আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

Dian Fossey এক মহিয়সী নারী যাকে “গরিলা মাতা” বললেও বোধহয় ভুল হবে না!! (আজকের গুগোল ডুডলটী যার স্মরণে করা হয়েছে)

তুমি আমার অপারগতা ...তুমি আমার স্বপ্নভোলা কষ্টগাঁথা....তুমি আমার হৃদয় আঙিনা জুড়ে.... মায়ায় জড়ানো মালতীলতা....


“ডায়ান ফসি” একজন আমেরিকান এন্থ্রোপলজিস্ট এবং জুলজিস্ট যিনি তার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিনগুলো, ১৮ বছরেরও বেশি সময় অতিবাহিত করেছেন “গরিলা” দের জীবন নিয়ে গবেষণা করে।
জন্মঃ ১৬ জানুয়ারি, ১৯৩২ সাল।
মৃত্যুঃ ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৮৫ সাল।

এই মহিয়সী নারীর জন্ম হয়েছিল ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো তে। মাত্র ৬ বছর বয়সেই তার বাবা মায়ের ডিভোর্স হয়ে যায়! এরপর মা ক্যাথারিন একজন ব্যাবসায়ীকে বিয়ে করেন এবং ডায়ানকে নিজের সাথেই রাখেন।

ডায়ানের পিতা জর্জ ই’ ফসি কে তার সাথে যোগাযোগ করতে দিতেন্না ক্যাথারিন! এমনকি ডায়ানের সৎ বাবাও মানসিকভাবে কখনই তাকে গ্রহন করতে পারেন্নি নিজের সন্তান হিসেবে! এমনকি ডায়ানকে ডায়নিঙ্গে একত্রে খেতেও বসতে দেয়া হতনা!!
এভাবে ছোট বেলা থেকেই বাবামায়ের ভালোবাসা বঞ্চিত ডায়ান তার পোষা প্রানী গোল্ডফিশকে নিজের একমাত্র বন্ধু হিসেবে বেছে নিয়েছিল! এবং প্রানীদের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এমনটিই ছিলো!

ডায়ানের শিক্ষাজীবনও অনেক কঠিন চড়াই উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছিল , যেহেতু তার সৎ বাবা চেয়েছিল তাকে বিজনেস পড়াতে , অন্যদিকে ডায়ানের আগ্রহ ছিল প্রাণীবিদ্যার দিকে! এভাবে পরিবার থেকে কোন সাপোর্ট ছাড়াই ডায়ান নিজের চেষ্টায় ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে বায়োলজিতে পড়াশুনা চালিয়ে যান।
১৯৬৩ সালে ডায়ান তার রিসার্চের জন্যে তার সারাজীবনের সঞ্চয় এবং ব্যাংক লোন নিয়ে প্রথমবারের মত আফ্রিকায় একটি ট্রিপে যান। এছাড়াও কেনিয়া , তানজানিয়া, জিমবাবুয়ে এবং কংগোতেও তিনি কিছু ভিজিট করেন গরিলাদের নিয়ে গবেষনার জন্যে।

পরবর্তিতে ১৯৬৬ সালে তিনি তার রিসার্চের জন্যে ফান্ডিং লাভ করেন এবং সেন্ট্রাল আফ্রিকার রুয়ান্ডাতে অবস্থিত “Volcanoes National Park” যেটি “ মাউন্টেইন গরিলা” নামে পরিচিত! এর পর থেকে প্রায় বিশ বছর তিনি সেখানেই অর্থাৎ “ডেমোক্রেটীক রিপাবলিক অফ কংগো” তে দিনযাপন করেন গরিলাদের সাথে, তবে সিভিল ওয়ার এর কারণে শেষেরদিকে তাকে কংগো ত্যাগ করতে হয়েছিল।


ডায়ান ফসি সম্পর্কে লিখে আসলেই শেষ করা যাবেনা! তিনি তার সমগ্র জীবন গরিলা সংরক্ষন এবং তাদের জীবন সম্পর্কে গভীর গবেষনায় ব্যয় করেছেন।

প্রয়োজনে পোচারদের বিরুদ্ধে সক্রিয় আন্দোলন করেছেন!! সোচ্চার হয়েছেন!!

তার ফেভারিট গরিলা ‘ডিজিট’ যখন পোচারদের হাতে মারা যায় এর পরে তিনি ‘ডিজিট ফান্ড’ প্রতিষ্ঠা করেন , যা এখনো প্রানী সংরক্ষনের জন্যে কাজ করে যাচ্ছে।


ডায়ান তার জীবন উতসর্গ করেছিলেন গরিলাদের জন্যে এবং তাদেরকে প্রোটেক্ট করার জন্যে। পোচারদের সক্রিয় বিরোধিতার কারনে তিনি তাদের শত্রুতে পরিনত হয়েও জীবনের ঝুকি নিয়ে গরিলাদের সাথে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাটীয়েছেন। এবং ১৯৮৫ সালে তার কেবিনেই তিনি মারা যান আততায়ীর আঘাতে রহস্য জনক ভাবে।

[sb]মৃত্যুর আগে তিনি তার ব্যক্তিগত ডায়রীতে যে শেষ কথাটী লিখেছেন তা হলঃ
When you realize the value of all life, you dwell less on what is past and concentrate more on the preservation of the future.



আর কথা না বাড়িয়ে আসুন দেখে নেই এই মহিয়সী নারী পৃথিবীর বৃহত এমেইজিং প্রাইমেট গোষ্ঠির (গরিলা) সাথে কিভাবে দিনাতিপাত করেতেন!

ইন লাভিং মেমোরি অফ ডায়ান ফসি


The Story Of Dian & Digit


The Lost Film of Dian Fossey DOCUMENTARY (2002)



গরিলার সাথে মানুষের ডি এন এ-র মিল রয়েছে ৯০ %!! ক্যান ইউ ইমাজিন!!
আই জাস্ট ফেল্ট রিয়েলি লাভড টু সী দিজ এমেইজিং ক্রিয়েচারস অফ গড!!!
ভিডিও ৩টি সবাইকে দেখার অনুরোধ রইলো!


ডায়ান সম্পর্কে আরো বেশি জানতে আঁতেল বন্ধুগণ ক্লিক করুনঃ
ডায়ান ফসি বায়োগ্রাফি

View this link

View this link

 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।