বিশ্বাস করা সবার আগে কর্তব্য। যুগের সাথে আদর্শের পরিবর্তন ঘটে। শুধুমাত্র স্রষ্টা প্রকৃতি ও মানুষ সৃষ্টি করেছেন তাতে বিন্দু পরিমান সন্দেহ নেই। আর প্রকৃতিই সত্যিকারের সচ্ছল। প্রকৃতির কোনো প্রাণী যেমন হাতি, ঘোরা, বাঘ, সিংহ এমনকি একটি সাপকেও স্রষ্টা তার রিজিক থেকে বঞ্চিত করেন নি।

কিন্তু মানুষ যখন স্রষ্টাকে ভুলে নিজের ভাগ্য নিজে নির্ধারণ করতে চায় তখন সমাজের অধঃপতন ঘটে। যেমন করে আগে ঘটেছিলো। যে সময় স্যার সৈয়দ আহমেদ, সৈয়দ আমির আলী, মীর মোশাররফ হোসেনের মতো নেতাদের কথায় এই মাটি কাঁপতো। তৎকালীন মুসলিম সমাজের নেতা ছিলেন তারা। তাদের কথা মানুষ মনে রাখে নি।

কিন্তু ঠিক সেই সময় লালন ফকির নামের এক মুসাফির নিজ উদ্যোগে গান লিখেছিলেন যা আজ সবার সম্পদ রূপে পরিগনিত হচ্ছে। কারণ নেতারা ছিলেন সার্থ অন্বেষী। কুচক্রি। দুষ্ট ও মোনাফেক কিন্তু লালন নিজে একটি আদর্শের জন্ম দেন। ঠিক সেইভাবে বর্তমান সময়ও আমাদের অনেক মেধা পচে গলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

দেখার কেউ নেই। সবাই সবার স্বার্থ নিয়ে ব্যাস্ত। বন্ধু এই ভার্চুয়াল জগত থেকে কিছুক্ষণের জন্য বেড় হয়ে আসল জগতে পা রাখুন দেখবেন আমরা ঐ স্বার্থ অন্বেষীদের ঠিকই উচিৎ শিক্ষা দিতে পারবো। আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বিত্তশালী ধনী দেশের বড় মার্কেট আমাদের বাংলাদেশ। আজ সমাজ অধপতনে যাবে কেনো? আমরা কি পণ্য উৎপাদন করতে পরি না।

একটি নতুন আইডিয়া গোটা সমাজকে পাল্টে দিতে পারে। তার প্রমাণ বিশ্বনেতাদের জীবনী। আপনার আমার মতো তরুন বয়সে বিশ্বের অনেক নেতাই সাধারণ ছিলেন পরবর্তিতে তারা তাদের নিজ নিজ আসন পাকা পোক্ত করেছেন। আজ বড় দুঃখের সাথে বলতে হয় বাংলার বিশাল এক জনগোষ্টি শিক্ষিত যুব সমাজ যারা সংসারের সম্পদের বদলে আপদ বলে বিবেচিত হচ্ছে। এদেরকে বেড় করে নিয়ে আসতে হবে।

এদেরকে চাকুরী দেয়া বাষ্ট্রের কাজ বা ব্যাবসার পথ দেখানো সরকারের কাজ। হিন্দু মুসলমানের মধ্যে অনেক সমাজ সংস্কারক এসেছেন আমরা তাদের মূল্যায়ন করিনি। তাদের আদর্শ থেকে আমরা বিচ্যুত হয়ে গেছি সমকাল নজরুল কিংবা বিবেকান্দকে মেনে নিতে পারে নি। কিন্তু মহাকাল তাদের স্মরণ করছে। কিন্তু তাদের আদর্শ বাস্তবায়ন হয় নি।

সত্য যে একবারে প্রতিষ্ঠিত হবে এমন কোনো কথা নেই কিন্তু সত্যের জয় হবেই। যদি এমন একটি সমাজ ব্যবস্থা আমরা সবাই মিলে উপহার দিতাম। যেখানে কিছু কিছু ব্যপার উপস্থাপন করা যায়ঃ এগুলোকে দাবি বললেও ভুল হবে না। ১। বাংলাদেশে ব্যবসা করে এমন প্রতিষ্ঠান যেমন মোবাইল অপারেটর, তামাক জাত দ্রব্য, কিংবা ভোগ্য পন্য বিক্রেতা বিদেশী কোম্পানী বাংলাদেশকে তাদের লাভের ৮০% দিয়ে দিবে যা দিয়ে দেশের উন্নয়ন হবে।

২। লীজ বা ঠিকাদারির নামে কোনো প্রকার রাজনৈতিক চাদাবাজি চলবে না। সবাই হবে একটি সরকার ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে। তরুন মেধাবীরা এই সমাজে ঠাই পাবে। দালান, কোঠা, ব্রিজ হবে সব মজবুত ও স্থায়ী।

৩। দেশে কেউ বাড়িওয়ালা কেউ ভাড়াটিয়া। দুটি পক্ষ ভাড়াটিয়া বলে কোনো কথা থাকবে না। ৪০ বছরের সহজ কিস্তিতে সবাই কমপক্ষে একটি ফ্লাটের মালিক হবে। ৪০ বছর হিসেব করে প্রতি বছর থেকে প্রতি মাস হিসাব করে সহজ কিস্তিতে বাড়ীওয়ালার টাকা পরিশোধ হবে।

তাতে করে সমাজের শ্রেণী বিভাদ কমবে। সেই সাথে আত্মবিশ্বাসও বাড়বে। ৪। সরকারী তত্তাবধায়নে বিদেশী আউটসোর্সিং এর কাজ আসবে। তারা তরুনদের টাকা ইনকামের ব্যবস্থা করে দিবে।

৫। সবাই রেশন সুবিধা পাবে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরকার একটি ব্যবস্থা করে দিবে। তা শুধু সামরিক বাহিনী বা আধা সামরিক বাহিনী নয় আমার দেশের সাধারণ মানুষ সবাইকে রেশন ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। ৬।

সরকারী দায়িত্বে সবার চাকুরীর বিধান করতে হবে। সবার রিটার্ডমেন্ট এর ব্যবস্থা সরকার করবে। বেকাররা বেকার ভাতা পাবে। বয়স্করা বয়স্ক ভাতা পাবে। বিয়ের খরচ দিবে সরকার।

সরকার চিকিৎসা ভাতা দেবে। দেশে বিনিয়োগ কারী সব ব্যবসায়ী থেকে একটি যুক্তিযুক্ত ট্যাক্স নির্ধরণ করলে সেই খাত থেকে এই খরচ মিটানো সম্ভব হবে। ৭। বুড়িগঙ্গা নদীকে দঃ করিয়ার সিওলের আদলে গড়ে তুলতে হবে। যাতে করে বুড়িগঙ্গাও বাচে মানুষও বাঁচে।

৮। পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করতে হবে। আমি এই মূহুর্তে বরিশাল এ আছি। প্রয়োজনে বরিশালকে বাংলাদেশের রাজধানী করা হোক। যাতে করে ঢাকার সাথে দক্ষিন অঞ্চলের সংযোগ নয় বরং দক্ষিণ অঞ্চলের সাথে ঢাকার করার জন্য পদ্মা সেতু হবেই।

৯। সকল বেসরকারী হাইস্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে সরকারি করতে হবে। আসুন বন্ধু সবাই মিলে ঐক্য গড়ে তুলি। সবাই আমার লেখাটি সবার মাঝে বিতরন করে দিন। যাতে করে সবাই একসাথে কাধে কাধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারি।

মৃত্যুর পরওয়া করলে হবে না। আপনার মনের ভিতরে যে শিখা অনির্বান জ্বলছে, আপনার হৃয়য়ে যে স্মৃতিসৌধ গড়ে উঠেছে তাতে ফুল দিন। ঐ সব ইট পাথরের স্মৃতি সৌধ ও শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে আর শহিদদের আত্মায় কষ্ট দিবেন না। আন্দোলন চলবেই। সবাই মিলে এক হলে আমাদের কেউ রুখতে পারবে না।

বাংলাদেশের মেধা আছে। মেধাকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। বাংলার মানুষ এখন অনেক সচেতন। 3 আজ জেগে ওঠার সময় এসেছে :: আপনার ভিতরেই লুকিয়ে আছে সেই অসম্ভব :: মুক্ত করুন জাতিকে!!! জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিনিধি অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর সাহেবের তোড়জোড় ও দৌড়াদৌড়ি দেখে আমার সেই বৃটিশ ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানীর সেই লর্ড ক্লাইভ এর কথা মনে পড়ছে। সেই দিন কি আর এখন আছে বন্ধু!!! বাংলাদেশের একটি মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত, শিক্ষিত সমাজ গড়ে উঠেছে।

সেই সাথে অর্ধশিক্ষিত বা সামান্য অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন সাধারণ মানুষকেও এখন কোনো কিছু বুঝিয়ে বললে কিছু না করতে পারলেও অন্তত বোঝে। শুধুমাত্র কিছু রাজনীতিক নামের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জন্য এতো এতো মানুষ দূর্ভোগ পোহাবে কেনো? সেই বৃটিশরা কৌশলে আমাদের রক্ত চুষে আজ পর্যন্ত তাদের সম্রাজ্য ধরে রেখেছে। আগে ওরা ওপেনে করেছে আজ করছে গোপনে। এই জন্যই তো এই গোপন বৈঠক। জেগে ওঠেন বন্ধু।

আপনাদের ঘুম ভাঙ্গাতে যুগে যুগে অনেক মহাপুরুষ এসেছেন। আমরা তাদের বুঝিনি। আমাদের দেয়ালে কিংবা কম্পিউটারের কোনো ফোল্ডারে আজ নজরুলের ছবি আছে। রমজানের ঈদে কিংবা কোনো হামদ নাত প্রতিযোগীতায় নজরুলের গান বানী আওড়ানো বেজে উঠছে। কিন্তু আওয়াজ এতো কম কেনো বন্ধু? নজরুলের নামে এভিনিউ হয়েছে।

সেই এভিনিউ আজ বাংলাদেশের নিরিহ মানুষের রক্তে রঞ্জিত কেনো বন্ধু? তাহলে তার গান কিংবা তার রচিত লেখা দিয়ে আজ শিঙ্গারার ঠোঙ্গা বানানো হচ্ছে। তাহলে তার প্রেরনা কোথায়। নজরুলকে দিয়ে নজরুলের আদর্শকে বুঝতে হবে। নজরুলের বানী গানে তার লেখনীতে শুধু বাংলাদেশী সব কালের সব জাতির জন্য একটি সুন্দর গাইড লাইন লুকিয়ে আছে। আর এই মহাকালের মহা চেতনা তোমার আপনার হৃদয়ে লুকিয়ে আছে।

জ্ঞাণ শক্তি দিয়ে তাকে জাগ্রত করুন। দেখবেন সব ঝকঝকে পরিষ্কার হয়ে চোখের সামনে ভেষে উঠবে। সেই বাঁধন হারা বাধনে সবাই সেই অসীম আত্মার পরম সাধ পাবেন। আসুন আমরা জাগ্রত হই। আমাদের অধীকার অন্য কেউ এনে দিবে কেনো।

অন্য কেউ আপনার মুখে খাবার তুলে দিবে। আপানার হাত দিয়ে আপনি খাবার তুলে খান। দেখবেন সেই খাবার আর যাই হোক বি-স্বাদ হবে না। নজরুল আমাদের হাতুরি সাবোল চালাতে বলেছিলেন। আজ আপনারা আপনার হতের নিচের মাউস কিবোর্ড ছেড়ে কিছুক্ষণের জন্য দু’হাত উচু করে ঐ রাজণৈতিক নামের অভিনেতাদের বুঝিয়ে দিন আমরা আজও আছি।

আমাদের মহান পূর্বপুরুষদের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদের জিম্মি করার ফল ভালো হবে না। আপনি যদি না জাগেন, আপনি যদি সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা স্পষ্ট করে বলতে না পারেন তাহলে অন্য একজন কিভাবে বলবে বন্ধু? আজ সুযোগ এসেছে সেই সুযোগকে কাজে লাগান। আমার হাতে লাঠি নিতে পারছি না। তাই আমি আমার লেখা দিয়ে আপনাদের জাগাবার অবিরত চেষ্টা করে চলেছি। যার হাতে প্রশাসনের লাঠি আছে যার গায়ে বাংলা মায়ের মাটির গন্ধ আছে তিনি তার প্রশাসনের লাঠি সুসাসনের জন্য চালান।

দেখবেন সেই অধরা সূর্য আপার হাতের মুঠোয়। আজ কেউ নেতা নয় সবাই আমরা কর্মি। সবাই যার যার বিবেকর কাছে নিজেকে তুলে দিয়ে তুলে নেই সেই মহান দায়িত্ব। বুঝিয়ে দিন কোনো আই ওয়াসে আর কাজ হবে না। কেউ এই জাতটাকে আটকে রাখতে পারবে না।

বাংলার আকাশ হবে কলঙ্ক মুক্ত। টাকার গায়ে আমাদের প্রকৃত গুণী জনদের ছবি থাকবে। কারও পারিবারিক খুনের বদলার জন্য পুরো জাতি জিম্মি হতে পারবে না। শুধু ভেবে দেখলে চলবে না বরং এক্সিকিউশন করার সময় এসেছে পুরো জাতি মুক্ত হবে কি করে? আপনি আপনার নব সংগীত দিয়ে নেমে আসুন রাস্তায় দেখবেন আপনার সংগীত ঐ হ্যামিলনের বাঁশিওয়াদের টেনে নিয়ে ইদুঁরের মতো সমূদ্রে ফেলে দেবে কিন্তু আপনার বাচ্চা হারিয়ে যাবার ভয় থাকবে না। এই জাতির আজ অনেক কালের অনেক ঋণ শোধ করার সময় এসেছে।

আমরা চাই না আর কোনো বুদ্ধিজিবি শহিদ হোক, আর কোনো বুদ্ধিজিবি টাকার কাছে নিজের ব্যক্তিত্বকে বিসর্জন দিক। আসুন সব সাধারণ অসাধারনের রূপ ধারণ করি। গোল্ডলিফের প্যাকেটে এ কার ছবি দেখতে দেখতে আপনার আমার হৃদয় নিস্তেজ হয়ে গেছে ঐ প্যাকেট ছেড়ে দিয়ে আসুন বাংলাদেশী পন্যের পসরা সাজিয়ে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করে তুলে ধরি। ঘরের মহিলাদের বলছি আপনারা এবার টিভির রিমোট হাত থেকে ছুড়ে ফেলে, স্টার জলসা নামের মায়া জালে বন্দি না হয়ে নেমে আসুন রাস্তায়। ফিরিয়ে আনুন সুসাশন।

4 আজ জেগে ওঠার সময় এসেছে :: আপনার ভিতরেই লুকিয়ে আছে সেই অসম্ভব :: মুক্ত করুন জাতিকে!!! জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিনিধি অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর সাহেবের তোড়জোড় ও দৌড়াদৌড়ি দেখে আমার সেই বৃটিশ ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানীর সেই লর্ড ক্লাইভ এর কথা মনে পড়ছে। সেই দিন কি আর এখন আছে বন্ধু!!! বাংলাদেশের একটি মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত, শিক্ষিত সমাজ গড়ে উঠেছে। সেই সাথে অর্ধশিক্ষিত বা সামান্য অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন সাধারণ মানুষকেও এখন কোনো কিছু বুঝিয়ে বললে কিছু না করতে পারলেও অন্তত বোঝে। শুধুমাত্র কিছু রাজনীতিক নামের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জন্য এতো এতো মানুষ দূর্ভোগ পোহাবে কেনো? সেই বৃটিশরা কৌশলে আমাদের রক্ত চুষে আজ পর্যন্ত তাদের সম্রাজ্য ধরে রেখেছে। আগে ওরা ওপেনে করেছে আজ করছে গোপনে।

এই জন্যই তো এই গোপন বৈঠক। জেগে ওঠেন বন্ধু। আপনাদের ঘুম ভাঙ্গাতে যুগে যুগে অনেক মহাপুরুষ এসেছেন। আমরা তাদের বুঝিনি। আমাদের দেয়ালে কিংবা কম্পিউটারের কোনো ফোল্ডারে আজ নজরুলের ছবি আছে।

রমজানের ঈদে কিংবা কোনো হামদ নাত প্রতিযোগীতায় নজরুলের গান বানী আওড়ানো বেজে উঠছে। কিন্তু আওয়াজ এতো কম কেনো বন্ধু? নজরুলের নামে এভিনিউ হয়েছে। সেই এভিনিউ আজ বাংলাদেশের নিরিহ মানুষের রক্তে রঞ্জিত কেনো বন্ধু? তাহলে তার গান কিংবা তার রচিত লেখা দিয়ে আজ শিঙ্গারার ঠোঙ্গা বানানো হচ্ছে। তাহলে তার প্রেরনা কোথায়। নজরুলকে দিয়ে নজরুলের আদর্শকে বুঝতে হবে।

নজরুলের বানী গানে তার লেখনীতে শুধু বাংলাদেশী সব কালের সব জাতির জন্য একটি সুন্দর গাইড লাইন লুকিয়ে আছে। আর এই মহাকালের মহা চেতনা তোমার আপনার হৃদয়ে লুকিয়ে আছে। জ্ঞাণ শক্তি দিয়ে তাকে জাগ্রত করুন। দেখবেন সব ঝকঝকে পরিষ্কার হয়ে চোখের সামনে ভেষে উঠবে। সেই বাঁধন হারা বাধনে সবাই সেই অসীম আত্মার পরম সাধ পাবেন।

আসুন আমরা জাগ্রত হই। আমাদের অধীকার অন্য কেউ এনে দিবে কেনো। অন্য কেউ আপনার মুখে খাবার তুলে দিবে। আপানার হাত দিয়ে আপনি খাবার তুলে খান। দেখবেন সেই খাবার আর যাই হোক বি-স্বাদ হবে না।

নজরুল আমাদের হাতুরি সাবোল চালাতে বলেছিলেন। আজ আপনারা আপনার হতের নিচের মাউস কিবোর্ড ছেড়ে কিছুক্ষণের জন্য দু’হাত উচু করে ঐ রাজণৈতিক নামের অভিনেতাদের বুঝিয়ে দিন আমরা আজও আছি। আমাদের মহান পূর্বপুরুষদের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদের জিম্মি করার ফল ভালো হবে না। আপনি যদি না জাগেন, আপনি যদি সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা স্পষ্ট করে বলতে না পারেন তাহলে অন্য একজন কিভাবে বলবে বন্ধু? আজ সুযোগ এসেছে সেই সুযোগকে কাজে লাগান। আমার হাতে লাঠি নিতে পারছি না।

তাই আমি আমার লেখা দিয়ে আপনাদের জাগাবার অবিরত চেষ্টা করে চলেছি। যার হাতে প্রশাসনের লাঠি আছে যার গায়ে বাংলা মায়ের মাটির গন্ধ আছে তিনি তার প্রশাসনের লাঠি সুসাসনের জন্য চালান। দেখবেন সেই অধরা সূর্য আপার হাতের মুঠোয়। আজ কেউ নেতা নয় সবাই আমরা কর্মি। সবাই যার যার বিবেকর কাছে নিজেকে তুলে দিয়ে তুলে নেই সেই মহান দায়িত্ব।

বুঝিয়ে দিন কোনো আই ওয়াসে আর কাজ হবে না। কেউ এই জাতটাকে আটকে রাখতে পারবে না। বাংলার আকাশ হবে কলঙ্ক মুক্ত। টাকার গায়ে আমাদের প্রকৃত গুণী জনদের ছবি থাকবে। কারও পারিবারিক খুনের বদলার জন্য পুরো জাতি জিম্মি হতে পারবে না।

শুধু ভেবে দেখলে চলবে না বরং এক্সিকিউশন করার সময় এসেছে পুরো জাতি মুক্ত হবে কি করে? আপনি আপনার নব সংগীত দিয়ে নেমে আসুন রাস্তায় দেখবেন আপনার সংগীত ঐ হ্যামিলনের বাঁশিওয়াদের টেনে নিয়ে ইদুঁরের মতো সমূদ্রে ফেলে দেবে কিন্তু আপনার বাচ্চা হারিয়ে যাবার ভয় থাকবে না। এই জাতির আজ অনেক কালের অনেক ঋণ শোধ করার সময় এসেছে। আমরা চাই না আর কোনো বুদ্ধিজিবি শহিদ হোক, আর কোনো বুদ্ধিজিবি টাকার কাছে নিজের ব্যক্তিত্বকে বিসর্জন দিক। আসুন সব সাধারণ অসাধারনের রূপ ধারণ করি। গোল্ডলিফের প্যাকেটে এ কার ছবি দেখতে দেখতে আপনার আমার হৃদয় নিস্তেজ হয়ে গেছে ঐ প্যাকেট ছেড়ে দিয়ে আসুন বাংলাদেশী পন্যের পসরা সাজিয়ে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করে তুলে ধরি।

ঘরের মহিলাদের বলছি আপনারা এবার টিভির রিমোট হাত থেকে ছুড়ে ফেলে, স্টার জলসা নামের মায়া জালে বন্দি না হয়ে নেমে আসুন রাস্তায়। ফিরিয়ে আনুন সুসাশন। 5 ওদের তৈরী করা জেলে ওরাই নিরাপত্তা নিচ্ছে। মানবতার নিরাপত্তা কে দেবে বন্ধু? আমরা আজ বড্ড অসহায়। কিছু মানুষের কাছে আজ জিম্মি ও বন্দি।

তিলে তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষ। সব কিছু ভেজালে ভরা। আর ঘুমিয়ে থেকো না। দেশের জনসাধারণ এখন বড় দুঃসময়ে দিন কাটাচ্ছে। নিরাপত্তা হিনতায় ভুগছে দেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর তিলে তিলে গড়া ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান।

আর প্রশাসন নামের কিছু সাজানো চরিত্রের দাসরা তা চেয়ে চেয়ে দেখছেন। হে বিচারপতি এই বাংলায় যদি প্রকৃত মানুষই না থাকে তুমি বিচার করবে কার? আজ মানবতার কান্না কি তোমার হৃদয়কে নাড়া দেয় না। ঐ গার্মেট শ্রমিকদের কর্মস্থল জ্বলে পুরে ছাড়খার হওয়াকে তুমি কি ভাবে সহ্য করো? আরে ও তো গামেন্ট নয় বাংলাদেশের ভাগ্য পুরছে। হে বাংলার হিন্দু তোমরা এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছো না কেনো? দেখো, দেখো তোমার বাংলা মায়ের সিঁদুর বাংলার সাধারণ মানুষের রক্তে আরও টকটকে লাল হয়ে উঠছে। সেই সিদুরের দাম কি তোমরা দিবে না? দেখ রাজনীতিকরা আজ নিজেরা নিজেদের গ্রেফতার করে প্রটেকশন নিচ্ছে।

ভেঙ্গে ফেলো ঐ জেলের তালা, যে জেল সব সয়তানদের নিরাপদ স্থান হয়ে উঠেছে। সাধারণ চোর, ছিনতাই কারী, সন্ত্রাসী দের যারা সৃষ্টি করেছে তাদের জন্য বানানো ঘরেই তারা আশ্রয় যাচছে। তোমরা কেনো এই সহজ অভিনয় বুঝতে পারছো না। কেনো বুঝতে পারছো না ওরা তোমার রক্ত চোষা পয়সায় ঐ কারাগার বানিয়েছিলো। তোমাদের নিরাপত্তা দেবার কথা বলে তারা আজ গণজোয়ারকে ভয় পেয়ে, তাদের ব্যাংক, ব্যালেন্স, বাড়ী, গাড়ী সহকারে নিরাপত্তাও নিশ্চিত করেছে।

শেয়ার বাজারের কৃত্তিম ছক তৈরি করে তোমাদের আবারও দাস বানিয়ে রেখেছে। ভেঙ্গে ফেল এই অদৃশ্য হাতের শিকল। মাথা উচু করে দাঁড়াও। দেখো ক্ষমতার ঊষালগ্নে যে নেতারূপী সাবেক সেনাসাশক তার আপন ভাগ্নের রক্তের উপর পাড়া দিয়েছিলো তিনি আজ এদিক সেদিক দৌড়িয়ে মানুষের রাজনৈতিক বিনোদন দিয়ে যাচ্ছে। আর বলি হচ্ছে তোমার আমার স্বজন।

স্বজন হারাবার জ্বালা কতোখানী তা যিনি স্বজন হারিয়েছ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.