তবে সামনে আরো বড় ‘যুদ্ধ’ রয়েছে বলে মনে করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি।
এক্ষেত্রে জঙ্গিবাদ দমন এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নতুন সরকারের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেন নতুন সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
সোমবার সকালে প্রথম কার্যদিবসে সচিবালয়ে ঢোকার মুখে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “গত সরকারের উন্নয়নমূলক কাজগুলোর ধারবাহিকতা এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ছোট যুদ্ধে জয়ী হয়েছি সামনে বড় যুদ্ধ। ”
প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে মেনন বলেন, “সমঝোতার ভিত্তিতে পরবর্তী নির্বাচন হবে কি না এটা বিরোধী দলের (বিএনপি) ভূমিকার ওপর নির্ভর করে।
তারা যদি জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাস-সহিংসতা চালিয়ে যায় তাহলে আলোচনার পরিবেশ ক্ষুণ্ন হবে। ”
তবে দুই দলের মধ্যে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।
বিরোধী দলহীন নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে রোববার সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ, মহাজোটের শরিক দলগুলোর নেতারাও এই সরকারের মন্ত্রিসভায় এসেছেন।
এর আগে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, “সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার হবে জঙ্গিবাদ দমন এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ”
এই সরকার বিগত আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারেরই ধারাবাহিকতা-মন্তব্য করে তিনি বলেন, “মহাজোট সরকারের উন্নয়ন কাজগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
”
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জয়ের পর গঠিত মহাজোট সরকারে প্রথমে না থাকলেও পরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেন জোট শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ইনু। নির্বাচনকালীন সরকারে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ও চালাতে হয় তাকে।
নতুন সরকারের এ দুই মন্ত্রী সচিবালয়ে নিজ নিজ কার্যালয়ে গেলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা তাদের স্বাগত জানান।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।