সরকারে দলের মন্ত্রীর সংখ্যা তিনজনও কম মনে হচ্ছে জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদের।
শেখ হাসিনার সরকারের পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন,সংসদে ‘সুষ্ঠুভাবে’ দায়িত্ব পালনের জন্য ডেপুটি স্পিকার পদটি তার দলের পাওয়া উচিত।
“আমরা সরকার ও বিরোধী দলে আছি। আমাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। আমাদের চাওয়া, সংসদে একজন ডেপুটি স্পিকারসহ মন্ত্রিসভায় যেন জাতীয় পার্টি থেকে আরো কয়েকজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
”
বিরোধীদলীয় নেতা ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রওশন এরশাদের বাড়িতে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের এক বৈঠকের পর একথা বলেন তিনি।
বিএনপিবিহীন দশম সংসদে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের আসন নিয়েছে। সেই সঙ্গে এক মন্ত্রী ও দুই প্রতিমন্ত্রীর পদও নিয়েছে দলটি, যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
আনিসুল বলেন, “অনেকে বলেন, জাতীয় পার্টি কিভাবে সরকারি ও বিরোধী দলে থাকবে। আমরা বলব, পাকিস্তানে নওয়াজ শরিফের দল তো জারদারির (আসলে রাষ্ট্রপতি) মন্ত্রিসভায় ছিল।
“পরে তারা ক্ষমতায় এসেছে। আমাদের সেই সুযোগ আছে। ”
জাতীয় পার্টির এই নেতা জানান, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে তার দলের চেয়ারম্যান এরশাদ ’অখুশি’ নন।
সংসদীয় দলের এই সভায় হাসপাতাল থেকে সম্প্রতি বাড়ি ফেরা এরশাদ ছিলেন না। ছিলেন না মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারও।
এ বিষয়ে আনিসুল বলেন, “চেয়ারম্যান স্যার তো সব মিটিংয়ে যাবেন না। আর মহাসচিব অসুস্থ, এজন্য তিনি আসেননি। ”
হাওলাদারের পাশাপাশি ভাই ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জি এম কাদেরকে দলের মুখপাত্রের দায়িত্ব দিয়েছেন এরশাদ। এর মধ্যে কাদের সংসদ সদস্য নন।
রওশনের সভাপতিত্বে এই বৈঠকে ছিলেন মুজিবুল হক চুন্নু, তাজুল ইসলাম চৌধুরী, সালমা ইসলাম, নাসিম ওসমান, লিয়াকত হোসেন খোকা প্রমুখ।
মনোনয়নপত্র দাখিলের পর দশম সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন এরশাদ। দলের সবাইকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশও দেন তিনি, যা অনেকে মেনেছিলেন।
এরপর আকস্মিকভাবে র্যাবের পাহারায় হাসপাতালে যান এরশাদ। ওই অবস্থায়ই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। হাসপাতালে থাকা অবস্থায় তার পক্ষে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন হলেও তা গৃহীত হয়নি।
যারা এরশাদের নির্দেশে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন, তাদেরকে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আনার বিষয়ে আলোচনা করা হবে বলে আনিসুল জানান।
জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই দাবি করে তিনি বলেন, “আমরা চেয়ারম্যান স্যারের নির্দেশে ঐক্যবদ্ধ আছি।
”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।