আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাইকেল ‘নেইমার’ জ্যাকসন!

মাথায় মণি-মুক্তাখচিত কৃষ্ণবর্ণের পশমি হ্যাট, গলায় সাদা উত্তরীয়, গায়ে কালো কোর্ট, পরনে সাদা প্যান্ট—মাইকেল জ্যাকসন কী ফিরে এল ধরায়! নাহ, পপ সম্রাট আসেননি, আসা সম্ভবও নয়। তবে তাঁর ট্রেডমার্ক স্টাইলটা ফিরিয়ে আনলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার। জ্যাকসন যেমন মুহূর্তের পর মুহূর্ত সুরের মূর্ছনায় মোহাবিষ্ট করে রাখতেন মানুষকে, গত রাতে সেল্টিকের বিপক্ষে একই কাজ করলেন নেইমারও।

ম্যাচ-পরবর্তী টিভি সাক্ষাত্কারে নেইমারের গায়ের জ্যাকসন যথেষ্ট সাযুজ্যপূর্ণই। এদিন ‘নেইমার-রকে’ উত্তাল হয়েছে ন্যু ক্যাম্প! হাসির রেখা ফুটেছে বার্সা-ভক্তদের।

চ্যাম্পিয়নস লিগে সেল্টিকের বিপক্ষের ম্যাচটিতে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করে নেইমার ভাসছেন সুখের ভেলায়। তবে নিজের চেয়ে দলই বড় তাঁর কাছে। সে কথাই বললেন মিষ্টি হাসিতে, ‘কেবল চ্যাম্পিয়ন লিগে গোল করেছি বলে নয়, দল জিতেছে তাতেই ভীষণ খুশি। ’      

বার্সালোনায় যোগ দেওয়ার আগে নেইমারকে নিয়ে আলোচনার অন্ত ছিল না। স্বাভাবিকভাবে তাঁকে নিয়ে কাতালানদের প্রত্যাশার পারদ ছিল আকাশচুম্বী।

কিন্তু বার্সার জার্সি গায়ে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারছিলেন না ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। মেসি নেই, নেইমার নিষ্প্রভ— বার্সার জয়ের ঘোড়াটাও মুখ থুবড়ে পড়ল আয়াক্স ও অ্যাথলেটিক বিলবাও ম্যাচে।

মনে রাখতে হবে, সত্যিকারের চ্যাম্পিয়নদের ব্যর্থতার খতিয়ান সাময়িক। ফলে স্বরূপে ফিরলেন নেইমার, জয়ের ধারায় ফিরল বার্সাও। এদিন সেল্টিক উড়ে গেল খড়কুটোর মতো।

সাম্প্রতিক সময়ে পর পর দুটি পরাজয়, চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের গোলশূন্য থাকা—চাপে ছিলেন নেইমার? মোটেও না। তাঁর জবাব, ‘কখনই চাপ অনুভব করেনি। কিন্তু সব সময় ছাপ রাখতে চেয়েছি। সবচেয়ে বড় কথা, দুটি পরাজয়ের পর আমরা আবার জয়ের ধারায় ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছি। এখন লা লিগার ব্যাপারেও আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে।



সেল্টিকের জালে মাত্র ১৩ মিনিটের ব্যবধানে তিনবার বল জড়ানোর পর নতুন এক রেকর্ড স্পর্শ করেছেন নেইমার। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে তাঁর হ্যাটট্রিকটি চতুর্থ দ্রুততম। মেসির ইনজুরি এবং ফ্যাব্রিগাসের নিষেধাজ্ঞার কারণে সেন্টার-ফরোয়ার্ড নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল বার্সা কোচ জেরার্ড মার্টিনোর কপালেও। অতঃপর সমাধান হিসেবে তিনি বেছেই নিলেন নেইমারকে।

‘সেন্টার-ফরোয়ার্ড পজিশনে ভালো শুরু না করলেও প্রথম গোলটির পর সে দেখিয়েছে এ পজিশনে কী করতে পারে’, বলেছেন মার্টিনো।

ওই পজিশনে দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে কোচের সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ দিয়েছেন মাঠে।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।