ওসামা বিন লাদেনকে ধরিয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন সিআইয়ের একদল নারী বিশেষজ্ঞ। মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এই নারী সদস্যদের নিয়ে এইচবিও একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেছে। আল-কায়েদার শীর্ষ নেতাকে ধরার নেপথ্য কাহিনি নিয়ে তৈরি ম্যানহান্ট নামের এই প্রামাণ্যচিত্রটি গত বুধবার রাত থেকে সম্প্রচার শুরু হয়েছে। চলবে পুরো মে মাস।
২০১১ সালের ২ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ঘোষণা দেন, পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বাহিনী কমান্ডো অভিযান চালিয়ে আল-কায়েদার প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করা হয়েছে।
তাঁকে হত্যার দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে এই প্রামাণ্যচিত্র তৈরি ও সম্প্রচার করা হচ্ছে।
প্রামাণ্যচিত্রে সিআইয়ের চারজন নারী অভিযানের বর্ণনা দেন। এঁরা হলেন প্রেসিডেন্ট ওবামাকে গোয়েন্দা অভিযান সম্পর্কে নিয়মিত জানানো সুসান হ্যাসলার, বিন লাদেনের অবস্থান শনাক্তকারী সিনডে স্টোরার, আবু মুসাব জারকাবির ওপর নজরদারি করা নাডা ব্যাকোস ও জেনিফার ম্যাথিউস। তাঁরা বিন লাদেনকে ধরতে মার্কিন বিশেষ অভিযান নিয়ে নিজেদের হতাশা, ত্রুটি ও সর্বোপরি আনন্দের কথা প্রামাণ্যচিত্রে তুলে ধরছেন।
ম্যানহান্ট-এর পরিচালক ও সাংবাদিক গ্রেগ বার্কার বলেন, ‘অভিযানের রাতে আমার একটা কথাই মনে হয়েছে, কেবল অভিযান ছাড়াও এখানে আরও গভীর, অজানা গল্প রয়েছে।
’ তিনি বলেন, ‘এটা একটা গোয়েন্দা গল্প, যা গোপনে সরকারকে অ্যাবোটাবাদের অভিযানের সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। ’
বার্কার বলেন, ‘আল-কায়েদার বিরুদ্ধে দীর্ঘ অভিযান নিয়ে সিআইয়ের ভেতরের সত্যিকারের গল্প আসলে জনগণের কাছে যেমন সন্তোষজনক নয়, তেমনি সরকারের ভেতরেও নয়। ’
বিন লাদেনের অনুসারী জর্ডানের জারকাবি ইরাকে শিয়া-সুিন্নদের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সেখানে হত্যাযজ্ঞ শুরু করেন। তাঁর এই অপরাধের ঘোরবিরোধী ছিলেন বিন লাদেনও। তাঁর অসন্তোষের কথা জারকাবিকে জানিয়ে দিতে হাসান গুল নামের একজন গুপ্তচরকে ইরাকে পাঠায় আল-কায়েদা।
কিন্তু গুল যুক্তরাষ্ট্রের হাতে ধরা পড়েন। তাঁর সূত্র ধরেই অ্যাবোটাবাদে বিন লাদেনের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয় সিআইএ। ওয়াশিংটন পোস্ট। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।