আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেখেন এমপি সাহেব বলে।



আপনারা শুধু যাবেন আর আসবেন
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি, ২০১৪
যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনের শার্শা উপজেলা সীমান্ত-সংলগ্ন ৬টি ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্র দখল ও নিজস্ব লোক দিয়ে শতভাগ ভোট কাস্টিংয়ের পরিকল্পনা করেছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত যশোর-১ আসনের এমপি শেখ আফিল উদ্দিন।
গত ৩০ ডিসেম্বর ঝিকরগাছা উপজেলার পারবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলামের পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। এ সভায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেছেন, প্রতিটি কেন্দ্রে তার উপজেলা থেকে একশ নির্ভীক কর্মী উপস্থিত থাকবেন। তারা ভোট দিয়ে আবারও লাইনে এসে দাঁড়াবেন এবং আবার ভোট দেবেন।

আপনারা শুধু যাবেন আর আসবেন। এভাবে সারাদিন তারা ভোট দিয়ে যাবে। প্রশাসনিক কোনো ভয় নেই; সেটা তিনি দেখবেন।
নির্বাচনী এজেন্টদের উদ্দেশে দেয়া এ বক্তব্য রেকর্ড করেছেন যশোর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের লোকজন। অধ্যাপক রফিকুলের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট শাহীন-উল-কবীর ওই রেকর্ডকৃত বক্তব্যের সিডিসহ বুধবার জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।

যশোরের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তিনি অভিযোগটি গ্রহণ করেছেন। একই সঙ্গে অভিযোগটি তিনি নির্বাচন সংক্রান্ত ইলোক্ট্ররাল ইনকোয়ারি কমিটির কাছে পাঠিয়েছেন। কমিটি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ ব্যাপারে এমপি শেখ আফিল উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ০১৭১১-৫২৪৫৬০ নম্বরে একাধিকবার করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। আফিল গ্র“পের পরিচালক ও এমপি আফিলের ঘনিষ্ঠ সহচর মাহাবুবুল আলম লাভলুর সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযোগের বিষয় জানিয়ে এমপি শেখ আফিল উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলার জন্য সাহায্য করতে অনুরোধ জানানো হয়।

তিনি জানান, এমপি সাহেব কর্মী সভায় ব্যস্ত আছেন। তিনি এখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না।
এমপি শেখ আফিল উদ্দিন যা বলেছেন : পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এমপি শেখ আফিল উদ্দিন বলেন, আপনারা যদি কোনো প্রশাসনিক সমস্যায় পড়েন আমাকে বলবেন; আমি জবাব দেব। তার জন্য যা যা করণীয় ভোট মাঠে তা কিন্তু করা লাগবে, আমিতো মাইকে বলতে পারবো না কি করা লাগবে। মাইকে কিন্তু বলতে পারবো না; একা একা জিজ্ঞেস করলে বলে দিব।

সুন্দর করে ভোট করবেন। ভোট যেন নৌকা পায় সেইভাবে সুন্দর করে ভোট করবেন। মাঠ যেন ফাঁকা না হয়ে যায় সেজন্য একশ ছেলে ভোটের মাঠে লাইনে থাকবে। বুথে যাবে আবারও ওরা এসে পেছনে দাঁড়াবে। ওরা বাড়ি যাবে না।

একশ ছেলে সবসময় লাইনে থাকবে। বুথের ভেতরে ঢুকবে ও আবার পেছনে ৯৯ জন সামনে থাকবে। এইভাবে ও যাবে আবার আসবে। লোক ও সাংবাদিকরা আসবে। দেখবে যে মাঠ ভরা।

তিনি আরও বলেন, হাজার হাজার লোক আসবে, নো প্রবলেম। আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেবেন। শুধু যাবেন আর আসবেন। এতে ঝামেলার কিছু নেই।



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.