আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তুলনামুলকভাবে শেখ হাসিনাই সঠিকভাবে এগুচ্ছে

ইকোনোমিস্ট

গণতান্ত্র্রিক নিয়ম হলো, সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার সময় সরকার পদে থাকা অবস্হায় নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করবে; জয়ী দল বা জয়ী কোয়ালিশনকে নতুন সরকার গঠন করার জন্য বলা হবে, পুরাতন সরকার নতুন সরকারকে ক্ষমতা বুঝায়ে দিয়ে চলে যাবে।

বাংলাদেশ সে নিয়ম না মেনে, ভোটের সময়ের জন্য সাময়িক সরকার গঠন করে, সে সরকারের অধীনে নির্বাচন করছে; সাময়িক সরকারের গঠন নিয়ে এবার সমস্যা হয়েছে: সরকারী দল পার্লামেন্টে ২৭০ সীটের অধিকারী, এবং তারা 'সর্বদলীয় সরকার' নামে সাময়িক সরকার গঠন করেছে, যা বিরোধী দল মেনে নেয়নি; তারা চাচ্চে তাদের ইচ্ছানুসারে সাময়িক সরকার গঠন করতে; কিন্তু পার্লামেন্টে তাদের মাত্র ৩০ সীট।

২৭০ সীটের মালিকেরা কেন ৩০ সীটের অধিকারীদের মতানুসারে সাময়িক সরকার গঠন করতে বাধ্য হবে, কে জানে! আগের যে সাময়িক সরকার গঠনের নিয়ম ছিলো, ২৭০ সীটের মালিকেরা তা বদলিয়ে দিয়েছে; এবং তাতে কোন নিয়ম ভংগ করা হয়নি।

৩০ সীটের মালিকদের মনপুত না হওয়ায় তারা ভোটে অংশ নেয়নি; এটাও কোন নিয়মকে কোভাবে ভাংগেনি। তে, ৩০ সীটের মালিকেরা আন্দোলনের নামে দেহসকে ১০ বছর পেছনে নিয়ে গেছে; এবং এটা স্পস্ট যে, তারা ক্ষমতা পেলে তারা জাতির একাংশকে উৎখাত করে ফেলবে: তাদের সেই ইতিহাস আছে।

শেখ হাসিনা দৃঢতার সাথে নির্বাচন করছে; সন্ত্রাস ও এনার্খীর মাঝে মোটামুটি আইন মেনেই নির্বাচন হচ্ছে।

নির্বাচনে উপস্হিতি নিয়ে আগামী সপ্তাহখানেক নানা ধরণের বক্তব্য আসবে: সরকার বলবে ৬০% এর বেশী মানুষ ভোট দিয়েছে; ৩০ সীটের লোকেরা বলবে ১৫% এর নীচে ভোট গৃহিত হয়েছে; ভোট যা গৃহিত হয়, যারা নির্বাচিত হয়, তাদের নিয়ে সরকার গঠন করে দেসকে স্বাভাবিক করার জন্য সব ব্যবস্হা নিতে হবে।

এরপর, ২০১৮ সালের আগে আর নির্বচন করা সঠিক হবে না; ২০১৮ সালের আগে নির্বাচন করলে আবারো অচল অবস্হার সৃস্টি হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.