বাংলাদেশের রাজনীতির মঞ্চে এখন অজস্র সব ঘটনা ঘটছে। ক্ষমতাসীন দল একের পর এক নিজের মতো করে সব কিছু নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। দশম সংসদ নির্বাচনের পর মন্ত্রিসভাও ঘোষিত হয়েছে। নতুন মন্ত্রীরা কাজকর্মও শুরু করেছেন। আবার এই শাসনমলে সেই অর্থে বিরোধী দলও আর থাকছে না।
প্রাজ্ঞ এক সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দেশে এখন যা হচ্ছে সেটা 'নিউ বেনিফিসিয়াল ডেমোক্রেসি। ' সত্যিই দেশের জনগণ ভাবছে একরকম আর ঘটনা ঘটছে অন্যরকম। উপভোগ্য এক রাষ্ট্রচরিত্র দেখছে দেশের সাধারণ মানুষ। ৫ জানুয়ারির আগে সবার ধারণা ছিল হয়তো সংলাপ-সমঝোতার মাধ্যমেই শেষমেশ সবার অংশগ্রহণেই একটি গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু, সুন্দর নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যার মাধ্যমে জনগণের মতামত প্রকাশিত হবে।
জনজীবনে ফিরে আসবে স্বস্তি ও শান্তি। মানুষ তার ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। গণতন্ত্র তার হারানো পথ ফিরে পারে। উন্নয়ন অগ্রগতির দিকে ফের ধাবিত হবে বাংলাদেশ। কিন্তু সেটা আর হয়নি।
উল্টো এখন একদলীয় শাসনের দিকেই দেশ এগুচ্ছে বলে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
৫ জানুয়ারির আগে জাতিসংঘ থেকে শুরু করে সবারই চেষ্টা ছিল সবার অংশগ্রহণে একটি শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের। কখনো কখনো একটু-আধটু সেরকম আলোর রেখাও দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু শেষমেশ মহাজোট সরকার একতরফা নির্বাচনের দিকেই অগ্রসর হয়। ফলে যা হওয়ার তা-ই হয়েছে।
মহাজোট সরকারের মিত্র শক্তি ছাড়া আর সবাই এ নির্বাচন বয়কট করে। এমনকি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলে চিহ্নিত অনেক রাজনৈতিক দলই এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থাকে বিরত থাকে।
৫ জানুয়ারি যে আংশিক নির্বাচন হলো সেটা কেমন হয়েছে, কত শতাংশ ভোট পড়েছে, ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি কেমন ছিল_ তা কারোরই অজানা নয়। এ নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করাটাও এক অর্থে অযৌক্তিক। প্রথমত এ নির্বাচনে দেশের প্রধান বিরোধী দলসহ বেশির ভাগ দলই অংশগ্রহণ করেনি।
ফলে ১৫৩টি আসনে কোনো রকম প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বাকি ১৪৭টি আসনে এক অর্থে নির্বাচনের নামে যা হয়েছে তা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। সবচেয়ে সত্য হলো_ যারা ভোট বর্জন করেছিল সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ব্যাপক জনগোষ্ঠী ভোটদান থেকে বিরত থাকে। এর বাইরে যারা ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যান তারাও সুষ্ঠুভাবে ভোট প্রদান করতে পারেননি। আবার অজস্র ভোটকেন্দ্রে ছিল জাল, ভুয়া ভোট প্রদানের ছড়াছড়ি।
কোথাও কোথাও ভোটকেন্দ্র দখলের ঘটনাও ঘটেছে। আওয়ামী সমর্থক বলে পরিচিত পরাজিত প্রার্থীদের অনেকেই সংবাদ সম্মেলন করে ভোট কারচুপির অভিযোগ আনে। অনেকেই ভোট অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও দায়ের করেছে। আবার ১৪৭টি আসনে যে নির্বাচন হয়েছে সেখানে ভোটারের উপস্থিতি মোটেও সন্তোষজনক ছিল না। শহরের ভোটকেন্দ্রগুলো ছিল প্রায় ভোটারশূন্য।
শহরের বেশির ভাগ কেন্দ্রে তিন থেকে চার শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি। পর্যবেক্ষণ থেকে মনে হয়েছে বিএনপি তথা ১৮ দলের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যেমন তাদের সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রে যাননি, তেমনি দেশের নিরপেক্ষ ভোটারদের বড় অংশই ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে। মোদ্দা কথা, এই একতরফা নির্বাচনে জনগণের সায়, সমর্থন একদমই ছিল না। নির্বাচনে যা হয়েছে তাতে জনগণের ইচ্ছার কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যা চেয়েছিল মূলত সেটাই হয়েছে।
চুলচেরা বিশ্লেষণে বলা যায়, সব মিলিয়ে এই ছিল ৫ জানুয়ারির ভোট অনুষ্ঠানের সার্বিক চিত্র।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর এবং পরবর্তীতে নির্বাচনের ফলাফলের পর আমরা দেখতে পেয়েছি ক্ষমতাসীন দলের প্রধান নেতা থেকে শুরু করে সবার মুখে বিজয়ের হাসি। মনে হচ্ছিল ক্ষমতাসীন দল এই নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দিয়ে মাথা থেকে এক মস্ত পাথর সরাতে সক্ষম হয়েছে। এ কারণেই বোধহয় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের পরের দিন গণভবনে যে সংবাদ সম্মেলন করেন সেখানে উৎফুল্ল এবং আনন্দচিত্তে নির্বাচনের সফল সমাপ্তির কথা বলেন। অথচ ওইদিন সবাই আশা করছিলেন হয়তো এই একতরফা নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজের অসন্তুষ্টির কথা বলে ফের কত দ্রুত সবার অংশগ্রহণে একটি অর্থবহ নির্বাচন কীভাবে করা যায় সেই দিকনির্দেশনা প্রদান করবেন।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এখন পর্যন্ত সেরকম কিছইু বলেননি। বরং সব কিছু দেখেশুনে মনে হচ্ছে সরকার হার্ডলাইনই বেছে নিয়েছে এবং সেভাবেই অগ্রসর হচ্ছে। ফলে বিরোধীদের জন্য কেবলই বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি হচ্ছে।
এদিকে সরকার গণতন্ত্রের কথা বললেও রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করাটাও এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। ১৮ দলীয় জোটের যে নেতা রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করছে তাকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে।
সরকার কোনোভাবেই গ্রেফতার, হয়রানি, নির্যাতনের পথ থেকে সরে আসছে না। কেউ কথা বললেই তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। বিএনপির সম্মুখসারির প্রায় সব নেতাই এখন কারারুদ্ধ। প্রায় প্রতিদিনই এ তালিকা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে স্টাইলে বা প্রক্রিয়ায় ধরপাকড় হচ্ছে দেশের সাধারণ জনগণ এর আগে কখনোই এরকমটি দেখেনি।
কথা বললেই গ্রেফতার করা হচ্ছে এবং এ ক্ষেত্রে সরকার চরম অসহিষ্ণুতার পরিচয় দিচ্ছে। কয়েক দিন আগে বিএনপি নেত্রী সেলিমা রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। গুলশানে নিজের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করার পরপরই তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়াই। এর একদিন আগে গ্রেফতার করা হয় বারকাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেনকে। ওইদিনই আবার বারিধারার একটি বাসা থেকে আটক করা হয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজুলল হক মিলন ও লক্ষ্মীপুরের সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দীনকে।
২৯ ডিসেম্বর টানা অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণার পরপরই প্রেসক্লাবের ফটকে গ্রেফতার হন সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন। এর আগে আরও গ্রেফতার হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমদ, সাবেক মন্ত্রী এম কে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া ও আ স ম হান্নান শাহ, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও মাহবুবউদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, সাবেক সংসদ সদস্য সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল, মহিলা নেত্রী শাম্মী আক্তার এবং চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ আরও অনেকে।
গ্রেফতারের এই তালিকা দেখে স্পষ্টত বোঝা যায়, সরকার কতটা কঠোর এবং হার্ডলাইনে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো যাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে তাকেই আবার রিমান্ড চাওয়া হচ্ছে। সেলিমা রহমানের মতো একজন পরিশীলিত, স্বচ্ছ নেত্রীরও রিমান্ড চাওয়া হচ্ছে।
মহাজোটের অন্যতম নেতা বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের আপন ছোট বোন সেলিমা রহমান। তার অন্য ভাইয়েরা হলেন নন্দিত কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, প্রয়াত সাংবাদিক সাবেক রাষ্ট্রদূত এনায়েত উল্লাহ খান, নিউ এজ পত্রিকার প্রকাশক শহীদুল্লাহ খান বাদল এবং আরেক প্রখ্যাত সাংবাদিক সাদেক খান। খন্দকার মাহবুব হোসেনের মতো বিজ্ঞ আইনজীবীরও রিমান্ড চাওয়া হচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে সরকার কাউকেই আর বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে রাজি নয়। সরকার যেভাবে একের পর এক ঢালাও গ্রেফতার শুরু করেছে তার তীব্র সমালোচনা এবং হস্তক্ষেপ করতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাকে অনুরোধ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইট ওয়াচ (এইচআরডাবি্লউ)।
এই সংস্থার এশিয়াবিষয়ক পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস গত ৯ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত নির্বাচন সরকারের খামখেয়ালি গ্রেফতারে আরও বেশি কলঙ্কিত হচ্ছে। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে-পরের গ্রেফতার অভিযান সমালোচকদের গ্রেফতার করা, ভিন্নমতালম্বীদের লাগাম টেনে ধরা ও ক্ষমতাসীন দলের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার কৌশলেরই অংশ। ব্র্যাড অ্যাডামস আরও বলেন, আওয়ামী লীগ দাবি করে তারা বাংলাদেশের নেতৃত্বদানকারী গণতান্ত্রিক দল। কিন্তু সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের ধরপাকড়ে গণতন্ত্রের কোনো লেশমাত্র নেই। ২৯ ডিসেম্বর 'মার্চ ফর ডেমোক্রেসি' ঘোষণার পর থেকেই দেশের মানুষ দেখছে এক অন্যরকম শাসন।
ওইদিন থেকেই বিরোধীদলীয় নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে কার্যত ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। তার মুক্ত চলাচলে বাধা প্রদান করা হয়। মূলত মার্চ ফর ডেমোক্রেসির কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকেই তার ওপর এ ধরনের অগণতান্ত্রিক আচরণ শুরু হয়। তার বাসার সামনে বালুভর্তি ট্রাক পর্যন্ত রাখা হয়েছিল যা চরমভাবে রাজনৈতিক শিষ্টাচারকে ক্ষুণ্ন করে। আমাদের সংবিধান এই নিপীড়ন কোনোভাবেই সমর্থন করে না।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বলেন। ভোট ও ভাতের লড়াইয়ের কথা বলেন। কিন্তু তিনি যা বলেন বাস্তবে তার উল্টো চিত্রই দেখতে পাচ্ছি। বোঝাই যাচ্ছে, বর্তমান আওয়ামী নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার যে কোনো মূল্যে ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে চায়। আর তাই সুকৌশলে মুক্তিযুদ্ধকে তারা ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।
কিন্তু এটাও তো সত্য, পৃথিবীর কোনো দেশেই একনায়কতন্ত্র বা স্বৈরতন্ত্র টিকে থাকতে পারেনি। জনগণের আন্দোলনের মুখে তাদের সরে যেতে হয়েছে। আজকে সরকারি দল, পুলিশ প্রশাসন এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে যে রাজনৈতিক আচার-আচরণ করছে তা কোনোমতেই গণতন্ত্রের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ নয়, বরং একনায়কতন্ত্রের চরম রূপই যেন এখন সর্বত্র প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। দেশের বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের প্রথম ধাপই হলো ১৮ দলীয় জোটের সঙ্গে একটি শান্তিপূর্ণ আলোচনার পরিবেশ তৈরি করা এবং সেই মোতাবেক দ্রুতই সবার অংশগ্রহণে নতুন নির্বাচনের পথ উন্মুক্ত করা। আমরা লক্ষ করছি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার পর এই নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, কমনওয়েলথসহ অনেকেই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
মার্কিন সিনেটে একটি 'গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সংলাপ প্রয়োজন' শিরোনামে একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিতে পাস হয়েছে। এর পরও সরকারের একতরফা সব সিদ্ধান্ত গোটা দেশটাকেই কার্যত অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় হলো- দুঃশাসনের বদলে সুশাসনে ফিরে আসা, সবার কথা বলার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। সব ধরনের রাজনৈতিক নিপীড়ন বন্ধ করা। সরকার ও ১৮ দলীয় জোটের মধ্যে যদি সমঝোতার পথ উন্মুক্ত না হয় তাহলে নিশ্চিত করেই বলা যায়, আগামীতে আরও বড় খেসারত দিতে হবে দেশের জনগোষ্ঠীকে।
গণতন্ত্রের বিকল্প কিছুই নেই। তাই মনে রাখতে হবে Compromise is a art of Democracy। ভুলে গেলে চলবে না, ক্ষমতা কারও জন্যই চিরস্থায়ী নয়। কেউই চিরদিন বা চিরকাল ক্ষমতায় থাকে না। সেই নিরিখে প্রতিটি দলকেই গণতন্ত্রের প্রতি অধিক শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
দেশের বর্তমান যে চলমান অবস্থা তা থেকে উত্তরণের প্রধান উপায় হলো রাজনৈতিক সংলাপ এবং সমঝোতা এবং এ ক্ষেত্রে সরকারি দলকেই বেশি এগিয়ে আসতে হবে। কিন্তু আমরা বারবারই দেখতে পাচ্ছি সমঝোতার বদলে প্রতিহিংসার রাজনীতিই প্রতিফলিত বেশি হচ্ছে। দেশ ও জনগণের স্বার্থে সমঝোতার পথকেই বেছে নিতে হবে। সরকারের অনেক মন্ত্রীও বলেছেন, সমঝোতা হলে দ্রুতই আরেকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশবাসীও সেটা প্রত্যাশা করে।
বিপন্ন গণতন্ত্রকে বাঁচাতে একটি সুন্দর শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমঝোতাই এখন জরুরি। নইলে আন্তর্জাতিক চাপের কারণে সামনে কোনো ধরনের অর্থনৈতিক ঝুঁকি তৈরি হলে সেটা সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
লেখক : চেয়ারম্যান, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।
ই-মেইল : kirondebate@gmail.com
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।