আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মারকুটে চরিত্রে কাজ করেছি

নতুন বছরে 'অগি্নকন্যা' হয়ে আসছেন। সে বিষয়ে বলুন_

ইফতেখার চৌধুরীর 'অগি্ন' আমাকে নতুন মাহি পরিচয় এনে দেবে এটি নিশ্চিত। কারণ নাম ভূমিকায় মারকুটে চরিত্রে কাজ করেছি। মানে চলচ্চিত্রের গল্প গড়িয়েছে আমাকে ঘিরেই। দর্শক এতদিন ভালোবাসায় মাখামাখি যে মাহিকে দেখেছে এবার সে তার বিপরীতে হেঁটেছে।

মানে নিজেকে অন্যরকম মাহিতে পরিণত করেছি।

 

এতে কাজ করতে গিয়ে অনুভূতি কেমন ছিল?

গল্প শুনে প্রথমে মনে ভীষণ ভয় কাজ করছিল। কারণ আমার শুরুটা ছিল রোমান্টিক গল্পের মাধ্যমে। এরপর একাধারে আরও চারটি প্রেমকাহিনী নিয়ে এগুলাম। একসময় যখন 'অগি্ন'র প্রস্তাব এলো তখন গল্প পড়ে দুশ্চিন্তায় পড়লাম।

কিন্তু গল্প এতই মজার যে, এটি হাতছাড়া করারও ইচ্ছা হচ্ছিল না। অবশেষে ইফতেখার ভাই সাহস জোগালেন। আমিও নিজের মধ্যে আত্দবিশ্বাস সঞ্চার করলাম। তারপর কাজটাকে দারুণভাবে এনজয় করি।

 

মাহি ভালোবাসার গণ্ডি পেরুতে পারবে তো?

হা... হা... হা... কী যে বলেন, পৃথিবীতে ভালোবাসা ছাড়া আর আছে কি; ভালোবাসা ছাড়া মানুষ বাঁচে কি? যাক ভালোবাসার পথে যাত্রা শুরু হলেও এবার কিন্তু সেই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসেছি।

না হলে দর্শক একঘেয়েমির অভিযোগে আমাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে (হা... হা... হা...) নতুন একটি চলচ্চিত্রে কাজ করলাম। এর শিরোনাম 'দবির সাহেবের সংসার'। এখানে পোড় খাওয়া যন্ত্রণাক্লিষ্ট চরিত্র আমার। আমি একজন কাজের মেয়ে। তা ছাড়া 'অগি্ন'তে অ্যাকশন লেডি।

এভাবেই বিচিত্র সব চরিত্র নিয়ে ভালোবাসার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসছি।

 

অনেকে বলেন আপনি নাকি জাজের ঘরের মেয়ে, সত্যি তাই?

জাজ মাল্টিমিডিয়া আমাকে চলচ্চিত্র জগতে এনেছে এবং প্রতিষ্ঠা পাইয়ে দিয়েছে। সেই ক্ষেত্রে আমিও বলি আমি জাজের মেয়ে। তাই বলে এটা ভাবা ঠিক হবে না যে, আমি জাজ ছাড়া অন্য কারও কাজ করব না। জাজও এমন কথা বলেনি।

এরই মধ্যে অন্য প্রতিষ্ঠানের প্রায় অর্ধডজন চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি।

 

বাপ্পী, সাইমন, শাকিব খান, শুভ । চারজনের সঙ্গেই কাজ করা হলো, কাকে জুটি হিসেবে পারফেক্ট মনে হলো?

চারজনের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে চার ধরনের অনুভূতি হয়েছে। শাকিব খান যেহেতু সিনিয়র এবং শীর্ষ নায়ক তাই তার সঙ্গে কাজ করা মানে অন্যরকম ভালোলাগা। তবে বাপ্পীর সঙ্গে আমার জুটি পারফেক্ট বলে মনে হয়েছে।

 

তার মানে মাহির বাপ্পী জুটিতেই স্বাচ্ছন্দ্য?

প্রথমে বলব বাপ্পী আমার প্রথম চলচ্চিত্রের নায়ক। এরপর তার সঙ্গে বেশি কাজ করেছি। তাই তার সঙ্গে বোঝাপড়াটা খুব ভালো। এতে সাবলীলভাবে কাজ করা সহজ হয়। দ্বিতীয়ত আমাদের পর্দা জুটির রসায়ন সহজেই দর্শক গ্রহণ করে নিয়েছে।

ফলে এ জুটি সেলুলয়েডের ফিতায় দ্রুত লতিয়ে উঠবে এটাই স্বাভাবিক।

 

নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন কীভাবে দুচোখে বাসা বাঁধল?

ছোটবেলায় যখন কোনো চলচ্চিত্রে দেখতাম নায়িকার পরিপাটি বেডরুম, বিছানার পাশে মাথার দিকে বড় করে তার ছবি টাঙানো। অদ্ভুত লাগত। মনে মনে ভাবতাম নায়িকা হলেই বোধহয় এটা সম্ভব। ঠিক করলাম একদিন নায়িকা হব এবং আমারও এমন একটি স্বপ্নঘেরা বেডরুম হবে।

সেখানে বড় করে নিজের ছবি থাকবে। তা ছাড়া ছোটবেলা থেকেই ছবির পোকা ছিলাম আমি। ছবি দেখতে দেখতে কল্পনায় নায়িকা হয়ে যেতাম। আজ কিন্তু সত্যিকারের নায়িকা আমি। ু

 

 



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।