পাঁচ ম্যাচের সিরিজে স্বাগতিকরা এখন ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে। প্রথম ওয়ানডেতে অস্ট্রেলীয়রা ৬ উইকেটে জিতেছিল।
আগামী রোববার সিডনিতে হবে তৃতীয় ওয়ানডে।
শুক্রবার ব্রিসবেনের গ্যাবায় টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ওয়েন মর্গ্যানের ষষ্ঠ শতকে ৮ উইকেটে ৩০০ রানের বড় সংগ্রহ গড়া ইংল্যান্ডকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল। কিন্তু ফকনারের ব্যাটিং-বীরত্বের সঙ্গে শন মার্শ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের দৃঢ়তাপূর্ণ অর্ধশতকের যোগফল ৩ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে দেয় অস্ট্রেলিয়াকে।
মর্গ্যানের ৯৯ বলে ১০৬ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংসে ৪টি চার ও ৬টি ছক্কা। এই ইনিংস খেলার পথে ইয়ান বেলের (৬৮) সঙ্গে ৬১ ও জস বাটলারের (৪৯) সঙ্গে ১১৭ রানের দুটো চমৎকার জুটি গড়েন তিনি।
প্রথম ওয়ানডেতে শতক করা অ্যারন ফিঞ্চ শুক্রবার কোনো রান করতে পারেননি, ক্রিস জর্ডানের বলে এক্সট্রা কাভারে গ্যারি ব্যালান্সকে ক্যাচ দিয়েছেন। অন্য উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার জর্ডানকেই ফিরতি ক্যাচ দিলে ২ উইকেটে ৩২ রানে পরিণত হয় অস্ট্রেলিয়া।
এরপর মার্শ ৫৫ ও ম্যাক্সওয়েল ৫৪ রান করলেও ৪৪তম ওভারের শেষ বলে ২৪৪ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের প্রহর গুনছিল মাইকেল ক্লার্কের দল।
তবে এর পরেই জ্বলে ওঠেন ফকনার। শেষ ব্যাটসম্যান ক্লিন্ট ম্যাকাইকে নিয়ে মাত্র ৩৩ বলে ৫৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে স্মরণীয় জয় এনে দেন তিনি। যে জুটিতে ম্যাকাইয়ের অবদান মাত্র ২ রান!
গত নভেম্বরে ভারত সফরে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৫৭ বলে দ্রুততম ওয়ানডে শতক করা ফকনারের ৪৭ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫টি ছক্কা ও ৩টি চারে।
শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৫ রান। বেন স্টোকসের করা ৪৯তম ওভারে পরপর দুটি ছক্কা মারার পর শেষ বলে এক রান নেন ফকনার।
এরপর টিম ব্রেসনানের করা শেষ ওভারের প্রথম তিন বলে চার মেরে গ্যালারিকে উৎসবে মাতিয়ে তোলেন তিনি। এমন দুর্দান্ত ইনিংসের সুবাদে অনুমিতভাবে ফকনারই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়।
এক সময় মাইকেল বেভানও এভাবে অস্ট্রেলিয়াকে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছেন। খেলা শেষে সেই বেভানের সঙ্গে ফকনারের তুলনা করে অধিনায়ক ক্লার্ক বলেন, “সে আমাদের নতুন ‘ফিনিশার’, আমাদের নতুন মাইকেল বেভান। সে একজন প্রতিভাবান, দুর্দান্ত খেলোয়াড়।
অন্য যে কারো মতোই সে বল জোরালোভাবে মারতে সক্ষম। সারা পৃথিবীর প্রশংসা তার প্রাপ্য। ”
অন্যদিকে জিততে-জিততেও আরেকটি হারের তেতো স্বাদ পেয়ে বিমর্ষ কণ্ঠে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক অ্যালেস্টার কুক বলেন, “আজ একটা অবিশ্বাস্য ইনিংস আমাদের হারিয়ে দিয়েছে। তিন শ’ জয়ের মতোই রান ছিল। তবে আগামীতে আমরা বুঝতে পারবো কী বিস্ময়কর এক ইনিংসই না আমাদের হারিয়ে দিয়েছে!”
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩০০/৮ (কুক ২২, বেল ৬৮, রুট ২, ব্যালান্স ৯, মর্গ্যান ১০৬, বোপারা ২৪, বাটলার ৪৯, স্টোকস ০, ব্রেসনান ১*, জর্ডান ১*; ম্যাক্সওয়েল ২/৩১, কোল্টার-নাইল ২/৫৫, ফকনার ২/৭৩, জনসন ১/৫৯)
অস্ট্রেলিয়া: ৪৯.৩ ওভারে ৩০১/৯ (ওয়ার্নার ১৮, ফিঞ্চ ০, মার্শ ৫৫, ক্লার্ক ১৭, বেইলি ২৪, ম্যাক্সওয়েল ৫৪, হ্যাডিন ২৬, কোল্টার নাইল ১৬, ফকনার ৬৯*, জনসন ২, ম্যাকাই ২*; রুট ২/৪৬, জর্ডান ২/৫৩, ব্রেসনান ২/৬৪, বোপারা ১/১৯, র্যাঙ্কিন ১/৩৬, স্টোকস ১/৭৫)
ম্যাচ সেরা: জেমস ফকনার।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।