ঘটনার শুরু সুইডিশ ফুটবলের একটি পুরস্কারকে কেন্দ্র করে। মিডফিল্ডার আনদার্স সিভেনসনকে দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড (১৪৩টি ম্যাচ) ভাঙ্গার জন্য একটি ভলভো গাড়ি উপহার দেয় সুইডেন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। ১৪৮টি গোল করা সিভেনসন সম্প্রতি অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন।
তবে মেয়েদের ফুটবলে রেকর্ড ১৮৭টি ম্যাচ খেলা মিডফিল্ডার তেরেস সোয়াগ্রানকে এ ধরনের সম্মাননা না দেয়ায় সমালোচনার মুখে পড়ে দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।
এ বিতর্ককে উস্কে দিয়ে সুইডেনের একটি পত্রিকায় সাক্ষাতকার দেয়ার সময় দেশটির জাতীয় দলের অধিনায়ক ইব্রাহিমোভিচ বলেন, "মেয়েরা ফুটবলে খুবই ভালো করছে।
তাদের কৃতিত্বের ওপরে সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, তোমরা ছেলে ও মেয়েদের ফুটবলে তুলনা করতে পার না। হাল ছেড়ে দাও, এমনকি মজা করেও এ তুলনা করা যায় না। "
"আমি যখন ইউরোপে খেলি তারা মেসি ও রোনালদোর সঙ্গে আমাকে তুলনা করে। আর দেশে এলে কিনা আমাকে তুলনা করা হয় নারী ফুটবলারের সঙ্গে। আমি মেয়েদের প্রতি সম্মান জানিয়েই বলছি, তারা যা আনতে পারবে (আর্থিকভাবে), যার বিবেচনাতেই তাদের পুরস্কৃত করা উচিৎ।
"
তবে পিএসজির এই স্ট্রাইকারের দাবি, তার কথাকে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করে ঐ রিপোর্টার লিখেছেন। এ প্রসঙ্গে ইব্রাহিমোভিচ বলেন, “সুইডেনে এটা এখন একটা স্পর্শকাতর বিষয়। আমি শুধু বলেছিলাম যে আপনারা এ দুটোর মধ্যে (ছেলে ও মেয়েদের ফুটবল) কোনো তুলনা করতে পারেন না। ”
“তাদের (মহিলা ফুটবলারদের) প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা। তারা অনেক ভালো কাজ করছে।
তবে সে সময় আমি একজন অজ্ঞ সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আমি কথাটা মজা করে বলেছিলাম। অথচ তিনি সেটাই তার লেখার বিষয়বস্তু করেছিলেন। ”
আত্মপক্ষ সমর্থন করে ইব্রাহিমোভিচ আরো বলেন, “আসলে সেটা ছিল আমারই ভুল। আমার ঐ রিপোর্টারের সঙ্গে কথা বলাই উচিৎ হয়নি।
ব্যাপারটা এমন, ধরুন আমি কোনো পুরস্কার পেলাম। অথচ কোনো পত্রিকা পুরোপুরি মেয়েদের ফুটবলের ওপরে জোর দিলো। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।