বাংলাদেশ, ১৬ই ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মানব সৃষ্ট পতাকা তৈরির বিশ্বরেকর্ড করেছে, গিনিজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তার স্বিকৃতি দিয়েছে,লিংক View this link
একই দিনে সোহরাওয়ার্দীতে লক্ষাধিক মানুষ একসাথে জাতীয় সংগীত গাইলেন,এটা রেকর্ড হয়েছে বলে শোনা যায়নি।
এই দুইটি ঘটনা কি কোন নেতিবাচক প্রশ্নের জন্ম দিতে পারে! আশ্চর্জজনক ভাবে কিছু মানুষ এটা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এবং অবলীলায় বিষোদগার করে চলেছেন। আমি আমার দেশের পতাকা তুলে ধরবো,আমার জাতীয় সংগীত গাইব। এটা করতে গিয়ে যদি কোন আন্তর্জাতিক সংস্থা স্বীকৃতি দেয় তাহলে আমার আনন্দে উদ্বেলিত হওয়ার কথা। অবাক হয়ে লক্ষ করলাম অনেকে এটা নিয়ে কটূ কথা বলা শুরূ করলেন।
একটু গভীর ভাবে খেয়াল করে দেখলাম দুই শ্রেনীর মানুষ এর বিরোধীতা করছেন,১। জামাত -শিবির, বা তাদের মতাদর্শী লোকজন
২। হতাশাবাদী যারা বর্তমান পরিস্থিতে এই রকম আয়োজন বা অর্জন কে তাচ্ছিল্য করছেন।
১। নং শ্রেনীর লোকদের মনবেদনার কারন ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না, লাল সবুজ পতাকা আর আমার সোনার বাংলা শুনলে ওদের মাথায় রক্ত উঠে যায়,হিংস্র্ জানোয়ারের মতো তেড়ে আসে,তীব্র পরাজয়ের বেদনায় আর্তচিতকার করে।
পাকিস্তানপন্থী পত্রিকা আমার দেশ তাই এই অর্জন কে বলে নাটক মঞ্চায়ন।
ওদের কষ্টের কারন বুঝে আমরা আরো আনন্দিত হই,হাতের পতাকা আরো একটু উপরে তুলে ধরি।
২। নং শ্রেনীর মানুষ তাচ্ছিল্য করছেন কারন তারা মনে করছেন বর্তমান সহিংস পরিবেশে শান্তি স্থাপন, এসবের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
আমিও তাদের সাথে একমত।
কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতে এই ৮হাজার সেনাবাহিনীর জওয়ান,২০হাজার স্কুল শিক্ষার্থী কিংবা আয়োজক সংস্থা শান্তি আনয়নে কতটুকু কি করতে পারতেন! কিংবা আমার মতো সাধারন মানুষ যারা সমর্থন জানিয়েছি তারা আর কি করতে পারতাম! আমরা কি হাসিনা আর খালেদাকে জোর করে টেনে হিছড়ে আলোচনায় বসাতে পারতাম!! কিংবা জামাতিদের ধরে ধরে পাকিস্তানে পাঠাতে পারতাম!! কিংবা এরশাদ কে জেল থেকে বের করে বলতে পারতাম ,স্বামী-স্ত্রী মিল মোহাব্বত করে ইলেকশন করেন!
উত্তর হলো না,পারতাম না। রাষ্ট্র আমাকে আপনাকে সে অধিকার দেয়নি।
তাহলে রাষ্ট্রীয় এত বড় অর্জন নিয়ে আমরা কেন গর্ব করবো না!! নাকি এটা আমাদের জাতীয় ব্যার্থতা যে, ঐতিহাসিক যেকোন অর্জন, হোক সে ৭১ বা নোবেল প্রাইজ ,তাকে নিয়ে তাচ্ছিল্য বা কুতর্ক আমরা করতে থাকবো!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।