যাদের হাতে দলীল প্রমাণ কম তারা গালি দেয় বেশি
একামতের পরে "ফযরের সুন্নত" সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে ফিকহে হানাফীর অবস্থান। ।
বিরোধীদের কথা হল- “হাদীসে স্পষ্ট বলা হয়েছে ‘সালাতের একামত হলে ফরয সালাত ছাড়া অন্য কোন সালাত নেই’(মুসলিম) . তারপর ও হানাফী মাযহাব মতে ফযরের সালাতের ক্ষেত্রে তারা এটি না মেনে একামত চলার পর ও সুন্নত পড়ে নেয়। এটা সরাসরি হাদীসের বিরধীতা। ”
মাশাআল্লাহ,ভায়েরা ।
এই জন্যেইতো আপনাদের আহলে হাদীস নামের আগে আমরা তথাকথিত বা নামধারী শব্দ ব্যাবহার করতে বাধ্য হই। আফসোস লাগে, এখন আমরা এমন জমানায় আছি যেখানে এক-দুটা হাদীস দেখেই আহলে হাদীস নাম পাওয়া যায় আর ১৪০০ বছরের মুজহাহীদদের একটি জামাতের হুজ্জত নির্ভর ইজতিহাদী ফায়সালাকে হাদীস বিরধী বলতে একটু অপেক্ষা করারও সময় থাকে না। তাই বাধ্য হয়েই আমাদের কিছু লিখতে হয়।
আগে তাদের পেশকৃত হাদীসগুলো একটু দেখিঃ
(১) “আবূ হুরাইরা রা. বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহী অসাল্লাম বলেছেন ,সালাতের একামত হলে ফরয সালাত ছাড়া অন্য কোন সালাত নেই ”। (মুসলিম)।
(২) ইবনে আব্বাস রা. বলেন , ফজরের ইকামত দেওয়ার পরে এক ব্যাক্তি(ফজরের সুন্নাত) দুই রাক’আত আদায়ের জন্য দাঁড়ায়। তখন রাসূলুল্লাহ তার পরিধেয় বস্ত্র ধরে টান দিয়ে বলেন , তুমি কিফজরের সালাত চার রাক’আত আদায় করবে ? (আহমদ নির্ভরযোগ্য সনদে। অনুরূপ হাদীস বুখারীও মুসলিম কর্তৃক মালিক ইব্ন বুহাইনা থেকে সংকলিত হয়েছে)।
ফযরের ইকামতের পর দুই রাক’আত সুন্নাত আদায়ের এই নিষেধাজ্ঞা মসজিদের অভ্যন্তরে প্রযোজ্য। যদি মুসাল্লী জামা’আত পাবেন বলে নিশ্চিত থাকেন, তাহলে মসজিদের বাইরে , মসজিদের প্রান্তে, স্তম্ভের আড়ালে কিংবা মসজিদের দরজার বাইরে অথবা বারান্দায় সুন্নাত দুই রাক’আত আদায় করে নেওয়ায় কনো দোষ নেই।
সাহাবীগণ একামতের পর এভাবে মসজিদের বাইরে বা প্রান্তে ফজরের দুই রাক’আত আদায় করেছেন বলে বিভিন্ন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
আরাকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল - রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহী অসাল্লাম থেকে বর্ণিত হাদীসের আসল উদ্দেশ্য মূলত সাহাবী রাযিঃ রাই ভালো বুঝতেন। এটা অস্বিকার করা হবে শরিয়তের সাথে তামাশা করা ছাড়া আর কিছুই নয়। আর সাহাবী রাযিঃ এর মধ্যে বড় বড় ফকিহ সাহাবীর আমাল পাওয়া যায় এ ব্যাপারে।
ইবনে উমর রা. এরূপ করেছেন বলে তাহাবী সহীহ সনদে সংকলন করেছেন।
ইবনে আব্বাস রা. এরূপ করেছেন বলে তাহাবী সহীহ সনদেসংকলন করেছেন। আবূ দারদা রা. এরূপ করেছেন বলে তাহাবী হাসান সনদে সংকলন করেছেন। ইবনে মাসঊদ রা. এরূপ করেছেন বলে ইবন আবী শাইবা সহীহ সনদেসংকলন করেছেন। তাবরানীও ইব্নমাসউদ থেকে অনুরূপ হাদীস সংকলন করেছেন। তার সনদের বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।
মূলত তাদের আমল দেখে বুঝাই যায় যে মুসলিম শরিফে বর্ণিত হাদীসের নিষেদ্ধাজ্ঞা ফযরের ক্ষেত্রে আরপিত হবে না। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম এর এরুপ নিষেদ্ধাজ্ঞা থাকার পর ও কিভাবে সাহাবীরা তার উপর আমল করতে পারে?
এবার হানাফী ফিকহের হুজ্জত(দলিল) নিয়ে কিছু আলোচনা করিঃ
এ ব্যাপারে হানাফী মাযহাবের ইমামদের প্রথম যুক্তি হল হাদীসের মধ্যে ফযরের সুন্নতের ব্যাপারে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই সুন্নত শেষ করে জামাত ধরার সুযোগ থাকলে অবশ্যই তাই করতে হবে। কোন ক্রমেই সুন্নতকে বাদ দেওয়া যাবে না।
সুন্নতের গুরুত্বের ব্যাপারে হাদীস সমূহঃ
(১) আবূ হুরায়রা রা. বলেন , রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন , তোমরা ফযরের দুই রাকআত পরিত্যাগ করবেনা , এমনকি অশ্ব (কিংবা অশ্বারোহী শত্রু) তোমাদের তাড়া করলেও।
(হাদীসটি আবূ দাঊদ ওআহমদ সহীহ সনদে সংকলন করেছেন)।
(২) আয়েশা রা. হতে বর্ণিত আছে , রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরেরপূর্বে দু’রাকাত (সুন্নত) এর প্রতি যেমন গুরুত্বারোপ করতেন অন্য নফলে এতো ভীষণগুরুত্বারোপ করতেন না। (মুসলিম – ১/২৫১)
(৩) আয়েশা রা. হতে বর্ণিত আছে ,প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, ফযরের দু’রাকাত (সুন্নত) দুনিয়া এবং তার মধ্যেযা কিছু রয়েছে এসবের চেয়ে উত্তম। (মুসলিম – ১/২৫১)
(৪) আয়েশা রা. হতে আরেকটি বর্ণনা আছে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফযর উদয় হওয়ার পর দু রাকারত সুন্নত সম্পর্কেএরশাদ করেছেন, এ দু রা’রাকাত আমার কাছে গোটা দুনিয়া হতে অধিক প্রিয়। (মুসলিম –১/২৫১)
এবার সাহাবী রাযিঃ এর আমল গুলো দেখুনঃ
(১) তাবিয়ী আবূ মিজলাযবলেন, আমি একদা ফজরের সালাতের সময় ইবনে উমর রা. ওইবনে আব্বাস রা. এর সাথে মসজিদে প্রবেশ করি,তখন ইমাম সালাতে রত ছিলেন।
ইবনে উমর রা. (সরাসরি) জামা’আতের কাতারেপ্রবেশ করেন এবং (ইমামের সাথে যথারীতি সালাত শুরু করেন); কিন্তু ইবনে আব্বাস রা. (প্রথমে) দুই রাক’আত সুন্নাত আদায় করেনএবং তারপর ইমামের সাথে জামা’আতে শরীক হন। ইমাম সালাম ফেরানোর পর ইবনে উমর রা. সূর্যদয় পর্যন্ত তাঁর স্থানে বসে থাকেন। সূর্যোদয়ের পরে তিনি উঠে দুই রাক’আত(ফজরের সুন্নাত) সালাত আদায় করেন। (তাহাবী সহীহসনদে)।
এখানে লক্ষনিয় যে, ইবনে উমর রা. যখন জামাতের কাতারে প্রবেশ করেন ঠিক তখনইবনে আব্বাস রা. সুন্নত পড়া শুরু করেন।
কিন্তু নামাযের পরে বা অন্যকোন সময়ে ইবনে উমর রা. এর কোন আছারে এ ধরনের কোন প্রমান পাওয়াযায় না যে, ফযরের জামাত চলাকালে সুন্নত পড়ার কারনে ইবনে আব্বাস রা. কে ইবনে উমর রা. সংশোধন করে দিয়েছেন। বরং আরো ফকিহ সাহাবি হতেও ইবনে আব্বাস রা. এর আমালের প্রমান পাওয়া যায়।
(২) নাফে’ রা. বলেন – ‘ইবনে উমর রা. কে আমি ফযর নামাযের জন্য জাগিয়ে দিলাম। তখননামাযের ইকামত হয়ে গেছে । তখন তিনি দাঁড়িয়ে দু রাকআত নামায আদায় করলেন।
’(তাহাবীসহীহ সনদে-১/১৮৩)
(৩) হযরত আবু মুসা রা. হতে বর্ণিত, সাইদ ইবনুল আস রা. যখন আমাদের ডেকে ছিলেন , তখন আবু মুসা ,হুযাইফা ও আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. কে ডেকেছিলেন। তারপর তারা সাইদ ইবনেআস রা. এর কাছ থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। তখন নামাযের একামতদেওয়া হয়েছিল। ফলে আব্দুল্লাহ মসজিদের একটি স্তম্ভের কাছে এসে বসলেন। তারপরদু’রাকআত নামায আদায় করে তারপর নামাযে অন্তর্ভুক্ত হলেন।
(শরহে মা’আনিল আছার সহীহ সনদে ১/১৮৩ )।
ইমাম তহাবী রহঃ এই হাদীসটি বর্ণনা করার পরবলেন ইনি (আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ) এই আমল করেছেন , তার সঙ্গে ছিলেন হুজায়ফা রা. ও। তাঁরা তাঁর প্রতি কোন প্রতিবাদ জানাননি। এতে তাঁদের দুজনআবদুল্লাহ রা.এর অনুকুল ছিলেন বলে প্রমানিত হয়।
এই বর্ণনাটি হাফেজ ইবনে রাজ্জাকও মুসান্নাফে শাব্দিক কিছু পার্থক্য সহকারেবর্ণনা করেছেন।
(২/৪৪৪ হা.নং ৪০২১)
(৪) আবু উসমান আনসারি রহ. বলেন, -‘হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. এমন সময় এলেন, যখন ইমাম ফজরের নামাযে রত। অথচ ইবনেআব্বাস রা. দু’রাকাত (সুন্নত)নামায আদায় করেননি। তখন আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. ইমামের পিছনে দু’রাকাত নামায আদায় করলেন । তারপর ফরয নামাযে প্রবেশ করলেনতাদের সঙ্গে। ’ (তাহাবী ১/১৮৩ সহীহ সনদে)।
(৫) তাহাবীতে আবুদারদা রা. সম্পর্কে বর্ণিত আছে, - ‘এমন সময় তিনি মসজিদেপ্রবেশ করলেন যখন লোকজন নামাযে কাতারে অবস্থান করতেন । তখন তিনি মসজিদের এক পাশেদু’রাকাত নামাজ পড়ে কওমের সঙ্গে নামাজে প্রবেশ করতেন। ’ (তাহাবী ১/১৮৩ সহীহ সনদে)।
(৬) আবু উসমান নাহদি রহ. বলেন, - ‘হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রা. এর কাছে আমরা আসতাম ফজরের নামাজের পূর্বে দু’রাকাত(সুন্নত) নামাজ আদায়ের আগে। তখন আমরা মসজিদের শেষের দিকে দু’রাকাত নামায পড়তাম।
তারপর কওমের সঙ্গে তাদের ফরজ নামাযে প্রবেশ করতাম। ’ (তাহাবী ১/১৮৩ সহীহ সনদে)
এখানে সহীহ সনদে অনেক সাহাবী রা. এর আমাল পেশ করা হয়েছে যারা ফজরের ফরজ সালাতের একামতের পরও ফজরের সুন্নত নামায পড়েছেন অথবা সমর্থন দিয়েছেন। সাহাবিগন হলেন-উমর ইবনুল খাত্তাব রা, ইবনে উমর রা, ইবনে আব্বাস রা, আবূ দারদা রা, ইবনে মাসঊদ রা, আবু মুসা রা, হুযাইফা রা । আছার গুলো থেকে বুঝা যায় যে এ ধরনের আমাল সাহাবীদের মধ্যে অপরিচিত ছিল না। লক্ষ করার বিষয় যে সকল সাহাবীরা এ আমাল করতেন এবং যারা দেখতেন কিন্তু এর বিরধীতা করতেন না তারা ছিলেন উম্মতের প্রথম কাতারের ফকীহ।
হুযুরের সুন্নত থেকে অনু পরিমান বর্জনের চেয়ে যারাজীবন দিতে পছন্দ করতেন , তারা কি সুন্নতের খেলাফ আমাল করে গেলেন?!(নাউজুবিল্লাহ)। তারাকি ঐ হাদীসটির সঠিক অর্থ বুঝলেন না? যদি সাহাবীদের সম্পর্কে এ ধরণের চিন্তা করো থেকে থাকে তাহলে নিজের আক্বিদাকে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আক্বীদার সাথে মিলিয়ে দেখলে নিজেকেই ধিক্কার দিতে ইচ্ছা হবে।
এটি একটি ইজতিহাদি মাসআলা। কোন কোন ইমাম যেমন ইমাম শাফিয়,ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল) মুসলিম শরীফের ঐ হাদীস থেকে বলেছেনযে, জামাত দাঁড়িয়ে যাওয়ার পর ফযরের সুন্নত নামায পড়াও বৈধ নয়। অপর দিকে ইমাম আবুহানিফা , ইমাম মালিক এর মতে জামাত দাঁড়িয়ে যাওয়ার পর ফযরের সুন্নত নামায পড়া বৈধ,তবে শর্ত হল জামাত পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে।
তাদের মতে মুসলিম শরিফের ঐহাদিসের হুকুম ফযর ব্যাতিত অন্য চার ওয়াক্ত এর জন্য। তাদের কথার প্রথম ভিত্তি হলফযরের সুন্নত নামাযের তাকিদ সম্পর্কে কিছু হাদীস এবং দ্বিতীয়ভিত্তি হল অতি উচ্চ পর্যায়ের ফকিহ সাহাবিদের আমাল যা পূর্বে পেশ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভারতিয়উপমহাদেশের অন্যতম একটি গবেষণামূলকউচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মারকাযুদ্ দাওয়াহ আলইসলামিয়া এরএকটি ফতোয়া উল্লেখ করছি-
প্রশ্ন:আমার মাঝে মাঝে এমন হয় যে,ফজরের সময় মসজিদে গিয়ে দেখি নামাযের ইকামত হচ্ছে বা জামাত শুরু হয়ে গেছে। এ অবস্থায় জামাতের কতটুকু অংশ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে আমি সুন্নত পড়ব?দ্বিতীয় রাকাত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে নাকিইমামকে তাশাহহুদে পাওয়ারসম্ভাবনা থাকলে? জানিয়েবাধিত করবেন।
উত্তর: ফজরের সুন্নত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
হাদীসশরীফে এসেছে, রাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা ফজরের সুন্নত ছেড়ে দিও না। যদিও সৈন্যবাহিনীতোমাদেরকে তাড়া দেয়। -মুসনাদে আহমদ ২/৪০৫
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ, আবদুল্লাহ ইবনে আববাস ও আবু দারদা রা.-এরমতো বিশিষ্ট সাহাবীদের থেকে বর্ণিত আছে যে, তারাফজরের জামাত শুরু হয়ে গেলেও সুন্নত পড়ে নিতেন। যেমন আবুদারদা রা. ফজরের সময় মসজিদে প্রবেশ করে লোকজনকে ফজরের জামাতে কাতারবদ্ধপেলে মসজিদের এক কোণে (ফজরের) সুন্নত পড়তেন। অতপর মানুষের সাথে জামাতেশরিক হতেন।
-শরহু মাআনিল আছার, তহাবী ১/২৫৬
সুতরাং ফজরের জামাত শুরুহয়ে গেলেও সুন্নত পড়ে যদি জামাতের সাথে দ্বিতীয় রাকাতও পাওয়া যায়তাহলে সুন্নত পড়ে নিবে। আর দ্বিতীয় রাকাত পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেসুন্নত পড়বে না; বরং জামাতে শরিক হয়ে যাবে এবং সূর্যোদয়ের পর তা পড়ে নিবে।
প্রকাশ থাকে যে, কোনো কোনো ফকীহ সুন্নত পড়ার পর ইমামকে তাশাহহুদেপাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও সুন্নত পড়ার কথা বলেছেন। কিন্তু অধিকাংশফকীহর মত তা-ই,যা উপরে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জামাত শুরু হওয়ার পর মসজিদে সুন্নত পড়ার কিছু শর্ত রয়েছে।
যথা-
ক. কাতারের সাথে মিলিতহয়ে পড়া যাবে না। মসজিদের বারান্দায় বা কাতার থেকে দূরে মসজিদের এককোণে বা কোনো পিলারের আড়ালে সুন্নত পড়বে।
খ. জামাত থেকে পিছনে পৃথকহয়ে সুন্নত পড়ার মতো জায়গা না থাকলে সুন্নত পড়া যাবে না। এক্ষেত্রে জামাতেশরিক হয়ে যাবে।
-আলজামিউসসগীর ৯০; খুলাসাতুলফাতাওয়া ১/৬১; বাদায়েউসসানায়ে ১/৬৪০; ফাতাওয়াতাতারখানিয়া ২/৩০৮; আলবাহরুর রায়েক২/৭৩;ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১২০; মাবসূত, সারাখসী১/১৬৭; ফাতহুলকাদীর ১/৪১৬
শেষ করার আগে আবার ও বলছি-
ব্যাপারটি সম্পূর্ণ ইজতিহাদী।
এজন্য এনিয়ে মুজতাহিদ ইমামদের মধ্যেই মতোবিরধ দেখা দিয়েছে। আর উভয় পক্ষেই রয়েছে হাদীস ওআছার। সুতরাং এক্ষেতে আমাদের সাধারণদের উচিত হবে যে সকল আলেমদের এলেম ও তাকওয়ারপ্রতি বেশি আস্থা হবে তাদেরকে অনুসরণ করা এবং “হাদিস বিরধী, শুধু কিয়াসনির্ভর,সুন্নাহ বিরধী...” কথা গুলো থেকে নিজের জবানকে হেফাযত করা যাতে সমাজেরমধ্যে এ ব্যাপারে ফেতনা তৈরি হতে না পারে।
ফেবু থেকে। Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।