আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এসলামের বিচার মানলে কেন ঈমান ঢিলা হবে?

থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি। বড়লেখার মুছেগুল এলাকায় গ্রাম্য সালিশে এক গৃহবধূকে দোররা মারার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে। এলাকাবাসী ও একাধিক সূত্র জানায়, উপজেলার কাঁঠালতলি ইউনিয়নের দক্ষিণ মুছেগুল গ্রামের দুবাই প্রবাসী বোরহান উদ্দিনের স্ত্রী রোশনা বেগমের সঙ্গে একই গ্রামের মুছবি্বর মিয়ার ছেলে আবদুল কাদিরের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই মধ্যে রোশনা একটি সন্তান প্রসব করেন।

সম্প্রতি রোশনার প্রবাসী স্বামী দেশে ফিরে এলে জানতে পারেন পরকীয়ার বিষয়টি। বিষয়টি গ্রাম্য সালিশে এলাকার শাহাব উদ্দিন, মহরীর আবদুল আজিজ, মইজু মিয়া গংরা শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) স্থানীয় মসজিদে বসে সালিশ বৈঠক বসান। সালিশে গৃহবধূ রোশনাকে অর্ধশত দোররা মারা হয় এবং প্রসবকৃত সন্তান প্রেমিক আবদুল কাদিরকে সমঝিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে রাখে সালিশকারীরা, এমনকি বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ওই গৃহবধূকে হুমকি দেয় গ্রাম্য মাতব্বররা। গত শুক্রবার রোশনা পিত্রালয়ে যাওয়ার পর উপজেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়।

এ ব্যাপারে সালিশে নেতৃত্বদানকারী শাহাব উদ্দিন সালিশ হয়েছে স্বীকার করলেও দোররা মারার ঘটনাটি অস্বীকার করেন। অবৈধ সম্পর্ক বা পরকিয়া নিয়ে এসলামের আয়াত-হাদিসগুলা মনে করলেই আপ্নে বুঝতে পারবেন ঐ গ্রাম্য সালিসে কেউই কোনো ভুল করে নাই। তা হলে কেন সালিশের ব্যাপারটি কাউকে না জানাবার জন্য হুমকি দেওয়া হল? গৃহবধুটি অপরাধী হলে তো এসলামের আইন মোতাবেক ঠিক বিচারই হয়েছে। বরঞ্চ মাটিতে পুতে পাথর যে মারা হয় নাই, এইটাই তো অনেক বড় ধরনের ছাড়! এদেশের মাটিতে এসলামের বিদ্বানদের বিচার হতে পারবে না। একাত্তরে ভুল যদি কেউ করেই থাকে, তা আল্লাহ মাফ করার মালিক, তিনিই মাফ করবেন।

মানুষের সাধ্য কি আলেম-উলামাদের বিচার করে? আল্লাহ আইন করেছেন, সেইটা কায়েম করতে হবে। বেদ্বীন দেশের বেদ্বীন নির্বাচন কর্তৃপক্ষের ঠেলায় পড়ে গঠনতন্ত্র শোধরানো হলেও জানের ভেতরে, কলবের ভেতরে তো এসলাম জেগেই আছে। সেই জোশ, সেই আগুন তো আর কেউ নিভাতে পারবে না। সাড়ে সাত ইঞ্চি লাম্বা আর সোয়া ইঞ্চি ঘেরের মেশিন চলিতেই থাকপে। নারায়ে তাকবির।

সংবাদের সূত্রঃ Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।