‘আপনারা শুধু ওই ধর্ষণ (একাত্তরের) দেখেন। কিন্তু চোখের সামনে যে ইডেন, বদরুন্নেসা কলেজে ধর্ষণ হয়েছে, সেটা দেখেন না? আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত। চোখের সামনে খুন হয়ে যায়, সেটা দেখেন না। আপনারা খালি যুদ্ধাপরাধ চোখে দেখেন? খালি হাড্ডি খুঁজে বের করেন, সাক্ষী খোঁজেন। ’ বুধবার বিকেলে পুরানা পল্টনে ঢাকা মহানগর জামায়াত কার্যালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে এক আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রতি এভাবেই খেদ প্রকাশ করেন দলটির নায়েবে আমির মকবুল আহমাদ।
আলোচনায় জামায়াত নেতারা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে তা সংশোধনের দাবি জানান। তাঁরা দাবি করেন, ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে আলাদা করে ফেলতে চাইছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মকবুল আহমাদ বলেন, সাহায্যের নামে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিদেশি এনজিওগুলোর চারণভূমিতে পরিণত করা হয়েছে। এসব এনজিও অধিকারের নামে সেখানে বিভেদ তৈরি করছে। পার্বত্য চুক্তির সমালোচনা করে সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা শান্তিচুক্তির নামে অশান্তি করলেন, তাদেরকে মাথায় তুললেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ সবাই চায় এখানে পূর্ব তিমুরের মতো ঘটনা ঘটুক। ’
‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে’ জামায়াতের নেতাদের বিচার করার বিষয়ে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মকবুল বলেন, ‘কাউকে অবজ্ঞা করবেন না। আমরা এ দেশেরই জনশক্তি। ’ সভাপতির বক্তব্যে জামায়াতের সাংসদ হামিদুর রহমান আযাদ পার্বত্য চুক্তিকে সংবিধানবিরোধী আখ্যা দেন। তিনি বলেন, চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য সমস্যার সমাধান করা যাবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আরেক নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতি ভারতের নজর অনেক আগে থেকে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রসঙ্গ তুলে তিনি নেতা-কর্মীদের বলেন, ‘আপনারা গণ-আন্দোলনের প্রস্তুতি নিন। দিন সব সময় এখনকার মতো থাকবে না। ’ সন্দেহভাজন যুদ্ধাপরাধী হিসেবে সরকার প্রাথমিকভাবে যাঁদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করছে, তাঁদের মধ্যে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ জামায়াতের বেশ কয়েকজন নেতা রয়েছেন।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য তাসনীম আলম, নূরুল ইসলাম ও আবদুল হালিমও পার্বত্য চুক্তি সংশোধন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
ঢাকা/নোয়াখালী ওয়েব/০১এপ্রিল/আইএইচএম/১১১০ঘ.
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।