মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত সেবিকার অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ করেছে নবজাতকের স্বজনরা।
আজ দুপুর ৩ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এঘটনার পর পরই হাসপাতালের কর্তব্যরত সেবিকারা হাসপাতালের মূল ফটকে তালাঝুলিয়ে বন্ধ করে দেন ও সকল প্রকার সেবা কার্যক্রম রন্ধ রাখে।
গাংনীর গোপালনগর গ্রামের রানা জানান, তার ছোট ভায়ের স্ত্রী রুমা খাতুনের প্রসব বেদনা দেখা দিলে আজ দুপুর ১২টার দিকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। নরমাল ডেলিভারীর কথা বলে কর্তব্যরত সেবিকা পামেলী ও মলি্লকা রোগিকে লেবার রুমে নিয়ে চষ্টো করেন।
৩ ঘন্টা পর রোগির সিজার করে বাচ্চা প্রসবের অজুহাত দেখিয়ে মেহেরপুর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। রোগিকে নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগের মুহুর্তে মৃত বাচ্চা প্রসব করে প্রসূতি রুমা খাতুন। সেবিকাদের কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে বাচ্চার মৃত্যুর বিষয় টি জানার পর রোগির আত্মীয় স্বজন ও অন্যান্য রোগিরা উত্তেজিত হয়ে দোষি ব্যক্তিদের শাসি্তর দাবিতে হাসপাতল চত্বরে বিক্ষোভ করে। এসময় সেবিকা পামেলী ও মলি্লকা নেতৃত্বে কর্তব্যরত সেবিকারা একজোট হয়ে ওয়ার্ডের মুল ফটক তালা বন্ধ করে দেয়।
এসময় মুমূর্ষ কয়েকজন রোগির স্বজনদের ওয়ার্ডে প্রবেশে বাধাপ্রদান করে সেবিকারা। এতা আরো ক্ষপ্তি হয়ে উঠে অন্য রোগিরা। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় উত্তেজনার প্রশমন হয়।
তবে সেবিকাদের অবহেলায় শিশু মৃত্যুর বিষয়ে অভিযোগ প্রত্যাখান করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এমও ডা. আনোরুল ইসলাম বলেন, রোগির পেটে বাচ্চা থাকা অবস্থায় শিশুটি মারা গেছে। সেবিকাগন নরমাল ডেলিভারীর চষ্টো করছিলেন এসময় রোগির লোকজন ক্লিনিকে নেয়ার কথা বলে রোগিকে নিয়ে যাবার চেষ্টা করলে রোগি মৃত বাচ্চা প্রসব করেন।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে প্রসুতি ভাল আছেন। স্বাভাবিকভাবে চিকিত্সা চলছে। তাছাড়া শিশু মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি কোন সেবিকার অবহেলা পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।