রাজধানীর উত্তরায় আশিয়ান সিটি প্রকল্পে (দক্ষিণখান, আশকোনা ও শিয়ালকাটা) মাটি ভরাট, প্লট বিক্রি ও এ-সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের বিজ্ঞাপনের প্রচার অবিলম্বে বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই প্রকল্পের অনুমোদনসংক্রান্ত সব নথিপত্র আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ওই প্রকল্পের বিক্রি করা প্লটের তালিকাও দাখিল করতে বলেছেন আদালত।
আজ বুধবার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের শুনানি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের পাশাপাশি রুল জারি করেন।
এ ছাড়া বেসরকারি আবাসিক প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন বিধিমালা-৪ সংশোধন করে শত ভাগ মালিকানা ছাড়া কতগুলো প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সে তালিকাও আদালতে দাখিল করার জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রাজউকের অননুমোদিত প্রকল্পে মাটি ভরাট, প্লট বিক্রি ও বিজ্ঞাপনের প্রচার বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। জনস্বার্থে আইন ও সালিশ কেন্দ্র, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), বেলা, ব্লাস্ট, বাপা, ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট বাংলাদেশ, নিজেরা করি ও পবা গত ২২ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করে।
আজ রিটের ওপর শুনানি হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এ এম আমিনউদ্দিন ও ইকবাল কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার।
রুলে আদালত আশিয়ান সিটির ওই প্রকল্পের জায়গাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মাটি ভরাট, প্লট বিক্রি ও বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা-ও জানাতে বলা হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব, ভূমিসচিব, পরিবেশসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, তথ্যসচিব, রাজউকের চেয়ারম্যান, আশিয়ানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১০ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটের পক্ষের আইনজীবী ইকবাল কবির সাংবাদিকদের বলেন, আশিয়ান সিটির ওই প্রকল্পের অবস্থানগত ছাড়পত্র নবায়ন, জলাশয় ভরাট করায় জরিমানা কমিয়ে পাঁচ লাখ টাকা করা ও রাজউকের অনুমোদনসংক্রান্ত চারটি মেমোর কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন আদালত। একই সঙ্গে এ বিষয়ে রুলও জারি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
View this link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।