শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে দুইটায় পর্তুগালের মাঠে হবে এবারের বাছাইপর্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় এই লড়াইয়ের প্রথম লেগ। আর ফিরতি লেগ হবে আগামী মঙ্গলবার সুইডেনের মাঠে, ঐ একই সময়ে।
ক্লাব ফুটবলে তার স্পেনের রিয়াল মাদ্রিদের খেলা মানেই রোনালদো ভক্তদের রাত জেগে অপেক্ষা আর উচ্ছ্বাসের পালা। ইব্রাহিমোভিচও বা কম কিসে। সুইডিশ এই স্ট্রাইকারের উপস্থিতিতেই আজ পরিচিত হয়ে উঠেছে ফরাসি লিগ।
দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর প্যারিস সেন্ট জার্মেইকে ঘরোয়া লিগের শিরোপা এনে দিয়েছেন তিনি।
বর্তমানে দারুণ ফর্মেও আছেন তারা দু’জনই। লা লিগার ১৩ ম্যাচে রোনালদো গোল করেছেন ১৬টি, সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় আছেন সবার উপরে। পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচে তার গোলসংখ্যা আটটি। এখানেও সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনিই।
প্রতিপক্ষের জালে রোনালদোর মতো অত বেশি বল পাঠাতে না পারলেও ইব্রার পারফরম্যান্সও ছোট করে দেখার উপায় নেই। ১৩ ম্যাচে গোল করেছেন আটটি। সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় আছেন দ্বিতীয় স্থানে। কিন্তু গোল করার পাশাপাশি করিয়েছেনও বেশ কয়েকটি। শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে এবারও তার দল আছে শীর্ষে।
তবে প্রতি সপ্তাহে ক্লাব ফুটবলে চমক দেখানো এই দুই তারকার এবার জাতীয় দলের হয়ে কঠিন পরীক্ষা- দলকে বিশ্বকাপের টিকেট পাইয়ে দিতে কে থাকবেন এগিয়ে।
এর আগে সাতবার মুখোমুখি হয়েছিলেন দুই তারকা। দুইবার জাতীয় দলের হয়ে, চারবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ও একবার লা লিগায়।
অবশ্য আকর্ষণীয় এই লড়াইকে শুধু দুই খেলোয়াড়ের লড়াই হিসেবে দেখতে নারাজ ৩২ বছর বয়সী ইব্রাহিমোভিচ বলেন, “আমার কাছে ব্যাপারটা এমন, ভিন্ন দুই খেলোয়াড় দারুণভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে এবং তাদের সেরাটা দিয়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। তবে এই ম্যাচে শুধু দু’জনকে গুরুত্ব দেয়াটা ঠিক নয়- এটা সুইডেনের বিপক্ষে পর্তুগালের লড়াই।
আমার কাছে দলগত ব্যাপারটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ”
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে পর্তূগালের চেয়ে সুইডেন অবশ্য আছে বেশ ভালো অবস্থানে। গত পাঁচ ম্যাচে সুইডিশদের চার জয়ের (অন্যটিতে হেরেছে তারা) বিপরীতে পর্তুগাল জিতেছে মাত্র দু’বার (দুটি ড্র ও একটি হার)।
বাছাইপর্বের ১০ ম্যাচে ছয়টি জয় এবং দুটি করে ড্র ও হারে মোট ২০ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের দ্বিতীয় স্থান পায় সুইডেন। আর সমান খেলায় ছয়টি জয়, তিনটি ড্র ও একটি হারে ২১ পয়েন্ট নিয়ে ‘এফ’ গ্রুপের দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত করে পর্তুগিজরা।
শেষ দু’বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে অবশ্য জয়ের দেখা পাইনি কেউই। ২০০৯ ও ২০০৮ সালে ইউরোর বাছাইপর্বের দুটি খেলায় গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ হয়।
ইউরোপীয় অঞ্চলের অন্যান্য প্লে-অফের প্রথম লেগে আইসল্যান্ডের মাঠে খেলবে ক্রোয়েশিয়া, ইউক্রেন সফর করবে ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স এবং গ্রিসের বিপক্ষে মাঠে নামবে রোমানিয়া।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।