আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খেলার সাথে মেশানো রাজনীতি, কাওরানবাজারের আর্তনাদ এবং পাকিস্তানি পণ্য বর্জনের একটি আবেদন

ঘুম থেকে উঠেই আফ্রিদি শুনলেন রেকর্ড নেই! এটা দেখে আমার পাপী মনে প্রথমেই প্রশ্ন জাগে, রাতে আফ্রিদির সাথে প্রথম আলোর পক্ষে ঘুমিয়েছিল কে? আফ্রিদি কেন ঘুম থেকে উঠেই এই রেকর্ডের কথা শুনলো, দাঁত কেন মাঝা হয়নি, প্রাত:রাশ কেন হয়নি সারা-এ প্রশ্নগুলো হৃদয়ে ধারণ করে প্রথম আলোর স্পোর্টস ডেস্ক যে খুবই আপসেট সেটা বুঝা গেলো তা সে রাতে প্রতিনিধি হিসেবে যেই আফ্রিদির সাথে নিশিযাপন করুক।
আশির দশকের শুরুতে একবার ইমরান খান জারজকে নিয়ে পাকিস্তান পার্লামেন্টে আলোচনা হয়, সেখানে বেশকিছু আইন প্রণেতা ইমরানের খানের বোলিং এর সময়ে সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ রাখার দাবি উত্থাপন করেন। পিছনের কারণ হলো, ইমরান খান নামক কুখ্যাত জারজ বোলিং করার জন্য যখন রান-আপের প্রস্তুতি নেয় তখন ট্রাউজারে বল ঘষা দেখে পাকি রমণীকুলের নাকি অর্গাজম হয়ে যায় যায় অবস্থা। একই রকম মন্তব্য ইমরান খান সম্পর্কে করেছিলেন আরেক পাকি জারজ সরফরাজ খান। এখন ইমরান খান নেই, শাহিদ খান আফ্রিদি রয়ে গেছে।

পাকি মহিলাদের এখন অর্গাজম হয় কিনা সে সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য কোন তথ্য নেই, কিন্তু কাওরানবাজারে এখনো দলে দলে মানুষ শীৎকারদেয় এতে কোন সন্দেহ নেই। আর তাইতো প্রথম আলো এন্ডারসনের বরাত দিয়ে বারবার বলে-

সে হয়তো আবার চেষ্টা করবে রেকর্ড ভেঙে দিতে!


প্রথম আলোর আফ্রিদি প্রেম (পড়ুন পাকি প্রেম) এতোটাই গভীর যে তারা পারলে প্রতিদিন আফ্রিদিকে নিয়ে একাধিক রিপোর্ট লিখতো। আফ্রিদি নিয়ে প্রাসঙ্গিক এবং অপ্রাসঙ্গিক রিপোর্টে সারা বছর জুড়ে ভর্তি ছিল প্রথম আলোর নানান পাতা। আসুন দেখে নেই কিছু রিপোর্ট-
১. পাকিস্তানকে জেতালেন সেই আফ্রিদি
২. জবাব দিলেন আফ্রিদি
৩. আত্মবিশ্বাসী আফ্রিদি
৪. সব দোষ আফ্রিদির!
৫. ইউসুফ ও শোয়েব ‘হেকল অ্যান্ড জেকল’: আফ্রিদি
৬. খেলবেন না আফ্রিদি
৭. আফ্রিদির জীবন-কাহিনি নিয়ে চলচ্চিত্র
৮. তার পরও আফ্রিদির সিনেমায় ভিড়
৯. ব্যবসায়ী আফ্রিদির অন্তরে শুধুই ক্রিকেট
১০. নতুন ভূমিকায় আফ্রিদি
১১. আফ্রিদির আপত্তি
১২. বিব্রত আফ্রিদি
১৩. ঢাকায় আফ্রিদির বিদিয়ান
১৪. আফ্রিদির ‘৪০০’
১৫. আফ্রিদি বনাম তাঁরা
প্রথম আলো দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক, আর তাদের পত্রিকার পাতায় সব ধরনের খেলা মিলিয়ে সর্বাধিক প্রচারিত বিদেশী ক্রীড়াবিদ আফ্রিদি। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে আফ্রিদি কতোটুকু জনপ্রিয় এর চেয়ে বেশি প্রকাশ পায় জাতি হিসেবে আমাদের দৈন্যতা।

আর এজন্যই এই পাকি জারজ সন্তান বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করার আগ্রহ পায়। আফ্রিদি সগর্বে বলতে পারে-
এখানে আমার অনেক ভক্ত আছে। তাদের জন্যই এমন আয়োজন।


এমন সংবাদে লজ্জিত বোধ করি বারবার।
আফ্রিদির সংবাদ প্রচার করা এ লেখার উদ্দেশ্য নয়, এ লেখাটা শুধু এটা বুঝাতে যে এক শ্রেনীর মানুষের আফ্রিদি প্রেম কতো গভীর হলে পরে আফ্রিদি এদেশ থেকে ব্যবসা করে টাকা নিয়ে যেতে আগ্রহী হয়।

দেশ জুড়ে এখন পাকিস্তানি পণ্য বর্জনের আহ্বান জানানো হচ্ছে, খেলার সাথে কিঞ্চিত রাজনীতি মিশিয়ে আমি সবাইকে আফ্রিদির এই ফ্যাশন হাউজ বর্জনের আহ্বান জানাতে চাই। আফ্রিদির এই ফ্যাশন হাউজ অভিমুখে হোক না একটা পদযাত্রা, নতুন কোন শাখা শুরুর আগেই বন্ধ করে দেয়া হোক এই ব্যবসা। এতে আমরা বস্ত্রহীন হবোনা এটাতো নিশ্চিত।

সোর্স: http://www.sachalayatan.com/     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.