প্রকৃতিপ্রেমিকের ব্লগ
সবাই এখন ব্লগ লেখে। যারা নতুন তারা তো বটেই পুরানোরাও ব্লগ লেখায় পিছিয়ে নেই। বয়সের হিসেবে সমসাময়িক ব্লগারদের চেয়ে আমি বেশ খানিকটা পুরাতন হলেও ব্লগ লেখার হিসেবে একেবারেই আনকোরা। দেখতে দেখতে নিজের অজান্তেই পেরিয়ে গেলে একটি বছর। সময় কত দ্রুত চলে যায় এটা তারই প্রমান।
গতকাল একরামুল হক শামীমের সাথে জিমেইলে চ্যাট করছিলাম। ছেলেটার সাথে পরিচয় ২০০৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে। ছাত্র-শিক্ষক-সম্পর্ক দিয়ে পরিচয় হলেও ওর অগতানুগতিক এবং স্বপ্রতিভ স্বভাবের কারণেই ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের বাইরে একটা আলাদা সম্পর্ক তার সাথে রয়েছে। সে-ই মনে করিয়ে দিল আমি সামহয়্যারে অনেকদিন ধরেই লিখছিনা। আর সেকারণেই এই লেখার অবতারণা।
শামীমের প্রশ্নের সূত্র ধরে ব্লগে গিয়ে দেখি সামহয়্যারে আমার ১ বছর ১ দিন। সামহয়্যারইন দিয়ে শুরু। এরপর সচলায়তনে। সামহয়্যারইনের কথা প্রথমে শুনেছিলাম ছোটভাইয়ের কাছে। কৌতূহলবশত: একদিন ঢুঁ মেরেও দেখি।
ততদিনে আমি বাংলা ইউনিকোডের ভক্ত হয়েছি, তাই পুরানো বিজয়ের সামহয়্যারইন ব্লগ পড়তে গিয়েই হোঁচট খাই। রেজিস্ট্রশন করা হয় কিন্তু লেখা হয়না শুধু বিজয়ের কারণেই।
মনে পড়ে সামহয়্যারে নিয়মিত হয়েছিলাম ইউনিকোডে রূপান্তরের পর। দুইএকটা ব্লগ লিখেছিলাম। কিন্তু কোন ভাবেই আমার লেখা প্রথম পাতায় স্থায়ী হচ্ছিলনা।
কেবল ছবি, বা শিরোনামভিত্তিক পোস্ট দিয়ে প্রথম পাতা থেকে লেখা সরানোর একটা প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করেছিলাম যা আমাকে বেশ আশাহত করেছিল।
সম্ভবত একটা বাজে সময়ে সেখানে যোগ দিয়েছিলাম। ব্লগে চলছিল চরম অস্থিরতা। ফলে লেখালেখির মন থাকলেও লিখে আনন্দ পাইনি। তবুও দুই একটা লেখা যা দিয়েছিলাম তাতে ভাল রেসপন্স পেয়েছি।
এই অস্থিরতার মধ্যেও অনেক সুন্দর তথ্যবহুল লেখা পড়ার সুযোগ হয়েছিল। এরমধ্যে এই মুহূর্তে "পিরামিড তৈরীর" উপর একটা লেখা ছিল। লেখকের নাম মোরশেদ বা এই ধরনের কিছু একটা হবে। (দু:খিত এই মুহুর্তে নামটা মনে আসছেনা, খুঁজে বের করতে হবে)
তারপর একসময় সচলায়তনের আত্নপ্রকাশ ঘটে। সেখানে দ্রুতই লেখালেখি করার সুযোগ পেয়ে যাই।
সামহয়্যারে আর তেমন লেখা হয়ে ওঠেনি। তবে অতিথি হিসেবে এখানের ভাল ভাল লেখাগুলো এখনো পড়া হয়। সময় সুযোগ হলে আবার লেখা হবে, সেই প্রত্যাশায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।