আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খাদ্যপণ্যের আমদানি কমেছে

গত তিন মাসে এসব ছাড়াও ভোজ্যতেল ও শিশুখাদ্যসহ বেশ কয়েকটি খাদ্যপণ্যের আমদানি কমে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
আমদানি ঋণপত্র নিষ্পত্তির সর্বশেষ তথ্যে এমন চিত্র ফুটে উঠলেও তাতে দেশের বাজারে সরবরাহে সংকটের কোনো আশঙ্কা দেখছেন না ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে দেশে চাল আমদানি হয়েছে ৫৭ হাজার ৫৭০ মেট্রিক টন। অক্টোবরে তা কমে ৩৭ হাজার ৮২৭ টনে নেমেছে। তবে নভেম্বরে একটু বেড়ে হয়েছে ৩৯ হাজার ৯২৫ টন।


সেপ্টেম্বরে গম আমদানি হয়েছিল ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৩৬৩ টন। অক্টোবরে আমদানি কমে দু্ই লাখ ৯০ হাজার টনে নেমে আসে। নভেম্বরে সেটা আরো কমে একলাখ ৪৫ হাজার ৮৮৯ টনে নামে।
সয়াবিন তেল আমদানিও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। গত সেপ্টেম্বরে সয়াবিন তেল আমদানি হয় ২৩ হাজার ২৯৪ টন।

অক্টোবরে তেল আমদানি কিছুটা বেড়ে ৩১ হাজার ৩৭৯ টনে দাঁড়ায়। নভেম্বরে বেশ কমে কমে ১১ হাজার ৭৫০ টনে নেমে আসে।
আমদানি কমার পেছনে বিশ্ববাজারে দামের নিম্নগতিকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, পড়তির বাজারে আমদানি করে লোকসানের ঝুঁকি নিতে চান না তারা।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে যাচ্ছে বলে আমদানিকারকরা তেল আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন।


তবে ভোজ্য তেলের আমদানি কমলেও পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় বাজারে কোনো সংকট হবে না বলে মনে করেন তিনি।
“তাছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে এখনো যে পরিমাণ তেল আটকে আছে তাতে আগামী দুই মাসে তেলের কোনো সংকট হবে না। ফলে দাম বাড়ারও কোনো আশঙ্কা নেই। ”
বিশ্ববাজারে গত দুই মাস ধরে তেলের দাম কমতির ধারায় রয়েছে। অক্টোবরে সয়াবিন তেলের দাম ১০০ ডলারে ৪ ডলার করে কমে যায়।

নভেম্বরেও এই কমতির ধারা অব্যাহত রয়েছে।
সেপ্টেম্বরে মসুর ডাল আমদানি হয়েছে ১৯ হাজার ৭১৫ টন। অক্টোবরে আমদানি কিছুটা কমে ১৮ হাজার ৫০৬ টনে নামে। নভেম্বরে ডাল আমদানি কমে প্রায় অর্ধেকে নামে। ওই মাসে ডাল আমদানি হয় ৯ হাজার ৭০০ টন।


তবে শীতের মওসুমে ডালের চাহিদা সাধারণত কম থাকায় সরবরাহ নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা করছেন না ডাল ব্যবসায়ীরা।
ডাল ব্যবসায়ী শফি মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অবরোধের মধ্যে সবধরনের ডালের আমদানি-রপ্তানি কমে গেছে।
“তবে শীতের মওসুমে প্রচুর সবজি পাওয়া যায় বলে ডালের চাহিদা একটু কম থাকে। কাজেই ডালের সংকট হবে না। ”
গুড়ো দুধ আমদানিও কমেছে।

সেপ্টেম্বরে গুড়োদুধ আমদানি হয়েছে ৬ হাজার ৭৬৮ টন। অক্টোবরে আমদানি হয়েছে ৩ হাজার ৮৬৯ টন। আর আমদানি হয়েছে ৪ হাজার ৫৬৮ টন।
চিনির আমদানি প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। সেপ্টেম্বরে চিনি আমদানি হয়েছিল ৪৪ হাজার টন।

অক্টোবরে আমদানি কিছুটা বেড়ে ৫৭ হাজার ১৭২ টন হয়। নভেম্বরে তা কমে ৪৫ হাজার টনে দাঁড়ায়।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।