টাকার হিসাব বাদ দিলে গুগলের কেনা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নেস্টের আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে একটি কারণেই, নেস্ট প্রতিষ্ঠাতা টনি ফ্যাডেল। অ্যাপল ভক্তদের কাছে ফ্যাডেলের পরিচয় ‘ফাদার অফ আইপড’ হিসেবে।
আইম্যাকের পাশাপাশি ২০০১ সালে ফ্যাডেলের তৈরি আইপডই দেউলিয়া হওয়া পথে থাকা অ্যাপলকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছিল।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদেন জানিয়েছে, মালিকানা হাতবদল হলেও গুগলের থেকে আলাদা একটি স্বাধীন ব্র্যান্ড হিসেবে কাজ করবে নেস্ট।
২০১২ সালে গুগল মোবাইল ফোন নির্মাতা মটোরোলা কিনেছিল ১ হাজার ২৫০ কোটি ডলারে।
মটোরোলার পর নেস্টের মালিকানায় হাতবদল গুগলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় লেনদেনের ঘটনা।
মটোরোলার কেনার ঘটনাকে সমালোচক এবং টেকবোদ্ধারা আখ্যা দিয়েছিলেন হার্ডওয়্যারের দুনিয়ায় প্রবেশের ক্ষেত্রে গুগলের এক শক্ত পদক্ষেপ হিসেবে। আর এখন নেস্ট কেনার মাধ্যমে প্রযুক্তিপণ্যের ক্রেতা আর ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় ডিভাইসের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে গুগল আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল এমনটাই মন্তব্য তাদের।
হোম অ্যাপ্ল্যায়ান্স ডিভাইস নির্মাণের ক্ষেত্রে নেস্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে সফল হলেও এর বিশেষত্ব ভিন্ন একটি জায়গায়। নেস্ট প্রতিষ্ঠাতা টনি ফ্যাডেলের মতো প্রতিষ্ঠানটির প্রায় এক তৃতীয়াংশ কর্মী এক সময় কাজ করতেন অ্যাপলে।
বর্তমান প্রযুক্তি বাজারে গুগলের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপল।
২০০১ সালে প্রযুক্তিপণ্যের বাজারে অ্যাপলের ‘কামব্যাক’ ঘটেছিল টনি ফ্যাডেলের হাত ধরেই। নেস্ট কিনে নেওয়ার মাধ্যমে গুগল যেন প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপলের সঙ্গে লড়াইয়ে ব্যবহারের জন্য নিজেদের ভাণ্ডারে যোগ করল আরেকটি অস্ত্র।
“নেস্ট আপতত থার্মোস্ট্যাট আর স্মোক অ্যালার্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও অদূর ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানটির তৈরি ডিজাইন এবং প্রযুক্তি গুগল নিজেদের অন্যান্য ডিভাইসে ব্যবহার শুরু করবে এমনটা ভাবলেও বাড়িয়ে বলা হবে না। ”-- গুগল নেস্ট কিনে নেওয়ার ঘটনায় এমনটাই মন্তব্য করেছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ শ্যাম প্যাটেল।
রেকর্ড পরিমাণ দামে মটোরোলা কেনার পরেও হার্ডওয়্যার বাজারে অ্যাপলের মতো শক্ত অবস্থান এখনও গড়তে পারেনি গুগল। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের বদৌলতে রাতারাতি সাফল্য পেলেও নিজস্ব হার্ডওয়্যার পণ্যের ক্ষেত্রে গুগল এখনও অনেক পিছিয়ে প্রতিষ্ঠানটি।
তবে খোদ টনি ফ্যাডেল জানিয়েছেন, গুগলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেও মোবাইল পণ্য তৈরির কোনো ইচ্ছা নেই তার।
এ ব্যাপারে ফ্যাডেল বলেন, “একটা বিষয়ে প্রথম থেকেই পরিষ্কার ছিলাম আমি-- ল্যারিকে (গুগল সিইও ল্যারি পেজ) প্রথমেই বলে দিয়েছিলাম যে আমি আগেই সব ধরনের মোবিইল প্রোডাক্ট বানিয়েছি। পুরনো জিনিস আবারও বানানোর কোনো ইচ্ছা নেই আমার।
এখানে আমি আমার স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে এসেছি, অতীত পুনরাবৃত্তি করতে নয়। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।