‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ পত্রিকার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এই কথা জানিয়েছেন আনুশকা।
ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিকেটার ভিরাট কোহলির সঙ্গে একটি বিজ্ঞাপনে অংশ নেওয়ার পর তার ভালো বন্ধু হন আনুশকা। এরপর থেকে তাদের ঘনিষ্ঠতা অনেকের মনেই প্রশ্ন তুলেছিল।
এমনকি গুঞ্জন শোনা গেছে, নতুন বছর এবার একসঙ্গে উদযাপন করবেন কথিত ওই জুটি।
কিন্তু এই খবর শুধু গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন আনুশকা।
বলিউডি ক্যারিয়ারের পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক সাক্ষাৎকারে আনুশকা বলেন, ভিরাট তার শুধুমাত্র ভালো একজন বন্ধু। আর তাই মাঝে মাঝে দুজন ঘুরতে বের হন।
আনুশকা বলেন, “আমরা বন্ধু। তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছে একটি শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপন করতে গিয়ে। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম সে বুঝি খুব অহংকারী।
তাই আমিও তার সঙ্গে কথা বলিনি। কিন্তু একবার যখন আমরা শুটিং শুরু করলাম, আমি বুঝতে পারলাম সে খুব মিশুক একজন মানুষ। আমরা তিনদিন ধরে ঐ বিজ্ঞাপনের শুটিং করেছি। এর মধ্যে দ্বিতীয় দিনে, আমি আমার বাড়িতে বন্ধুদের দাওয়াত দিয়েছিলাম। তখন ভিরাটকেও আমি দাওয়াত দেই।
”
ভিরাটের সঙ্গে তার প্রেমের গুজব নিয়ে আনুশকা বলেন, “ভিরাট আমার বাড়িতে এসেছিল, ঘটনা এ পর্যন্তই ঘটেছে। কিন্তু পরদিন সকালে আমি পত্রিকায় পড়লাম আমরা নাকি লিফটের মধ্যে ঘনিষ্ঠ হয়েছিলাম, যার ফলে আমার এক প্রতিবেশী মহিলা অস্বস্তিবোধ করেছেন!”
তিনি আরও বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে আমি মানুষের সঙ্গে এত সহজে ঘনিষ্ঠ হতে পারি না। সবসময় দেখি, শুটিং শেষে কলাকুশলীরা সবাই একে অপরকে জড়িয়ে ধরে বিদায় জানায়। আমি এত অল্প সময়ের পরিচয় কারও সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে পারি না। ”
তবে এই গুজব নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন এই অভিনেত্রী।
তিনি বলেন, “সম্ভবত আমার কোনো প্রতিবেশী আছে, যার আসলে খেয়েদেয়ে কোনো কাজ নেই। কীভাবে গুজব বানানো যাবে, এই উদ্দেশ্যে খাতাকলম নিয়ে জানালার পাশে বসে থাকেন। ”
ক্যারিয়ারের পাঁচ বছরে সাতটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন আনুশকা। চলতি বছরে শুধুমাত্র একটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে তার, “মাটরু কি বিজলি কা মান্ডোলা। ” তাও বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করতে পারেনি সিনেমাটি।
২০১৪ সালে মুক্তি পাবে আনুশকা অভিনীত দুটি সিনেমা। আমির খানের সঙ্গে অভিনীত ‘পিকে’ এবং ‘এনএইচটেন’। ‘এনএইচটেন’-এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো প্রযোজক হিসেবে অভিষেক ঘটবে তার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।