সসকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।
তোমার জীবনে কি প্রেম এসেছিলো? তুমি কি কাউকে ভালোবেসেছো? ভালোবাসার বিরহ কি অনুভব করতে পারো?
বিরহের মধ্যে কঠিন সত্য থাকে।
যে সবার বিরহকে নিজের মধ্যে ধারন করতে পারেন তিনিইতো চীরবিরহী। একজন সত্যিকারের প্রেমিক কখনও তার প্রিয় মানুষটির অমঙ্গল কামনা করতে পারে না। আমিও পারি না। আমার প্রিয়ার হৃদয়ে যে আমার বাস। আমার প্রিয়ার হৃদয়ের মধ্যে যে আমার স্থান।
তোমরা কি আজিজুল হাকিম এর নাম শুনেছো? আরে নাটকে অভিনয় করে ঐ আজিজুল হাকিম নয়। এই আজিজুল হাকিম হলেন একজন কবি। তিনি হলেন সৈয়দা খাতুনের স্বামী। সৈয়দা খাতুন কে জানো? সৈয়দা খাতুন হলেন আমার গুরু নজরুলের প্রেমিকা নার্গিস। নার্গিস নামটি নজরুল দিয়েছিলেন।
বিস্তারিত ঘটনা অন্য কোনো একসময় তোমাদের জানাবো। সংক্ষেপে বলি। মন দিয়ে শোনো।
নজরুল কে নার্গিস অবজ্ঞা করেছিলেন। নার্গিস চেয়েছিলেন নজরুল আর পাঁচটা মানুষের মতো হবে।
নার্গিসের ঐ সময় ধারনা হয়েছিলো, নজরুল গাছে চড়ে বাঁশী বাজাবেন কেনো? নজরুল কবিতা না লিখে অন্য মানুষের মতো কোনো সম্মানিত পেশা বেছে নিতে পারেন। কিন্তু নজরুলের আবির্ভাব হয়েছিলো শুধুমাত্র আমাদের মতো দাসদের সত্যের সন্ধান দেবার জন্য। নজরুলের জীবনে বার বার নার্গিস এসেছে। এ যেনো এক চীরচাতক প্রেমিকের নিত্য তার প্রিয়াকে কাছে পাওয়ার ব্যাকুলতা। (সংক্ষেপে বললাম, নার্গিসের সাথে নজরুলের পরিচয়, কুমিল্লায় আসা, বাসর রাতে পালিয়ে যাওয়া ইত্যাদি ঘটনা অন্য কোনো সময় তোমাদের জানিয়ে দেবো)
যাই হোক, নার্গিসের বিয়ে হয়েছিলো আজিজুল হাকিম নামে এক কবির সাথে।
কালের প্রবাহে আজ আজিজুল হাকিম নামক যে একজন কবি ছিলেন তা যারা জানেন তাতো আমার গুরু নজরুলের জন্যই।
১৪ বছর পর নার্গিস নজরুলের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি প্রেরণ করেন। নজরুল তার প্রতিউত্তরে সাথে সাথে একটি গান লিখেন। গানটি হলোঃ
“যারে হাত দিয়ে মালা দিতে পারো নাই,
কেনো মনে রাখো তারে। ।
ভুলে যাও মোরে ভুলে যাও একেবারে.......”
অসম্ভব চেতনা জাগানিয়া এক গান। বর্তমানে বিখ্যাত ব্যান্ড সংগীত শিল্পী শাফিন আহম্মেদ ও হামিম আহম্মেদ এর বাবার নাম কমল দাস গুপ্ত। আর মায়ের নাম ফিরোজা বেগম। আজ শাফিন হামিনের কাছে আমার প্রশ্ন? তোরা কি তোর বাবাকে সত্যিকার অর্থে চিনতে পেরেছিস? কতোবড় সুরস্রষ্টা ছিলেন এই কমল দাস গুপ্ত? আরে বোকা কমল দাস গুপ্তদের মতো সুরকারদের কোনোদিন মৃত্যু হয় না। আজ কিছু কিছু নজরুল গবেষককে দেখি তারা চীর তরুন নজরুলকে নিয়ে যুগের পর যুগ গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
পেকে বুড়ো হয়ে মারা যাচ্ছেন। কিন্তু নজরুলের আদর্শকে কতখানী নিজের হৃদয়ে ধারণ করতে পারছেন। মোটেই না। তারা যে সরকারের আশীর্বাদ পুষ্ট কিছু কিছু সঘোষিত গবেষক। ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আতেল নামের বত্তা।
আজ সময় এসেছে বাংলার মানুষের সামনে ফিরোজা বেগম, শাফিন আহমেদ ও হামিম আহম্মেদের মুখ খোলার।
আজ ফিরোজা বেগম, শাফিন, হামিম কে নজরুলের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তার যে গানগুলোর সুর করা হয়নি বলে কাগজের টুকরো মনে করে ফেলে রেখেছেন আর নজরুল গবেষনার নামে বছরে কোটি কোটি টাকা নষ্ট করছেন। অফিস করে যাচ্ছেন। ছুটি নিচ্ছেন। বউ বাচ্চা নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছেন কার টাকায়।
দেখুন বন্ধু আমার গুরু নজরুল তার জীবন থেকে অনেক সত্যকে বাস্তবে রূপান্তরিত করে ফুটিয়ে তুলেছেন। আর তোরা ঐ মহামানবকে নিয়ে কি করছিস তার স্পষ্ট জবাব জনগণের কাছে দিতে হবে। নজরুল তোদের বাপ দাদার সম্পদ না। নজরুল সবার হৃদয়ে সত্যিকারের বাঙালী বোধকে জাগিয়ে তোলার নাম। আরে মূর্খ চুল বড় রাখলেই নজরুল হওয়া যায় না।
শাফিন, হামিন তোমরা তোমার বাবাকে স্মরণ করে নজরুলের অপ্রকাশিত গান সমূহকে সুর দেয়ার চেষ্টা করো। দেখবে তোমরা পারবে। বাংলার সাধারণ মানুষ অপ্রকাশিত নজরুলের গানগুলোকে শুনতে চায়। দেখো শাফিন তোমার বাবা ঐ সন্ধ্যা তারা হয়ে তোমাদেরকে হুকুম দিচ্ছে সুর করার। তোমার বাবা যখন পেরেছেন তোমরাও পারবে।
শুধু শুধু নজরুলের লেখায় কে সুর দেবে এমন না ভেবে তোমার মনের ভিতরে যে সুরজ্ঞান আছে তা দিয়ে সুর করো। আমরা শুনতে চাই নজরুলের অপ্রকাশিত গান। ফাও ফাও ফালতু কাজে নজরুলের নাম করে অনেক মানুষ কোটিপতি বনে গেছেন। আমরা নজরুলের গান চাই, ঐ সব বুদ্ধিজীবী নামের গোলামদের না। ওরা তো কিছুদিন পর মারা যাবে ওদের কেউ মনে রাখবে না।
কিন্তু শাফিন তোমাদের মাইলস ব্যান্ডের গানের সুর যখন বোম্বের আনু মালিক নকল করেছিলো তখন তো তোমরা কেস করে ঐ গানটি হিন্দি সিনেমা দিয়ে সরিয়ে নেয়াতে বাধ্য করেছিলে।
যে নজরুল তার জীবনে সাধারণ মানুষকে অপমান করেনি বরং তার আদর্শের ছোয়া পেয়ে আমরা পরম সত্যকে আবিষ্কার করেছি। আর তোমরা তোমাদের দুর্বল ভাবছো। ঐ অসুরদের কাছ থেকে নজরুলের অপ্রকাশিত বা সুরবিহীন গানগুলোকে ছিনিয়ে এনে সুর করার দায়িত্ব আমি তোমাদের দিচ্ছি। কারণ তোমরা যে কমল দাস গুপ্তের সন্তান।
আর তোমরাও যে সুর সৃষ্টি করতে পারো।
শান্তিনিকেতন বা বিশ্বভারতীতে ভর্তি হবার পরই কারও মধ্যে এমন অহংকার বোধ জাগ্রত হয় যে তার কাছে সাধারণ মানুষ কে ময়লার মতো নোংড়া মনে হয়।
আরে নোংড়া তো তোরা। যারা আমাদের পরম প্রিয় যুগস্রষ্টাদের নিয়ে মসকরা করিস। প্লিজ শাফিন তুমি তোমার কাঁধে দায়িত্ব তুলে নাও।
নইলে যে আমরা ঐ মহামানবের অমর অনেক সৃষ্টিকে আজিবন আমলাতান্ত্রীক জটিলতার জালে বন্দি করে রাখবো।
নজরুলদের কখনও মৃত্যু হয় না। নজরুল যে বাংলাদেশী মানুষের হৃদয়ের শক্তির নাম। ওদের বেতন ভাতা ঠিক করা আর অফিস বানিয়ে ঐ অফিসে দৈনিক পত্রিকা পড়ে সময় কাটিয়ে, চা-নাস্তা খেয়ে রাজনৈতিক আড্ডা দেয়া নয়।
আমার ভালোবাসার মানুষটি বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজে ইন্টার্ণী ডাক্তার।
ওখানের সব চেয়ে লম্বা ও কালো মেয়েটি আমার প্রিয় মানুষ। যাকে আমি হারিয়ে পেয়েছি। আমার জন্মদিন আর ওর জন্মদিন এক তারিখে। আমরা দু’জন দু’জনকে অনে ভালোবাসী। আমার প্রিয়ার হৃদয়ে আমার স্থান।
কোনোদিনও কেউ আমার সুইট ড্রিমকে আমার ভালোবাসার অফুরন্ত মায়া থেকে দুরে নিয়ে যেতে পারবে না। দেখো দু’জনে কত বছর সামনা সামনি দেখা হয় না। তবুও ও যে আমার অনে বড় সম্পদ। আমি যে ওর মনকে ভালোবাসী।
আমার ভক্তদের আমি আদেশ করছি।
আমি যদি দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ধাতারা হয়ে যাই। আর ও যখন রোগী দেখা শুরু করবে। তোমরা রোগী সেজে ওর কাছে যেও। আমার প্রিয়াকে তোমরা দেখে রেখো। ও যে অনেক বেশী অসহায়।
আমার জন্য আমার হৃদয়ের ড্রিমল্যান্ড যে পরিমান দুঃখ ও ত্যাগ স্বীকার করেছে তা যে রাধা, শিরি, লাইলী, রজকীনীর আঘাতের মতোই। ওর মতো সরল পৃথিবীতে আর কেউ নেই। আমি চীরদিন আমার প্রিয়া মুনকে ভালোবেসে যাবো। আমি দিবানিশী ওর কাছে থাকি। ওর কষ্ট আমি সইতে পারি না।
প্রিয়ার কষ্টের কাছে স্রষ্টাও যে জিম্মি। ও তো জানে না সকল বঞ্চিতদের দুখঃ ব্যাথার মাঝে পরম আত্মার প্রকাশ লাভ করে।
নজরুল তার অভিষাপ কবিতায় বলেছিলেনঃ
গাইতে গিয়ে বন্ধু যখন আসবে চোখে কান্না।
মনে হবে সেই যে পথিক, তার শেখানো গান না!!!
এই আমার প্রেরণা। তুমি যদি তোমার প্রিয় মানুষকে হারিয়ে ফেলো হতাশ হবে না।
তোমার প্রিয় মানুষটিকে তোমার চরম আলিঙ্গন থেকে কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। তোমার প্রিয়ার হৃদয়ে তুমি বেঁচে থাকবে। আমার কাছে আফসোস নামের কোনো বস্তু নেই। আমার কাছে লোভ বলে কিছু নেই। আমার কাছে পরাজয় বলে কিছু নেই।
আমার কাছে অহংকার বলে কিছু নেই। ঐ সব মিথ্যে বিষয় বাসনাকে জলাঞ্জলী দিয়েই তো আমার সত্যিকে জাগিয়ে তুলেছি। একজন সত্যিকারের যুগস্রষ্টা কখনও তার চেতনা হারায় না। সে যে চীর তরুন। সে যে ঐ আকাশের তারার ন্যায় সত্যি।
যার স্থান তোমাদের জ্ঞানের অনেক উদ্ধে। বন্ধু কাউকে ভালোবাসলে তার মেকাপ বা অর্থসম্পদকে নয়। মনকে ভালোবেসো। দেহের মিলন কিচ্ছু না, মনের মিলন অনেক বড়। সত্যিকারের ভালোবাসার স্বাধ যে শুধু প্রিয়াকে কাছে পেলেই পাবে এমন নয়।
তুমি যদি তোমার জীবনে হাজারো দেহ ভোগ করে ঐ মিথ্যে দেহের কাছে নিজেকে সমর্পন করো তাহলে তুমি আর যাই হও না কেনো প্রকৃত সুখি হতে পারবে না।
আর যদি কাউকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসতে শেখো তাহলে তাকে সারাজীবন ধরে মিস করবেই। এ যে তোমাদের কাছে সত্যের চ্যালেঞ্জ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।