বন্ধ্যাত্বের সঙ্গে খাওয়া দাওয়ার সম্পর্ক সরাসরি না থাকলেও রোজকার ভুরিভোজ ওজন বাড়ায়। অন্যদিকে সঠিক ডায়েট রেজিম ফলো না করলে বা ওজন কমানোর তাগিদে না খেয়ে থাকলে সন্তান ধারণের সমস্যা দেখা দেয়। সন্তানেচ্ছু দম্পতিদের জন্য রইল কিছু ডায়েটের পরামর্শ।
সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে গেলে স্বাভাবিক ওজন এবং নীরোগ শরীর চাই। অতিরিক্ত ওজন বেশি বা কম সন্তান ধারণের পক্ষে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে।
তাই উচ্চতা ও বয়স অনুযায়ী খাবার খান। ভাজা ও জাঙ্ক ফুড কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। প্রিজারভেটিভ ও কৃত্রিম রং ও গন্ধ যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
পুরুষের ইনফার্টিলিটি প্রতিরোধে আমন্ড বাদাম খুব উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়। চেষ্টা করুন সকালে ব্রেকফাস্টে গোটা চারেক আমন্ড খাওয়ার।
ভিটামিন-ই নারী পুরুষ উভয়েরই ইনফার্টিলিটি প্রতিরোধে কিছুটা সাহায্য করে। দই, ইস্ট ইত্যাদি খাবারে রয়েছে এই ভিটামিন। অন্যান্য খাবারে ভিটামিন ই সামান্য পরিমানে থাকে তাই ভিটামিন-ই ক্যাপসুল খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
ভিটামিন-ই বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধে অনুঘটকের কাজ করে। প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় হরমোন নিঃসরণে সাহায্য করে ভিটামিন-ডি।
আর ভিটামিন-ডি মেটাবলিজমে সাহায্য করে ভিটামিন-ই।
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং বিভিন্ন অ্যান্টি অক্সিডেন্টও এক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে। যে কোনও অয়েল সিড যেমন বাদাম, তিল, তিসি এবং মাছের তেলে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। সপ্তাহে চার দিন মাছ খান। এছাড়া রান্নায় তিল ব্যবহার করতে পারেন।
ফল ও সবজিতে রয়েছে পর্যাপ্ত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। আম, পেয়ারা, তরমুজ, আপেল, আঙুর ইত্যাদি ফল ও ঢ্যাঁড়স, বাঁধাকপি ইত্যাদি সবজিতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে প্রচুর পরিমানে।
পেট ভরে পুষ্টিকর খাবার খান, আর সুস্থ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পৃথিবীতে নিয়ে আসুন, ভাল থাকুন।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।